Рет қаралды 89
খান মোহম্মদ মৃর্ধা মসজিদ Khan Mohammad Mridha Mosque বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের পুরান ঢাকা এলাকার আতশখানায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ।
এটি ১৭০৬ খ্রিস্টাব্দে নায়েবে নাযিম ফররুখশিয়ারের শাসনামলে নির্মিত হয়। ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের মতে ঢাকার প্রধান কাজী ইবাদুল্লাহের আদেশে খান মহম্মদ মৃর্ধা এটি নির্মাণ করেন। ১৭০৪-১৭০৫ সালের মধ্যবর্তী কোন এক সময় তিনি এই মসজিদ নির্মাণের আদেশ দিয়েছিলেন।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।
ঐতিহাসিক এই
খান মোহাম্মাদ মৃধা মসজিদটি
পুরনো ঢাকার লালবাগে অবস্থিত।
ভবনে ঠাসা পুরো এলাকা। মাঝে মাঝে কিছু সরু গলি দিয়ে যাতায়াতের পথ। নেই কোন ফুটপাত। সেই সরু গলিগুলোতে সবসময়ই রিক্সা, ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করায় পায়ে চলা মোটেও সহজ নয়। লালবাগ কেল্লার গেট ধরে রহমত উল্লাহ বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে সতর্কভাবে কিছুদূর হেঁটে গেলেই চোখে পড়বে অদ্ভুত সুন্দর এক স্থাপনা।
গলি লাগোয়া গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই দেখা মিলবে উন্মুক্ত এক প্রান্তরের। ডান পাশটা একেবারে খোলামেলা। সেখানে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের শোভা বর্ধনকারী গাছ। আর বাঁম পাশেই রয়েছে একটি প্রাচীন স্থাপনা।
দূর থেকে দেখে যে কেউ ভাবতে পারেন: স্থাপনাটি আসলে পোড়া মাটির তৈরি। লাল ইট আর চুনাপাথরের মিশ্রনে স্থাপনাটির রঙ অনেকটা পোড়া মাটির মত। রঙের দিক থেকে কেউ কেউ আবার মিল খুঁজতে পারেন দিল্লীর লাল কেল্লার সঙ্গেও।
প্লাটফর্মের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতেই চোখ ভরে যাবে অভিজাত মুঘল স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন তিলোত্তমা এ মসজিদটি দেখে। প্রায় সোয়া তিনশ’ বছর বয়স হলেও জৌলুস কমেনি এতটুকু। চারপাশের ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে এ মসজিদ আজও যেন সাক্ষ্য বহন করে চলেছে মুঘল আভিজাত্যের।
এ অমর কীর্তিটি আজও জমজমাট, মুসল্লীদের নিয়মিত পদচারণায়। অলিগলিতে মসজিদ থাকার পরেও এ মসজিদটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য এক আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে এখনও সমাদৃত।
অনেক ভাবে যাওয়া যায় এই মসজিদে
ঢাকার যে কোন স্থান থেকে বিভিন্ন পরিবহনে আজিমপুর বাসষ্ট্যান্ডে নেমে রিক্সা ভাড়া করে লালবাগে যাওয়া যায়। দর্শনাথী ইচ্ছা করলে পায়ে হেঁটেও লালবাগে যেতে পারেন। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চটার্মিনাল থেকে বাবু বাজার হয়ে লালবাগে যাওয়া যায়।
পুরনো ঢাকার লালবাগে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে। খান মোহাম্মাদ মৃধা মসজিদ তার মধ্যে একটি।
এই তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির ভিত্তি প্রায় সতের ফুট উঁচু একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর।
প্ল্যাটফর্মের নীচে টানা করিডোর,পাশে ছোট ছোট প্রকোষ্ঠ. এখানে আলো বাতাশের খেলা মনোমুগ্ধকর।
মসজিদ আর মাদ্রাসা ছাড়া বাকি অংশ একদমই উন্মুক্ত,ধারণা করা হয় এখানেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হতো,আর নীচের ঘর গুলো ছিল থাকার জায়গা!