Рет қаралды 7,319
Agriculture বা কৃষি নিয়ে পড়ে চাকরি আর চাকরি।।।
কৃষিই কৃষ্টি। এ দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। কৃষিতে উন্নতির কারণে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিকে এগিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একাধিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। কৃষিতে পড়াশোনা করে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনেক ভালো চাকরি পাওয়া যায়। রয়েছে দেশের বাইরে কৃষি নিয়ে কাজ করার অপার সুযোগ। সব
মিলিয়ে কৃষিবিদদের দিগন্ত এখন অনেক বিস্তৃত। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশ কয়েকটি অনুষদে কৃষিভিত্তিক পড়াশোনা করানো হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও কৃষি বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অনুষদের চাকরির ক্ষেত্র বেড়েছে। ভালো ফল করলে সেখানে শিক্ষকতার সুযোগও থাকছে। অনেকেই সরকারি কলেজেও শিক্ষকতা করছেন।
বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (বিসিএস) পরীক্ষায় কৃষিবিদেরা টেকনিক্যাল ও সাধারণ উভয় ক্যাডারে আবেদনের সুযোগ পাওয়ায় দেশের সব কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারবেন। তা ছাড়া কৃষি ব্যাংকগুলোতে অগ্রাধিকারসহ দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব ব্যাংকে চাকরি করছেন কৃষিবিদেরা। বিভিন্ন সরকারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে লেকচারার হয়ে যোগ দেওয়া যায়। কৃষি অনুষদ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা বিসিএসের মাধ্যমে উপজেলাগুলোতে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হয়ে যোগ দেন। এই কৃষিবিদদের খুবই পছন্দের জায়গা হলো সরকারি কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৃত্তিকা গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হয়ে যোগ দিচ্ছেন।এ ছাড়া অনেক কৃষিবিদ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলেও কৃষিবিদরা কাজ করছেন। এ ছাড়া সার কারখানা, চিনিকল, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, কীটনাশক তৈরির কারখানা,ব্র্যাক, ব্রিটিশ আমেরিকান
টোব্যাকো কোম্পানিতেও কাজ করছেন।