Рет қаралды 34,163
শিশুর দেরিতে কথা বলা নিয়ে বলেছেন
শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ
ডা. সোমা হালদার
সহযোগী অধ্যাপক, শিশু বিভাগ
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ
চেম্বারঃ
আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ধানমন্ডি ৮, ঢাকা)
রুম নং: ২৫০, ব্লক-বি, ২য় তলা
শনি থেকে বৃহস্পতিবার
এপয়েন্টমেন্ট 01747 875 480
রোগী দেখার সময়ঃ
সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা
বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা
তিন থেকে ছয় মাস বয়সি শিশুর ভাষার বিকাশ
এসময় শিশু মূলত বুঝতে শিখে কীভাবে একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের সঙ্গে কথা বলে৷
আপনি যা করতে পারেন:
১. শিশুকে যতটা সম্ভব নিজের কাছে রাখুন যেন শিশু আপনার চোখ দেখতে পারে।
২. আগের মতোই কথা বলুন ও হাসুন।
৩. এ বয়সের শিশুরা আ অ ও ই এই জাতীয় শব্দ করে। শিশুর শব্দকে আপনিও অনুকরণ করুন। এখানে শিশু যোগাযোগ শিখতে পারবে।
৪. আপনি যা বলেছেন শিশু তা অনুকরণ করা মাত্রই আপনি আবারও সঙ্গে সঙ্গে তা অনুকরণ করুন। সঙ্গে সঙ্গে না করলে শিশু বুঝবে না যে আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
ছয় থেকে নয় মাসের শিশুর ভাষার বিকাশ
শিশুরা ৬ থেকে ৯ মাস সময়ে বিভিন্ন ধরনের শব্দ করবে। এ শব্দ করাটা শিশুর জন্য এক ধরনের খেলা। শিশু মুখ দিয়ে যে সব শব্দ করবে তা শুনতে অর্থবোধক শব্দের মতো হলেও এগুলোর কোন অর্থ নেই। যেমন- বা বা... দা... দা...। শিশু এসময় অন্যের কণ্ঠ থেকে অন্যের অনুভূতি বুঝতে শিখে, সেই অনুযায়ী আচরণ করে। যেমন- রাগী কণ্ঠে কথা বললে শিশু কান্না করে, আনন্দের স্বরে কথা বললে শিশু হাসি দেয়।
আপনি যা করতে পারেন-
১. শিশুর সঙ্গে পিকাবু খেলুন। শিশু শব্দ শুনে আপনাকে খুঁজবে, একই সঙ্গে নিজের হাতও নড়াচড়া করবে।
২. শিশুকে খেলনা দিয়ে, খেলনা সম্পর্কে কিছু বলুন। যেমন- বল, লাল বল।
৩. শিশুকে আয়নায় শিশুর চেহারা দেখান এবং প্রশ্ন করুন, কে? কে এটা? আবার একটু থেকে নিজেই উত্তর দিন, হুমায়রা, এটা হুমায়রা।
কেন থামবেন? শিশু নিজেকে দেখে কেমন রেসপন্স করে তা বোঝার জন্য। শিশুর নিজেকে চেনা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
৪. শিশুকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকুন। প্রয়োজনে ইশারা করে দেখান (পয়েন্টিং)। ফুল কোথায়? থেমে- এই যে ফুল!
