শিয়াল মুরগির সব বাচ্চা গুলি কে খেয়ে ফেললো। মুরগি শিয়াল কে কিভাবে মারলো
একটি গ্রামে দুটি মুরগি থাকতো। তারা দুজনে স্বামী ও স্ত্রী ছিলো। তাদের একটি ছোটো বাড়ি ছিলো। তারা সেই ছোটো বাড়িতে সুখে শান্তিতে থাকতো। একদিন স্ত্রী মুরগি দুটি ডিম দিয়েছিলো। পুরুষ মুরগিটি বললো আমদের দুটি সন্তান হয়েছে যাই আমি এদের জন্যে খাবার খুঁজে আনি ,এই বলে সে খাবার খুঁজতে চলে যায়। স্ত্রী মুরগী টি ডিমের উপর তা দিতে বসে পড়লো। কিছুদিন যাবার পর সেই ডিম গুলি থেকে বাচ্চা বের হলো। মা বাবা আর দুটি ছেলে মিলে আনন্দে ছিলো। কিছু দিন জাবার পর বাচ্চা দুটি বড়ো হলো। তাদের বাবা তাদেরকে জঙ্গলে নিয়ে গেলো, কিভাবে খাবার খুঁজতে হয় তা শিখানোর জন্য। ছেলে গুলিকে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া বিপদ হলো। সেই জঙ্গলে একটি গুফা ছিলো সেই গুফা তে একটি শিয়াল থাকতো। মুরগি জানতো না যে এই গুহা তে শিয়াল আছে। সে তার বাচ্চা গুলি কে নিয়ে সেই গুহার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলো, তখন শিয়াল মুরগি ও তার বাচ্চা গুলিকে দেখে নেয়। শিয়াল মনে মনে ভাবলো এই মুরগির বাচ্চা গুলিকে মেরে খেতে হবে। অনেক দিন পর নরম মুরগির মাংস খাবো। সে সেই মুরগির বাচ্চা গুলির উপর লোক্ষ রেখেছিলো। একদিন সেই বাচ্চা গুলির মা ও বাবা তাদেরকে বাড়িতে রেখে তারা জঙ্গলে চলে যায় খাবার খোঁজার জন্যে। শিয়াল বললো এটাই ভালো সুযোগ এই সময় বাচ্চা গুলিকে খেয়ে ফেলতে হবে। এই বলে সে সেই বাচ্চা গুলিকে মেরে খেয়ে ফেললো। শিয়াল যখন বাচ্চা গুলিকে মারছিলো তখন গাছের উপর থেকে একটি পাখি দেখেছিলো। তাদের মা বাবা যখন খাবার খুঁজে বাড়িতে আসে তখন তারা তাদের বাচ্চাদেরকে দেখতে পায়না। তারা চিৎকার শুরুকরে দিলো। তাদের চিৎকার শুনে পাখিটি বললো তোমাদের বাচ্চাদেরকে শিয়াল মেরে দিয়েছে। পাখির কথা শুনে তারা কাঁদতে লাগলো। এর প্রতিশোধ আমরা নেবো। মুরগি পাখিকে বললো তুমি আমার একটা সাহায্য করো। তুমি শিয়ালকে গিয়ে বলবে মুরগির আবার বাচ্চা হয়েছে। পাখি শিয়ালের কাছে গেলো। পাখি শিয়ালকে বললো আমি এই দেখে এলাম মুরগির আবার বাচ্চা হয়েছে। শিয়াল পাখিকে ধন্যবাদ দিলো আর বললো আমি এখন নি যাবো আর ওই বাচ্চা গুলিকে মেরে খাবো। এই বলে শিয়াল রওনা দিলো। মুরগি শিয়াল কে মারার জন্য একটি ফাঁদ পাতলো। শিয়াল এসে দেখলো সেখানে কেউ নেই। সে যেই আগাতে শুরু করলো সে সেই ফাঁদে পড়ে গেলো। ফাঁদে পড়ে শিয়াল মারা গেলো। মুরগি আবার বাচ্চা হলো এবার তারা তাদের বাচ্চাদের কে লোক্ষ রেখেছিলো।