Рет қаралды 320
#করলা#করলা চারা রোপন পদ্ধতি# করলা গাছের সার প্রয়োগ@MVLYAGRO 2024
করলা কুমড়া পরিবারভূক্ত বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সবজি। স্বাদে তিক্ত হলেও বাংলাদেশের সকলের নিকট এটি প্রিয় সবজি হিসেবে বিবেচিত। করলার অনেক ঔষধি গুণ আছে। এর রস বহুমুত্র, চর্মরোগ, বাত এবং হাঁপানী রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য করলায় শতকরা ৮৩-৯২ ভাগ পানি, ৪.০-১০.৫ ভাগ শর্করা, ১.৫-২.০ ভাগ আমিষ, ০.২-১.০ ভাগ তেল এবং ০.৮-১.৭ ভাগ আঁশ আছে। অন্যান্য কুমড়া জাতীয় সবজির চাইতে করলায় অধিক পরিমাণে খনিজ ও খাদ্যপ্রাণ রয়েছে। পটুয়াখালি, সাতক্ষীরা, খুলনা এলাকার জন্য প্রযোজ্য। এটে এ এলাকায় ঘরর পাড় প্চুর চাষ করা হয়।
জাতের বৈশিষ্ট্য ঃ
বারি করলা-১ ঃ বারি করলা-১ জাতটিতে গাঢ় সবুজ রংয়ের ২৫-৩০টি ফল ধরে (গাছ প্রতি)।
প্রতি ফলের গড় ওজন ১০০ গ্রাম যা লম্বায় ১৭-২০ সেমি এবং ব্যাস ৪-৫ সেমি।
এ জাতটি ছাড়াও স্থানীয় সহজলভ্য জাতের চাষ হচ্ছে তারমধ্যে টিয়া ও গজ করলা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
জমি তৈরি ঃ খরিফ মৌসুমে চাষ হয় বলে করলার জন্য এমন স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে পানি জমার সম্ভবনা নেই। বসতবাড়িতে করলার চাষ করতে হলে দু’চারটি মাদায় বীজ বুনে গাছ বেয়ে উঠতে পারে এমন ব্যবস্থা করলেই হয়। তবে বাণিজ্যিক ভাবে চাষের জন্য প্রথমে সম্পূর্ণ জমি ৪-৫ বার চাষ ও মই দিয়ে প্রস্তুত করে নিতে হয় যাতে শিকড় সহজেই ছড়াতে পারে। জমি বড় হলে নিদিষ্ট দূরত্বে নালা কেটে লম্বায় কয়েক ভাগে ভাগ করে নিতে হয়। বেডের প্রশ্বস্ততা হবে ১.০ মিটার এবং দু’বেডের মাঝে ৩০ সেমি নালা থাকবে।
বিশেষ পরিচর্যা ঃ লবনাক্ততা প্রশমনের জন্য চাষীরা স্বাভাবিকের চেয়ে উচুঁ বেড তৈরি করে এবং অনেক সময় মালচিং হিসেবে পলিথিন বা খড় ব্যবহার করে।
বীজের হার ঃ করলা ও উচ্ছের জন্য হেক্টরপ্রতি যথাক্রমে ৬-৭.৫ ও ৩-৩.৫ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।
বপন/রোপন ঃ বছরের যে কোন সময় করলার চাষ সম্ভব হলেও এদেশে প্রধানত খরিফ মৌসুমেই করলার চাষ হয়ে থাকে। ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোন সময় করলার বীজ বোনা যেতে পারে। কেউ কেউ জানুয়ারী মাসেও বীজ বুনে থাকে কিন্তু এ সময় তাপমাত্রা কম থাকায় গাছ দ্রুত বাড়তে পারে না,
গাছের দূরত্ব ঃ উচ্ছের ক্ষেত্রে সারিতে ১.০ মিটার এবং করলার জন্য ১.৫ মিটার দুরত্বে মাদা তৈরি করতে হবে।
বীজতলা তৈরি, বীজ বপন এবং বীজতলার পরিচর্যা ঃ উচ্ছে ও করলার বীজ সরাসরি মাদায় বোনা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতি মাদায় কমপক্ষে ২টি বীজ বপন করতে হবে। অথবা পলিব্যাগে (১০ দ্ধ ১৫ সেমি) ১৫-২০ দিন বয়সের চারা উৎপাদন করে নেওয়া যেতে পারে।
বীজতলা পরিচর্যা ঃ
