বিসিএস প্রিলি ও লিখিত প্রস্তুতি একসাথে নেওয়া উচিত কিনা?
- আমার পরামর্শ হলো নতুনদের মূল ফোকাস থাকা উচিত প্রিলিমিনারি পাশ। এটা সবচেয়ে কঠিন ধাপ।
তবে কেউ যদি লিখিত সম্পর্কে একটা ধারণা রাখতে ও কিছুটা এগিয়ে থাকতে চায় তার উচিত লিখিত সিলেবাস এবং ৩৫ থেকে সর্বশেষ বিসিএস লিখিত প্রশ্নগুলো ভালোভাবে দেখে নেওয়া।
আসুন দেখে নিই বিসিএস পরীক্ষায় পাশ বা ফেল কীভাবে হিসাব করা হয়-
বিসিএস পরীক্ষায় পাশ বা ফেল-
(অনেকের প্রশ্নের জবাব একসাথে- ৪০তম বিসিএস এর সার্কুলারের পর লেখা)
1. প্রিলিমিনারী:
এই পরীক্ষায় পাশ বা ফেল নেই। যতগুলো পদের জন্য সার্কুলার হয় তার সাত-নয়(৭-৯ ) গুণ লিখিত পরীক্ষায়অংশগ্রহণ করতে পারে। যেমন, ৪০তম বিসিএস এ ১৯০৩ টি পদের সার্কুলার হয়েছে, প্রিলি কোয়ালিফাই করবে ১৯০৩*(৭-৯) (সামান্য কমবেশি)
2. লিখিত
লিখিত ৯০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৪৫০ পেলেই ভাইভা দিতে পারবেন। কোন বিষয়ে শূন্য পেয়েও মোট ৪৫০ হলেই লিখিত পাশ।
এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, কোন বিষয়ে ৩০% (১০০তে ৩০, ২০০তে ৬০, ৫০এ ১৫) এর কম পেলে এটি শূন্য হিসেবে যোগ হবে।
3. ভাইভা:
ভাইভা পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৫০% নম্বর। ২০০ এর মধ্যে ১০০ এর কম পেলে ফেল। ১০০ বা এর উপর পেলে পাশ।
যাঁরা পাশ করে তাদের থেকে মেরিটে(লিখিত+ভাইভা নম্বর) যাঁরা এগিয়ে থাকবে তাঁরা ক্যাডারের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হবে। বাকিরা নন-ক্যাডার লিস্ট এ থাকবে। পরবর্তীতে বিভিন্ন দপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী সেখান থেকে নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।
জোনায়েদ হোসেন
বিসিএস তথ্য (৩৫) মেধাক্রম: ১ম
বিসিএস কর (৩৬) মেধাক্রম: ৩য়
বিসিএস প্রশাসন (৩৭) মেধাক্রম: ৫৮তম
#bcs #preliminary #written