Рет қаралды 433
৩০০ বছর পুরনো জমিদার বাড়ির ইতিহাস ||History of 300 year old house || ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা ২০২৩
ময়মনসিংহ জেলায় যে কয়টি রাজবাড়ি আছে, তার মধ্যে মুক্তাগাছা রাজবাড়ি অন্যতম। ১৭২৫ সালে শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্য জমিদারিটি প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুর্শিদ কুলি খাঁর কাছ থেকে শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্য তাঁর কৃতিত্বের পুরস্কার স্বরূপ বিনোদবাড়ির জমিদারি পান। মুক্তাগাছার আগের নাম ছিল বিনোদবাড়ী। এই জমিদারের পূর্বপুরুষরা ছিলেন বগুড়ার অধিবাসী। জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্য প্রথম বগুড়া থেকে নৌকাযোগে ব্রহ্মপুত্র পাড়ি দিয়ে ময়মনসিংহে আসেন। তিনি যে স্থানে অবতরণ করেন, তা রাজাঘাট নামে পরিচিত। রাজা বসবাসের অনুপযুক্ত স্থানকে পরিষ্কার করে বসতি স্থাপন করেন।
তিনি ময়মনসিংহজুড়ে ১৬ হিস্যার জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে তাঁর চার ছেলে যথাক্রমে রাম রাম, হরে রাম, বিষ্ণু ও শিবরাম এবং এঁদের বংশধররা পর্যায়ক্রমে জমিদারি পরিচালনা করেছেন। মুক্তাগাছার এই রাজবাড়ি ছিল হরে রামপুত্র জগৎ কিশোর আচার্য্য চৌধুরীর। তিনি ছিলেন আটানীর জমিদার এবং তৎকালের অন্যতম প্রভাবশালী জমিদার। প্রায় ৩০০ বছরের প্রাচীন এই জমিদারবাড়িটি এখন ভগ্নপ্রায়, তবুও সগর্ভে জানান দিয়ে যায় আমাদের ঐতিহ্যকে। বহু বছর কেটে গেছে, মুক্তাগাছা জমিদারবাড়ি হারিয়েছে আগের সেই ঐশ্বর্য, কোনোভাবে টিকে আছে যেন। রাজবাড়ির সামনে গেলেই চোখে পড়বে ধূসর দরজা। একসময় এই দরজাটিই ছিল সিংহ দরজা, যা সময়ের পরিক্রমায় পরিণত হয়েছে একটি ভগ্ন দরজায়। যখন দরজা পেরিয়ে ভেতরে পা রাখলাম, মনে হলো যেন পৌঁছে গেছি ৩০০ বছর আগের সেই সময়ে। মনে হচ্ছিল আমিই এই রাজবাড়ির রাজা, এখনই এসে কুর্নিশ করবে একদল পাইক-পেয়াদা। কিন্তু ইচ্ছে করলেই কি হয়, রাজা যে এখানে নেই এখন, শুধু এই ভগ্ন বাড়িটা ছাড়া।
যা হোক, রাজবাড়ির মূল ফটক বা সিংহ দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে বেশ কিছু খালি ফোকর। সেখানে ছিল সিমেন্ট, চিনামাটি ও মূল্যবান পাথরে তৈরি সিংহ। রাজপ্রাসাদের আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে ফটকের দুই পাশে করিডরের পাশে তিনটি করে মোট ছয়টি সিংহমূর্তি ছিল। সে কারণেই এই ফটকটির নাম ছিল সিংহ দরজা। সিংহ দরজা পেরিয়ে একটু এগোলেই খানিকটা খোলা জায়গা, অনেকটা বাড়ির আঙিনার মতো। আরেকটু এগোলেই চোখে পড়বে একটি মন্দির। এখানে নিয়মমতো পূজা করা হতো। এখানকার কষ্টিপাথরের বিগ্রহ চুরি হয়ে গেছে আগেই, তাই শূন্যই পড়ে আছে পূজামণ্ডপ। পূজামণ্ডপের মেঝে মূল্যবান মার্বেল টাইলস বিছানো ছিল, লোপাট হয়েছে সেগুলোও। এমনকি বাদ যায়নি দরজা-জানালার কপাটও। মন্দির থেকে হাতের ডান পাশেই ফাঁসির ঘর। এখানে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো অপরাধী এবং অবাধ্য প্রজাদের। এই ঘরের সামনে ছিল একটি বড় গর্ত, যা এখন ভরাট অবস্থায় আছে। এই গর্তেই ফেলে দেওয়া হতো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া লাশদের। গর্তের সঙ্গে ছিল ব্রহ্মপুত্র নদের যোগসূত্র। জোয়ারের পানিতে ভেসে যেত ওই সব মানুষের লাশ।
#muktagacha
#জমিদারবাড়ি
#রাজবাড়ী
#রাজার_বাড়ি
#পুরনো_বাড়ি
#৩০০বছর_পুরনো_বাড়ি
#travel
#trending
#viral
#Video
#Moymonsing
#ময়মনসিংহ
#Sip_143
#SIP_143