Рет қаралды 61,439
বৃদ্ধ বয়সে নবাব মুর্শিদকুলী খাঁ নিজের কবর কোথায় হবে তা ঠিক করেছিলেন এবং তার জন্যে একটি মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণের ব্যবস্থা করেছিলেন। মুর্শিদাবাদ রেল স্টেশনের ১৬০০ মিটার পূর্ব দিকে বাজারের মধ্যে অবস্থিত এই মসজিদটি ১৭২৩ এবং ১৭২৪ সালের মধ্যে নির্মিত হয় এবং তার দু’বছর পরে মুর্শিদকুলী খাঁ মারা যান। নিজের মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে আসছে বুঝতে পেরে মুর্শিদকুলী এই মসজিদ এবং কাটরা বা বাজার বসানাের হুকুম দেন। ইসমাইল ফরাসের ছেলে মুরাদ ফরাসের উপর সব ভার দেওয়া হয় এবং ছ'মাসের মধ্যে মসজিদ নির্মাণ শেষ করার জন্য নবাব তার উপর হুকুম দিয়েছিলেন। মুরাদ ফরাস নবাবের হুকুম মেনে নিয়ে প্রার্থনা করেন যে মসজিদ ও কাটরা তৈরীর ব্যাপারে সে যে সব ব্যবস্থা নেবে, তার বিরুদ্ধে নবাবের কাছে যদি কোনো নালিশ হয় তাহলে তার বিচার করা চলবে না। তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করার তাগিদে মুরাদের আবেদন নবাবও মঞ্জুর করে দিয়েছিলেন। মুরাদ ফরাসও এই মসজিদ নির্মাণ করার সময় অনেক অনৈতিক কাজ করেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে তিনি ইট সংগ্রহ করেন। বহু মানুষকে জোর করে মসজিদ নির্মাণের কাজে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। মসজিদের কাছ দিয়ে যদি কেউ পালকী চড়ে যেতেন, মুরাদ তাকে নামিয়ে মসজিদ নির্মাণের কাজে লাগিয়ে দিতেন। মুরাদের ভয়ে এলাকার মানুষ তটস্থ হয়ে উঠেছিল। এই ভাবেই মুরাদ ফরাস ছমাসের মধ্যে এই কাটরা মসজিদ তৈরীর কাজ শেষ করেছিলেন। তবে পরবর্তী কালে এই কাটরা মসজিদ নির্মাণের সময় মুরাদ ফরাস যে অন্যায় করেছিলেন তার বিচার করে পরবর্তী নবাব সুজাউদ্দিন মুরাদ ফরাস কে প্রাণ দন্ডের আদেশ দিয়েছিলেন।
বন্ধুরা , যদি ভিডিও ভালো লাগে তাহলে লাইক কমেন্ট, সেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করে চ্যানলের সঙ্গে থাকবেন এই আশা রাখি ।
#কাটরা_মসজিদ#মুর্শিদাবাদ#Katra_masjid#Murshidabad#Katra_Mosque
ব্যক্তিগত মতামত ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিচের মেইল আইডি তে মেইল করুন। manasbangla9@gmail.com
Stay Connected with me on Social Network :
Twitter : / manasbangla
Facebook : / manasbangla
Instagram : / manasbangla