Рет қаралды 1,403
Audio Golpo :গল্প- শ্বেত পাথরের টেবিল ।। রচনা- সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, পর্ব ১ ,গল্প পাঠ: রত্না বিশ্বাস, sanjib chattopadhyay audio story
‘শ্বেতপাথরের টেবিল’, এই গল্পটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে পাঠক সমাজের থেকে বিপুল সাড়া পান সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। গল্প পড়ে চিঠি লেখেন আবু সৈয়দ আইয়ুব ও তাঁর স্ত্রী গৌরী আইয়ুব। এই গল্পটি সাহিত্যিককে পৌঁছে দিয়েছিল খ্যাতির শীর্ষে। তারপর আর তাঁকে পিছন ফিরে তাকাতে হয় নি। এরপর তিনি লিখেছেন একের পর এক গল্প, উপন্যাস, হাসির গল্প ও ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেব, মা সারদা, স্বামী বিবেকোনন্দকে নিয়ে অসংখ্য প্রবন্ধ। আজ তাঁর লেখা বিখ্যাত সেই হাসির গল্প শ্বেতপাথরের টেবিল পাঠ করলেন বাচিক শিল্পী রত্না বিশ্বাস। গল্পের কিছু অংশ:
শ্বেতপাথরের টেবিলটা ছিল দোতলায়, দক্ষিণে রাস্তার ধারের জানালার পাশে। ঠিক চৌকোও নয়, গোলও নয়। চারপাশে বেশ ঢেউ-খেলানো। অনেকটা আলপনার মতো। বেশ বাহারি একটা ফ্রেমের ওপর আলগা বসানো। নিজের ভারেই বেশ চেপে বসে থাকত। পাথরটা প্রায় মণ দুয়েক ভারী। ফ্রেমের চারদিকে জাফরির কাজ করা কাঠের ঝালর লাগানো ছিল। সারা ফ্রেম ঘিরে ছিল অসংখ্য কাঠের গুলি। গোল গোল ডাম্বলের মতো। দুদিক সরু। অনেকটা পালিশ করা পটলের মতো। ঘোরালে সেগুলো বনবন করে ঘুরত। পায়া চারটে ছিল কারুকার্য করা থামের মতো। তলায় ছিল ভরাট পাদানি।
যে বয়সে আমার বাবার যৌবন ছিল, মাথায় একরাশ কোঁকড়ানো কালো চুল ছিল, সামনে চেরা সিঁথি ছিল, ঠোঁটের ওপর বাটারফ্লাই গোঁফ ছিল, যে বয়সে তিনি বিকেলে পায়ে বার্নিশ করা জুতো পরে, ইয়ংসাহেবের উপহার দেওয়া গ্রেহাউন্ড চেনে বেঁধে নদীর ধারে বেড়াতে যেতেন। সেই সময় টেবিলটারও যৌবন ছিল। বাবাই কিনেছিলেন নিলাম থেকে। টেবিল আর কড়িকাঠ থেকে ঝোলানো যায় এমন একটা দোলনা একই সময় বাড়িতে এসেছিল।...
চ্যানেলের নাম: সঞ্জীবনী সুধা।সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত ও আশীর্বাদ ধন্য এই চ্যানেল।‘Sanjibani Sudha’,Apurba Chatterjee, apuch1964@gmail.com , apurba.chatterjee.313?mibextid=ZbWKwL,@apurba1964।