Рет қаралды 326,214
রাতে শুভেন্দু অধিকারী-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-প্রশান্ত কিশোর বৈঠক, দুপুরেই ছন্দপতন। ‘একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল, মাফ করবেন,’ সৌগত রায়কে হোয়াটস অ্যাপ শুভেন্দুর। ‘আমার বক্তব্যের এখনও সমাধান করা হয়নি। সমাধান না করেই আমার ওপর সব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৬ ডিসেম্বর আমার সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল। সাংবাদিক সম্মেলন করে সব জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সংবাদমাধ্যমকে সব জানিয়ে দিলেন। ফলে একসাথে কাজ করা মুশকিল, মাফ করবেন,’ সৌগতকে হোয়াটস অ্যাপ করে জানালেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর মেসেজ পেয়েছি, জানালেন সৌগত। ‘কালকের বৈঠকে যা হয়েছিল, সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে জানিয়েছিলাম। কালই বলেছিলাম শুভেন্দু পরে বলবে। এরপর শুভেন্দু মত পরিবর্তন করলে তার সিদ্ধান্ত,’ শুভেন্দুর হোয়াটস অ্যাপ নিয়ে প্রতিক্রিয়া সৌগতর। ‘দলের সঙ্গে সমঝোতা সম্ভব নয়, এটা হওয়ারই ছিল,’ শুভেন্দুকে নিয়ে মন্তব্য কৈলাস বিজয়বর্গীয়র।
এ বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত জানিয়েছেন, ‘আমি আপনাদের কাছে সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে বলেছি, গতকালের বৈঠকে যা হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া আরও চারজন উপস্থিত ছিলাম। যদি উনি মন পরিবর্তন করে থাকেন, তাহলে সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার। তিনি আপনাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। এর বেশি আমি কিছু বলব না।’
এ প্রসঙ্গে এবিপি আনন্দকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমি বৈঠকে ছিলাম না। আমি কিছু জানি না কী আলোচনা হয়েছে। বৈঠক যে হচ্ছে সেটাও জানতাম না। আপনাদের চ্যানেলের মাধ্যমেই জানতে পেরেছিলাম। আমি আনন্দ পেয়েছিলাম। এতটাই আনন্দ পেয়েছিলাম, রাত দেড়টা পর্যন্ত ছেলের সঙ্গে আড্ডা মেরেছি। এখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে ভাল হত।’
এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, খোকাবাবুকে সন্তুষ্ট করতে বুড়ো খোকারা নেমেছেন। কিন্তু তাঁরাও ড্যামেজ কন্ট্রোলে ব্যর্থ।