Рет қаралды 319,747
মহান আল্লাহ পাকের হুকুমে বায়তুল্লাহ যিয়ারতের মনস্থ করার নাম হল হজ্ব। বায়তুল্লাহ মানে আল্লাহর ঘর। আল্লাহ হলেন সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মহামহিম প্রভু। এই আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে আমরা প্রভু রূপে মানি না। তা হল ইমানের মূল ভিত্তি - লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সেই এক ও একক প্রভু আল্লাহর ঘর হল কা’বাঘর। এই কা’বাঘরের যিয়ারতে আল্লাহর নিদর্শনাবলী অবলোকন করে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের সুযোগ হয়। ফেরেস্তাগণ কা’বাঘরে হজ্ব করতো। হজ্ব করেছেন আদম (আ) এবং অন্যান্য নবী রাসূলগণ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য হজ্ব করা ফরয বা অবশ্য কর্তব্য। শুধু ফরযই নয়, হজ্ব ইসলামের ৪র্থ রুকন বা ভিত্তি। রাসুল (স) বলেছেন, “ইসলাম পাঁচটি ভিতের উপর কায়েম আছে। তা হলো: - (১) এ সাক্ষ্য দেয়া যে,আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ বা প্রভু নেই এবং মুহাম্মাদ (স) আল্লাহর বান্দাহ ও রাসুল। (২) নামায কায়েম করা,(৩) যাকাত আদায় করা, (৪)বাইতুল্লাহর হজ্ব পালন করা,(৫) রমযানের রোযা পালন করা।”(বুখারী ও মুসলিম )
হজ্বের নিদর্শনাবলীর মধ্যে কা’বাঘর, মাকামে ইব্রাহীম, সাফা-মারওয়া, হাজরে আসওয়াদ, যমযম কূপ, মীনা. মুযদালিফা, জামরাহ, আরাফাহ, জাবালে রহমত, জাবালে নূর, জাবালে সউর, মদীনা মুনাওয়ারা, মহানবীর কবর,জান্নাতুল বাকী, জাবালে ওহোদ,বদরের প্রান্তর ইত্যাদি সবই হাজীদের জন্য মহান নিদর্শনাবলী।
হজ্ব করতে গিয়ে হাজী সাহেব যখন কা’বাঘরের তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ায় সাঈ, মাকামে ইব্রাহীমে দুই রাকাত সালাত আদায়, যমযম কূপের পানি পান, হারাম শরীফে সালাতের পর সালাত আদায়, মীনায় অবস্থান ও পশু কুরবানি, মুযদালিফায় রাত্রি যাপন, জামরাতে বারবার কংকর নিক্ষেপ, আরাফার মাঠে দু’হাত তুলে দীর্ঘ দোয়ায় কান্নাকাটি, মদীনাতুল মুনাওয়ারায় ৮দিনব্যাপী সালাত আদায়, বিশ্বনবী (সা.) এর কবরের যিয়ারত ও সালাম প্রদান, যিয়ারত করে জান্নাতুল বাকী, ওহোদ পাহাড়, জাবালে রহমত, জাবালে নূর কিংবা কুরআনে বর্ণিত অন্যান্য স্থানসমূহ তখন চিন্তাশীল হাজীদের হৃদয় ক্বলবে আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়া কতইনা সহজ হয়ে যায়।
Please watch, Like and subscribe and send your valuable suggestion.