নয় থেকে বারো মাস বয়সি শিশুর ভাষার বিকাশ
শিশুকে কিছু বললে শিশু মুখের দিকে তাকিয়ে কথা শুনে৷ শিশু এসময় সহজ শব্দ বোঝা শুরু করবে। শিশু এসময় ‘না’ শব্দটি বোঝা শিখে৷ শিশুকে ‘না’ বললে অনেক সময় শিশু আর মুখের দিকে তাকায় না। শিশুকে যদি বলা হয়, ‘মা কোথায়?’ শিশু মায়ের দিকে তাকাবে বা মাকে খুঁজবে৷
শিশু ছোট ছোট ইন্সট্রাকশন বুঝবে এবং তা শুনে করবে। যেমন, ‘দাও’ বললে শিশুর কাছে যা চাওয়া হয়েছে শিশু তা দেবে৷ শিশু যখন কিছু চাইবে, শিশু পয়েন্ট করে আঙুল ইশারা করে দেখাবে। শিশু কী চাইছে বা পয়েন্ট করছে তা খেয়াল করুন ও সঙ্গে সঙ্গে রেসপন্স করুন। শিশু এসময় ওয়েভিং বা টা টা দেওয়া শেখে। তাই ওয়েভ করার সময় বা হাত নাড়ানোর সময় বারবার টা টা বললে শিশু তা শিখে ফেলে৷ এ বয়সী শিশু কান্না না করে শব্দ করার মাধ্যমে কিছু চেয়ে থাকে। তাই শিশু কোন শব্দ করলে তার সঙ্গে শব্দ অনুকরণ করে বলুন।
বারো থেকে পনের মাসের শিশুর ভাষার বিকাশ
এ সময় মূলত শিশুরা শব্দ বা ওয়ার্ড বলা শুরু করে৷ এর পাশাপাশি শিশু যে সব জিনিসের নাম বলতে পারে না তার জন্য কোন একটি অর্থহীন শব্দ ব্যবহার করে থাকে। যেমন, অনেক শিশু কলাকে লালা বলে।
এ বয়সের শিশুরা সাধারণত ২/৩ টি শব্দ বলতে পারে। ২৫টি বা তার বেশি শব্দ বুঝতে পারে। শিশু ইন্সট্রাকশন ফলো করে। এর মানে হলো শিশুকে কিছু বললে শিশু তা বুঝে, করে থাকে। কথা না বলেও শিশু কমিউনিকেশন করতে পারে। যেমন হাতের ইশারা করে কিছু চাওয়া, কোন জিনিসের দিকে তাকানোর মাধ্যমে তা চাওয়া বা ব্যাবেল করা।
আপনি শিশুর জন্য যা করতে পারেন-
১. শিশুর প্রতিদিনের যেসব জিনিস ব্যবহার তার নামগুলো শিশুকে বারবার বলতে থাকুন। যেমন কাপ, প্লেট, বাটি, চিরুনি ইত্যাদি। বলার পর শিশুকে সময় দিন যেন সে আপনাকে অনুকরণ করে।
২. শিশুকে বইয়ে ছবি দেখিয়ে জানতে চান কিসের ছবি৷ ছবির বই পাওয়া যায় যেখানে এক পেইজে একটি ছবি থাকে। শিশুকে উত্তর দেওয়ার জন্য অবশ্যই সময় দেবেন৷ তাড়াহুড়ো করবেন না।
৩. শিশু যখন কোন জিনিস দেখে জিনিসটির নাম বলতে পারবে তখন শিশুর মুখের দিকে তাকিয়ে হাসি দিন বা হাততালি দিন। পাশাপাশি জিনিসটি সম্পর্কে শিশুকে আরও কিছু বলুন, ‘বল। লাল বল। গোল বল। কি সুন্দর বল।’
৪. শিশু যে শব্দগুলো বেশি বলে তা নিয়ে শিশুর সঙ্গে কথা বলুন। শিশুকে সময় দিন যেন সে তার কথা শেষ করতে পারে পুরোপুরি।
৫. শিশুর প্রতিদিনের কাজগুলো নিয়ে তাকে প্রশ্ন করুন৷ যে কোন কাজ করার সময়ও তাকে প্রশ্ন করতে থাকুন বা বিষয়টি নিয়ে বলতে থাকুন। যেমন ‘তুমি এখন ভাত খাবে না নুডলস খাবে?’, ‘আমরা খাওয়া শেষ করেছি এখন বসে থাকবো’।
৬. এ লেভেলের শেষের দিকে শিশুকে ‘প্রিটেন্ড প্লে’ এর সঙ্গে পরিচয় করান। এ বয়সের শিশুরা লাঠিকে তরবারি মনে করে খেলা করে বা হাতকে প্লেন বানিয়ে উড়িয়ে নেয়। আপনি খেলনা পুতুল দিয়ে শিশুর সঙ্গে খেলুন। শিশুকে বলুন পুতুলটিও আপনাদের সঙ্গে খেলবে এখন। শিশু তার খেলার সাথি মনে করে পুতুলের সঙ্গে খেলাধুলা করবে, কথা বলবে।
৭. শিশুকে এক শব্দে ইন্সট্রাকশন দিন। শিশু সহজে বুঝতে পারবে, বলতে পারবে।