এগিয়ে যাও আম্মু, আল্লাহ তাআলা তোমাকে আরো বেশি করে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর তাওফিক দান করুক, আমিন, আরো ভালো হবে যদি পর্দার ভিতর থেকে অসহায় মানুষদের পাশে দাড়াও আম্মাু।

১. বুখারি-মুসলিমদের কিতাব লেখার দায়িত্ব দিলো কে? ‘সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে। অতঃপর বলে, ‘এটা আল্লাহর নিকট হতে, যাতে তারা তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করতে পারে। তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শাস্তি তাদের এবং যা তারা উপার্জন করে তার জন্য শাস্তি তাদের (সূরা-২, বাকারা, আয়াত-৭৯)। ২. কুরআনের বাইরে থেকে চমকপ্রদ কথা যারা দীনের কথা বলে তারা নবির শত্রু-শয়তান। ‘এরূপে আমি মানব ও জীনের মধ্যে শয়তানদের প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছি, প্রতারণার উদ্দেশ্যে তাদের একে অন্যকে চমকপ্রদ বাক্য দ্বারা প্ররোচিত করে। যদি তোমার রব ইচ্ছা করতেন তবে তারা ইহা করত না। সুতরাং তুমি তাদেরকে ও তাদের মিথ্যা রচনাকে বর্জন কর (সূরা-৬, আন‘আম, আয়াত-১১২)। *‘রাসূল বলবেন, ‘হে আমার রব! আমার সম্প্রদায় তো এই কুরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করেছিল। আল্লাহ বলেন, এভাবেই প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছিলাম আমি অপরাধীদেরকে। তোমার জন্য তোমার রবই পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট (সূরা-২৫, ফুরকান, আয়াত: ৩০-৩১)। ৩. কুরআন ব্যতীত দীনের নামে সকল কিতবা বাতিল। আর নিশ্চয়ই তাদের মধ্যে একদল লোক আছেই যারা কিতাবকে জিহ্বা দ্বারা বিকৃত করে যাতে তোমরা তাকে আল্লাহর কিতাবের অংশ মনে কর; কিন্তু তা আল্লাহর কিতাবের অংশ নয় এবং তারা বলে, ‘তা আল্লাহর পক্ষ হতে', কিন্তু তা আল্লাহর পক্ষ হতে নয় (সূরা-৩, আলে-‘ইমরান, আয়াত-৭৮)। ৪. কুরআনের বাইরের কিতাব থেকে যারা দীন প্রচার করে তারা পুস্তকবহনকারী গাধা: যাদেরকে তাওরাতের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা তা বহন করে নি, তাদের দৃষ্টান্ত পুস্তক বহনকারী গর্দভ! কত নিকৃষ্ট সে সম্প্রদায়ের দৃষ্টান্ত যারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে। আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না (সূরা-৬২, জুমু‘আ, আয়াত-৫)। ৫. কুরআনের বাইরে থেকে যারা দীনের কথা বলে তারা তাগুত, জাহান্নামি। ‘যারা ঈমান আনে আল্লাহ্ তাদের ওলী, তিনি তাদেরকে অন্ধকার হতে বের করে নূরে নিয়ে যান। আর যারা অবিশ্বাস করে তাগূত তাদের আঊলিয়া, এরা তাদেরকে নূর (কুরআন) হতে অন্ধকারে (মানব রচিত কিতাবে) নিয়ে যায়। এরাই অগ্নিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে (সূরা-২, বাকারা, আয়াত-২৫৭)। ৭. কুরআনের বাইরের বিষয় দীন হিসেবে মানলে শাস্তি। ‘বলো, ‘নিজ হতে এ (কুরআন) বদলানো আমার কাজ নয়। আমার প্রতি যা ওহী হয়, আমি কেবল তারই অনুসরণ করি। আমি আমার রবের অবাধ্যতা করলে অবশ্যই আমি মহাদিবসের শাস্তির আশংকা করি (সূরা-১০, ইউনুস, আয়াত-১৫)। ৮. অনুমান ও অধিকাংশ মানুষের কথা মানা যাবে না। *‘হে মু‘মিনগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান হতে দূরে থাকো; কারণ অনুমান কোন কোন ক্ষেত্রে পাপ (সূরা- ৪৯, হুজুরাত, আয়াত-১২)। *‘সত্য ও ন্যায়ের দিক দিয়ে তোমার রবের বাণী পরিপূর্ণ। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নেই। আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চলো তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করবে। তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে; আর তারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে (সূরা-৬, আন‘আম, আয়াত: ১১৫-১১৬)।

আপনি এতো বড় পির এখানে কি করছেন?