Рет қаралды 457
Join this channel to get access to perks:
/ @amiavijitbolchi
#information #biography #bengali #nilratansarkar
১৮৬১, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের সাল। ২৫ বৈশাখের ঠিক সাড়ে চার মাস পরে জন্ম নীলরতনের। মধুর সমাপতনে পরবর্তীতে দু’জন হবেন পরম বন্ধু।
ডায়মন্ড হারবারের নেত্রা গ্রামে ১৮৬১ সালের ১ অক্টোবর জন্মান নীলরতন। বাবা নন্দলাল সরকার আর মা থাকোমণি দেবী। তখন নীলরতনের বয়স সাত। ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে ভিটেমাটি ধ্বংস হল। পাঁচ ছেলে, তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে নন্দলাল উঠলেন শ্বশুরবাড়ি জয়নগরে। এরও সাত বছর পরে গুরুতর অসুস্থ থাকোমণি দেবী টাকার অভাবে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন। চোখের সামনে মাকে ধুঁকে ধুঁকে মারা যেতে দেখে রোখ চেপে গেল ১৪ বছরের ছেলের। ডাক্তার তাকে হতেই হবে!
১৮৭৬ সালে জয়নগর হাই স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করলেন। ছেলেমেয়েদের নিয়ে কলকাতায় এলেন নন্দলাল সরকার। নীলরতন ভর্তি হলেন শিয়ালদহের ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুলে (পরবর্তীতে এনআরএস)। বাড়িতে অভাব। সংসার চালাতে শিক্ষকতা শুরু করলেন বড়দা অবিনাশচন্দ্র। আর এক ভাই যোগীন্দ্রনাথ সরকার। পরবর্তী কালে যিনি ‘হাসিখুশি’ লিখেছিলেন। নীলরতনও উপার্জনের জন্য শিক্ষকতা, পরীক্ষার হলে পাহারা, জনগণনার কাজ করেছেন। তার মধ্যেই স্বনামধন্য চিকিৎসক তামিজ খানের প্রিয় ছাত্র হয়ে উঠলেন। ১৮৮১ সালে এলএমপি পাশ করলেন ভাল ভাবে। কিন্তু মনে অশান্তি। সেই ব্রিটিশ আমলে মেডিক্যাল শিক্ষায় ছিল দ্বৈত ব্যবস্থা। নেটিভ ছাত্রদের জন্য বাংলায় পঠনপাঠন হত। কিন্তু মেডিক্যালের বই সব ইংরেজিতে। তার তর্জমা ঠিকঠাক হত না। অনেক কিছু অজানা, অধরা থাকত। নীলরতনের মন খুঁতখুঁত করতে লাগল। বাংলা ভাষায় ডাক্তারি পাশ করা নেটিভ ডাক্তারদের জন্য নির্ধারিত ছিল অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্জনের চাকরি। তা করতে অপমানিত বোধ করলেন। পেশা বদলে শ্রীরামপুরের কাছে চাতরা হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক হয়ে চলে গেলেন।