ক্স নার্সারীতে চারার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে। বেশি শীতে বীজ গজানোর সমস্যা হয়। এজন্য শীতকালে চারা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বীজ গজানোর পূর্ব পর্যন্ত প্রতি রাতে প্লাস্টিক দিয়ে পলিব্যাগ ঢেকে রাখতে হবে এবং দিনে খোলা রাখতে হবে।
বীজের সহজ অংকুরোদগম ঃকরলার বীজের খোসা কিছুটা শক্ত। তাই সহজ অংকুরোদগমের জন্য শুধু পরিস্কার পানিতে ১৫-২০ ঘন্টা অথবা শতকরা এক ভাগ পটাশিয়াম নাইট্র্রেট দ্রবণে এক রাত্রি ভিজিয়ে অতঃ পর পলিব্যাগে বপন করতে হবে।
সার ব্যবস্থাপনা ঃ বাংলাদেশের সব অঞ্চলের জন্য মাটি পরীক্ষা সাপেক্ষে সারের মাত্রা সুপারিশ করা হয় নাই। কাজেই যে সব অঞ্চলের জন্য সারের মাত্রা নির্দিষ্ট নেই সেসব অঞ্চলের জন্য পরীক্ষা মূলক প্রমানের ভিত্তিতে নি¤েœাক্ত হারে সারের মাত্রা সুপারিশ করা হলো।
সারের নাম মোট সারের পরিমাণ জমি ও মাদা তৈরির সময় দেয়
হেক্টরে শতাংশে হেক্টরে শতাংশে
পঁচা গোবর ১০ টন ৮০ কেজি সব ৪০ কেজি
ইউরিয়া ১৫০ কেজি ৭০০ গ্রাম - -
টিএসপি ১৭৫ কেজি ৭০০ গ্রাম সব ৩৫০ গ্রাম
এমওপি ১৫০ কেজি ৬০০ গ্রাম ৫০ কেজি ২০০ গ্রাম
জিপসাম ৭০ কেজি ৪০০ গ্রাম সব ৪০০ গ্রাম
জিংক অক্সইড ১০কেজি ৫০ গ্রাম সব ৫০ গ্রাম
বোরাক্স ৮ কেজি ৪০ গ্রাম - ৪০ গ্রাম
ম্যাগনোসিয়াম অক্সাইড ১০ কেজি ৫০ গ্রাম - -
সারের নাম চারা রোপনের ২০ দিন পর চারা রোপনের ৪০ দিন পর চারা রোপনের ৬০ দিন পর
হেক্টারে শতাংশে হেক্টারে শতাংশে হেক্টারে শতাংশে
ইউরিয়া ৫০ কেজি ১০ গ্রাম ৫০ কেজি ১০ গ্রাম ৫০ কেজি ১০ গ্রাম
এমওপি ৪০ কেজি ২০ গ্রাম ৩০ কেজি ১০ গ্রাম ৩০ কেজি -
দমন ব্যবস্থা ঃ আক্রান্ত গাছ থেকে পূর্ণাঙ্গ পোকা হাতে ধরে মেরে ফেলা। চারা অবস্থায় ২০-২৫ দিন চারা মশারির জাল দিয়ে ঢেকে রাখা। প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম সেভিন/কার্বারিন-৮৫ মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। কীড়া দমনের জন্য প্রতি গাছের গোড়ায় ২-৫ গ্রাম বাসুডিন/ডায়াজিনন ১০ জি মিশিয়ে সেচ দিতে হবে।স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাওয়া বা বিক্রি করা যাবে না।
রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থাপনা ঃ
করলার ভাইরাসজনিত মোজাইক রোগ
লক্ষণঃএ রোগ হলে গাছে হলুদ ও গাঢ় সবুজ ছোপ ছোপ মোজাইক করা পাতা দেখা দেয়।
দমন ব্যবস্থাপনাঃ
১. রোগমুক্ত বীজ বপন করা
২. সুষম সার ব্যবহার করা
৩. ক্ষেত থেকে আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা
৪. জাব পোকা ও সাদা মাছি এ রোগের বাহক, তাই এদের দমনের জন্য ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন: এডমায়ার ১ মি.লি. / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা।স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাওয়া বা বিক্রি করা যাবে না ।
#করলা
#করলা চারা রোপন পদ্ধতি
#farming
করলা গাছের সার প্রয়োগ
#করলা চাষ পদ্ধতি