Рет қаралды 17,279
১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় করুন ডায়মন্ড ডাভ ঘুঘু পালন করে।#_ডায়মন্ড_ডাভ_ঘুঘু পাখি
পালন পদ্ধতি
আসসালামু আলাইকুম আমাদের চ্যানেলে আপনাকে স্বাগতম ... আমরা আপনাদেরকে কৃষি সম্পর্কিত ভিডিও দেখানোর চেষ্টা করি । আপনার আশেপাশে বা আপনার সফলতার কোন গল্প থাকলে কমেন্ট বা ফোন করে আমাদের জানান আমরা পৌঁছে যাব আপনার কাছে । ফোন করুন এই নম্বরে 01841464662 // আমাদের চ্যানেলের ভিডিও নিয়মিত দেখতে অবশ্যই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ ।।
ঘুঘু কেনার সময় যেসব জিনিস গুলো খেয়াল রাখবেন। diamond dove gogo
palon tips। dove farm in bangladesh
• ঘুঘু কেনার সময় যেসব জি...
ডায়মন্ড ডাভ পালন সম্পর্কে বিস্তারিত:
১। বাংলাদেশের বহুল পরিচিত পাখির মধ্যে ঘুঘু অন্যতম। পৃথিবীতে ঘুঘুর প্রজাতি রয়েছে প্রায় ৩৬টি। তার মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া যায় ৬টি প্রজাতি। কিন্তু এসব বন্য ঘুঘু পাখি শিকার, ধরা বা খাঁচায় পোষা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশে খাঁচায় পোষা যায় এমন কিছু বিদেশি জাতের ঘুঘুও পাওয়া যায়। এদের মধ্যে অন্যতম ডায়মন্ড ডাভ। এর আদিনিবাস অস্ট্রেলিয়া।
২। পরিচিতি:
অস্ট্রেলিয়ান ডায়মন্ড ঘুঘু লেজসহ লম্বায় ০৮ থেকে ১১ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। প্রজাতিভেদে ডায়মন্ড ঘুঘুর গায়ের রঙ হালকা থেকে গাড় ছাই বা ধুসর, বাদামী ও তামাটে বর্ণের হয়। পূর্ণবয়স্ক ঘুঘুর চোখের চারপাশে লাল বা কমলা রঙের বৃত্ত বা আইরিং তৈরী হয়। পুরুষ ঘুঘুর আইরিং পুরু হয়। সাধারণত রিঙের পরিধি হয় ২-৩ মিলিমিটার পর্যন্ত। কিন্তু স্ত্রী ঘুঘুর চোখের বৃত্ত চিকন (প্রায় ১ মি.মি.) হয়। অস্ট্রেলিয়ান ডায়মন্ড ঘুঘু চেনার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে এদের ডানায় থাকা ছোট ছোট অসংখ্য সাদা রঙের ফোটা। এই ফোটাগুলোকে ডায়মন্ডের সাথে তুলনা করে এদেরকে ডায়মন্ড ডাভ বলা হয়।
৩। আচার-আচরণ:
ডায়মন্ড ডাভ শান্ত স্বভাবের পাখি। এরা সাধারণত জোড়া বেঁধে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই জোড়াপ্রতি আলাদা খাঁচা দিলে প্রজননের ফলাফল ভাল হয়। ডাভকে হাত দিয়ে ধরলে কামড়ায় না। কলোনিতে অন্যান্য পাখির সাথে রাখা উচিত না। কারণ এরা নিজেদেরকে অন্যান্য পাখিদের থেকে রক্ষা করতে পারেনা।
৪। ডাকঃ
সাধারণত পুরুষ পাখি লেজ তুলে ক্যু ক্যু শব্দে ডেকে থাকে। যারা পাখি পালতে চান, কিন্তু পাখির অবিরত চেঁচামেচিতে বাসায় বা আশেপাশের প্রতিবেশীদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে ভাবছেন তারা নিঃসন্দেহে এই পাখি বাছাই করতে পারেন।
৫। মেইল এবং ফিমেল চেনার উপায়:
ক। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ ঘুঘুর আইরিং (চোখের বৃত্ত) সাধারণত মোটা হয় এবং স্ত্রী ঘুঘুর আইরিং তুলনামূলক চিকন হয়।
খ। ক্ষেত্রবিশেষে পুরুষ ঘুঘু স্ত্রী ঘুঘুর চেয়ে আকারে তুলনামূলকভাবে বড় হয়।
