চিকা ভবনটি গঠিত ছিল যদিও ভবনটির পশ্চিমাংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হবার পরে অবশিষ্ট ভবনের সাথে পাণ্ডুয়ার একলাখী ভবনের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এই ভবনটির চারিদিকে চারিটি প্রবেশ পথ আছে। ভবনটির পশ্চিম দেওয়ালের দরজা ও লিন্টেলের পাথরের মধ্যে বিলুপ্ত অবস্থায় হিন্দু মূর্তি এবং দেওয়াল গায়ে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি উল্টানো অবস্থায় দেখা যায়। সুলতানী যুগে রাজকার্য পরিচালনার জন্য এটি একটি অন্যতম ভবন ছিল। সুলতান হোসেন শাহর মন্ত্রী শ্রীসনাতন দাবিরখাস এক সময় এই ভবনে তাঁর নিজ দপ্তরে অন্তরীণ অবস্থায় ছিলেন। একসময় এই ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল , পরে যখন সুলতানী আমলের ইমারত গুলি ঝোপজঙ্গল কেটে বের করা হয় তখন দেখা যায় এখানে হাজার হাজার চামচিকা বসবাস করছে। তার ফলে এর নাম হয় চামকান মসজিদ বা চিকা মসজিদ। মসজিদ বলে উল্লেখ করলেও সুলতানী আমলের এই এক গম্বুজ বিশিষ্ট স্থাপনাটি আগে সত্যি সত্যিই মসজিদ ছিল নাকি অন্যকিছু ছিল তা এখনো ঐতিহাসিকভাবে স্পষ্ট নয়। আবার কারো কারোর মতে এটি ততকালীন সময়ে অসংখ্য প্রশাসনিক দপ্তরের মধ্যে একটি দপ্তর ছিল । এরই অনতি দূরে দেখা যায় গুমতি দরওয়াজা। যেটুকু জানা যায় সেই সময় প্রশাসনিক ও বিচারবিভাগীয় প্রয়োজনে যে সমস্ত সাধারন মানুষ এখানে আসতেন তাদের এই এলাকায় প্রবেশ করার জন্য ব্যবহার করা হট এই গেট বা এই ভবনটি । এখানে সবসময় সেনা মোতায়েন থাকতো।
বন্ধুরা , যদি ভিডিও ভালো লাগে তাহলে লাইক কমেন্ট, সেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করে চ্যানলের সঙ্গে থাকবেন এই আশা রাখি ।
ব্যক্তিগত মতামত ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিচের মেইল আইডি তে মেইল করুন। manasbangla9@gmail.com
Stay Connected with me on Social Network :
Twitter : / manasbangla
Facebook : / manasbangla
Instagram : / manasbangla