Рет қаралды 3,779,838
কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকার / কিডনি ব্যথার কারণ / কিডনি ব্যথার লক্ষণ / কোমর ব্যথার চিকিৎসা /কিডনির ব্যথা কেমন
কোমর ব্যথার চিকিৎসা নিজে কিভাবে করবেন
kzfaq.info/sun/PLWkzvrvMTOHmfTgN9Nwc6uQ9FPslqnNaB
ডাঃ সাইফুল ইসলামকে সরাসরি দেখাতে বা অনলাইনে কনসালটেনসি করতে এপয়েন্টম্যান্ট করুন নিচের লিঙ্ক থেকে
book/drsaifulpt/
ডাঃ সাইফুলের ফেইসবুক
drsaifulpt
কোমর ব্যথা নাকি কিডনি ব্যথা কিভাবে বুঝবেন
কিডনি আর কোমর এক জায়গায় অবস্থান করে । দুটো কিডনি আমাদের কোমরের হাড় এবং শেষ বক্ষপিঞ্জের মাঝে দুই পাশে অবস্থান করে । তাই কোমর ব্যথা হলে আমরা বিপদে পরে যাই ব্যথাটা কি কিডনি থেকে এল, নাকি কোমরের কোন হাড়, মাসল, নার্ভ, ডিস্কের সমস্যা থেকে আসতেছে ।
আসলে কোমর ব্যথা আর কিডনি ব্যথা শনাক্ত করা কঠিন কোন বিষয় নয় । ব্যথার অবস্থান, কি ধরনের ব্যথা , ব্যথার তীব্রতা এইসব থেকেই আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি আমাদের ব্যথা কি কিডনি থেকে আসছে, নাকি কোমরের কোন সমস্যা থেকে আসছে ।
কিডনি ব্যথা সাধারণত কিডনিতে কোন ইনফেকশন কিংবা কিডনিতে কোন পাথর জমা হলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে । কোমর ব্যথা সাধারণত কোমরের কোন হাড়, মাংসপেশি, নার্ভ, ডিস্কে কোন সমস্যা হলে কোমর ব্যথা হতে পারে ।
কিডনি ব্যথা এবং কোমর ব্যথা সহজে বুঝার কিছু বৈশিষ্ট্য
১। কিডনি যেহেতু আমাদের কোমরের হাড় এবং শেষ বক্ষপিঞ্জরের মাঝে অবস্থিত । তাই কিডনি ব্যথা হলে কোমরের একটু উপরে যেকোন এক পাশে ব্যথা হবে । অনেক সময় কোমরের দুই পাশেও ব্যথা হতে পারে । কিডনি ব্যথা সাধারণত কোমরের পিছনের দিকে হয় না ।
কোমর ব্যথা সাধারণত কোমরের পিছনের দিকে মাঝখানে কিংবা পাশে মাসলে হয় । কোমর ব্যথার ক্ষেত্রে সাধারন অনেক ক্ষণ বসে থাকা কিংবা কোমরে আঘাতের ইতিহাস থাকে । যেমন - সামনে ঝুঁকে ভারি কিছু তুলতে গিয়ে আঘাত পাওয়া, যেকোন ধরেনর একসিডেন্টের ইতিহাস থাকতে পারে ।
২। কিডনিতে পাথর হলে খুব শার্প ( ধারালো ) ব্যথা হয় এবং কিডনিতে ইনফেকশন হলে ভোঁতা ( ঢাল) ব্যথা হয় । কিডনি চিকিৎসা না হওয়া পর্যন্ত কিডনি ব্যথা চলতে থাকে ।
কোমরে হাড় মাংস নার্ভে কোন সমস্যা হলে কোমর ব্যথা কখনও তীব্র হয়ে যায় কিংবা কমে যায় । কখনো ভাল , কখনো খারাপ কোমর ব্যথা এইভাবেই চলতে থাকে ।
৩। কিডনি ব্যথা অনেক সময় রেফার্ড হয়ে তলপেটেও হতে পারে ।
ডিস্ক প্রলাপসজনিত কোমর ব্যথা কোমর থেকে পা পর্যন্ত চলে যায় । কারণ ডিস্ক বের হয়ে এসে সায়াটিকা নার্ভে চাপ দেয় ।
৪। কিডনিতে ইনফেকশন হলে ব্যথার সাথে জ্বরও হতে পারে ।
সাধারন কোমর ব্যথার ক্ষেত্রে জ্বর বা ওজন কমার কোন ইতিহাস থাকে না ।
৫। কিডনিতে ব্যথা হলে সাথে সাথে প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া সমস্যা হতে পারে , প্রস্রাব কালো হতে পারে , প্রস্রাব আর্জেন্সি হতে পারে ।
ডিস্ক প্রলাপস জনিত কোমরে ব্যথার ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রস্রাব আটকে রাখতে সমস্যা হয় । তবে কোমর ব্যথার সমস্যায় প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হয় না ।
৬। কিডনি ব্যথা যখন শুরু হয় , তখন সেটার চিকিৎসা না হওয়া পর্যন্ত ব্যথা একই ভাবে চলতে থাকে।
অপরদিকে কোমরে মাসল, নার্ভ জনিত ব্যথা বছরের পর বছর বেশি কম চলতে থাকে ।
৭। ডিস্ক প্রলাপস জনিত কোমর ব্যথায় কোমরের নার্ভ রুটে চাপ পরে , সেইজন্য ব্যথার সাথে সাথে ঝিন ঝিন বা অবশ অবশ অনুভূতি হতে পারে । কিডনি সমস্যার ক্ষেত্রে পায়ের দিকে ঝিন ঝিন বা অবশ অবশ অনুভূতি হয় না ।
তবে কোমর ব্যথা ভালভাবে শনাক্ত করতে চিকিৎসা করার জন্য আপনার নিকটবর্তী চিকিৎসকের কাছে যাবেন । চিকিৎসক আপনাকে ফিজিক্যালি দেখে , এসেস করে এবং প্রয়োজনীয় কিছু টেস্ট করে কনফার্ম করে দিবে আপনার কি সমস্যা । সঠিক ভাবে চিকিৎসা করলে কোমর ব্যথা থেকে ভাল হওয়া মোটেই কোন কঠিন বিষয় নয় । তবে এর জন্য আপনাকে আগে বুঝতে হবে আপনার কোমর ব্যথা কেন হচ্ছে ।
ধন্যবাদ
ডাঃ সাইফুল ইসলাম,পিটি
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার
উত্তরা, ঢাকা ।
physio.Drsaiful/