গ। পুরুষ ঘুঘুর মাথা ও ঠোঁট মোটা হয়। অপরদিকে স্ত্রী ঘুঘুর মাথা তুলনামূলক ছোট এবং ঠোঁট চিকন ও কিছুটা লম্বাটে আকৃতির হয়।
ঘ। প্রাপ্তবয়স্ক নর ঘুঘু ভরাট কন্ঠে ক্যু ক্যু শব্দে উচ্চ স্বরে ডাকাডাকি করে। ডাকার সময় তাদের লেজ হাতপাখার মত মেলে ধরে। অপরদিকে স্ত্রী ঘুঘু খুব একটা ডাকাডাকি করে না। এদের ডাক সংক্ষিপ্ত এবং ডাকার সময় লেজ তুলেনা।
৬। মিউটেশনঃ
খাঁচায় পোষা ডায়মন্ড ডাভের মধ্যে মিউটেশন এর ভিন্নতা দেখা যায়। বাংলাদেশে সহজলভ্য মিউটেশন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে
ক। গ্রে ডায়মন্ড ডাভ
খ। সিলভার ডায়মন্ড ডাভ
গ। রেড ডায়মন্ড ডাভ
ঘ। হোয়াইট ডায়মন্ড ডাভ
ঙ। পাইড ডায়মন্ড ডাভ
চ। সিনামন ডায়মন্ড ডাভ
ছ। ইয়োলো ডায়মন্ড ডাভ ইত্যাদি।
৭। খাঁচার মাপ:
ডায়মন্ড ডাভ লাঠির চেয়ে খাঁচার ফ্লোরে বেশিরভাগ সময় হাঁটাহাটি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তারা সরাসরি সামনের দিকে উড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচলে অভ্যস্ত। তাই এসব বিষয় মাথায় রেখে তাদের জন্য তুলনামূলক বড় খাঁচা প্রয়োজন। তবে কমপক্ষে ১২"-১৮” ইঞ্চি মাপের খাঁচা দেয়া উচিত।
৮। খাবার:
এদের প্রধান খাদ্য শষ্যদানা। এরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের ঘাসজাতীয় গাছের বীজদানা যেমন - চিনা, কাউন, গুজিতিল, তিশি, পোলাও ধান, মিলেট মিক্স, ক্যানারী সিড ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এসকল বীজদানা নির্দিষ্ট অনুপাতে একসাথে মিশিয়ে খাওয়ালে ডাভ পরিমিত পুষ্টি পাবে। বীজদানাগুলো অবশ্যই ধুলাবালিমুক্ত হতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এবং ফলমুল রয়েছে ঘুঘু পাখির খাদ্যতালিকায়। অন্যান্য খাঁচার পাখির মত বীজের খোসা ছাড়িয়ে না খেয়ে বীজ সরাসরি গিলে ফেলে। তাই ডাভের জন্য খাঁচায় গ্রীটের ব্যবস্থা করা আবশ্যক। গ্রীট এদের খাবার হজমে সাহায্য করে। এছাড়া খাঁচায় সবসময় পরিষ্কার ফুটানো পানি দিয়ে রাখতে হবে।
৯। রোগ ও চিকিৎসা:
ডায়মন্ড ডাভ এর রোগ নেই বললেই চলে । তবে কিছু সময় এদের পা অকেজো হতে দেখা যায়। এছাড়াও প্রজননকালীন বাচ্চা মারা যেতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে প্রতিমাসে তিনদিন ক্যালপ্লেক্স এবং তিনদিন ভিটামিন বি কমপ্লেক্স দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও উন্নত মানের গ্রিট সার্বক্ষণিক কাছারি রাখলে হজমক্রিয়ায় সহযোগিতা করে ফলে রোগ কম হয়।
১০। প্রজনন উপযুক্ত সময়:
প্রকৃতিতে ঘুঘুকে ভারী বৃষ্টিপাতের পর প্রজনন করতে দেখা যায়। এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকে এবং ব্রিডিং সিজনে পুরুষ ঘুঘু বাসা তৈরী করার পর স্ত্রী ঘুঘুকে মেটিং এর ক্যু ক্যু শব্দে ডেকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। পুরুষ ঘুঘু ডাকার সময় তার লেজগুলো হাতপাখার মত মেলে ধরে।খাঁচায় পোষা ঘুঘুকে সারাবছরই প্রজনন করানো যায়। ডায়মন্ড ডাভ সাধারণত ৬ মাস বয়স হলেই ডিম পাড়ার উপযোগী হয়। তবে ব্রিডিং করানোর জন্য বয়স এর চেয়ে বেশি হলে ভাল হয়।