Рет қаралды 625,075
গুরু, এই শব্দটি শুনলেই যার ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে তিনি হলেন জেমস। কখনো তিনি নগর বাউল, কখনো রকস্টার আবার কখনো গুরু জেমস। তার নামটা একটা ব্রান্ড। শৈশবে পরিবার থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এই মানুষটি আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে একটি ইউনিক ব্রান্ডের নাম। তার গাওয়া মা গানটি কিংবা বাবা কতদিন দেখিনা তোমায় গানটি শুনে কান্না করেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব দুষ্কর। উপমহাদেশের সবথেকে বেশি পারিশ্রমিক নেয়া রকস্টারদের মধ্যে তিনি একজন। অথচ একটা সময় ছিল, যখন হোটেলে সামান্য একপ্লেট ভাত খাবার টাকাও তার পকেটে ছিল না। দিনের পর দিন মানুষের টাকায় চলেছেন। আজকে আমরা জানবো গুরু জেমসের জীবনী সম্পর্কে। তো চলুন শুরু করা যাক।
গুরু জেমসের জন্ম ১৯৬৪ সালের দোসরা অক্টোবর নওগাঁ জেলায়। তবে তিনি বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে। জেমসের আসল নাম ফারুক মাহফুজ আনাম। শিক্ষিত পরিবারে জন্মালেও ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগ ছিল না জেমসের। তার বাবা মোজাম্মেল হক ছিলেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী। মা জাহানারা খাতুন ছিলেন গৃহিনী। একসময় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জেমসের বাবা। ছোটবেলা থেকেই জেমসের গান-বাজনা পছন্দ হলেও তার বাবা-মা গান-বাজনা পছন্দ করতেন না। শৈশবে গিটারের টানে পাগল হয়ে একসময় গানের ব্যাপারে ভিশন আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু তার বাবা-মা কেউই চাননি ছেলে গানের দলে যুক্ত হোক। তার বাবা চাইতেন, তার ছেলেও সরকারি চাকুরী করবে।