Рет қаралды 2,821
নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে উপস্থিত হলো সেই দিন। ১৯৪১ সালের ১৭ জানুয়ারি। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। প্রস্তুত সুভাষ, প্রস্তুত ভগৎরাম আর তার সাথে প্রস্তুত ফরোয়ার্ড ব্লক ও কীর্তি কিষাণ পার্টির সেসব বিশ্বস্ত কর্মীরা যাদের হাতে সুভাষের যাত্রাপথ নির্বিঘ্ন করার সকল দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল।
রাত তখন বেশ গভীর। গোটা এলগিন রোড নিস্তব্ধ। কোনো কোলাহল নেই। সেদিন রাস্তায় জ্বলছিল না কোনো আলো। ইংরেজ পুলিশের চোখে ধুলো দেয়ার জন্য পাঠান যুবকের ছদ্মবেশ নিলেন সুভাষ। বাড়ির একটি গাড়িতে উঠে বসলেন। গাড়িতে মাত্র দুজন আরোহী। গাড়ির চালক আর সুভাষ। একটি সুটকেস, বিছানা আর একটি অ্যাটাচি কেস গাড়িতে রাখা হলো। গাড়ির চালক আর কেউ নন, সুভাষের প্রিয় ভাইপো শিশির বোস। শক্ত হাতে গাড়ির স্টিয়ারিং ধরে বসে আছেন শিশির। মাথার ওপর তার গুরুদায়িত্ব। পুলিশের নজর এড়িয়ে নেতাজিকে তার নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিতে হবে। রাত ১টা ২৫ মিনিটে যাত্রা শুরু হলো।
কলকাতা শহর ছাড়িয়ে গ্র্যান্ড ট্যাঙ্ক রোড ধরে গাড়ি এগিয়ে চলতে লাগলো। চুঁচুড়া, ব্যাণ্ডেল, শক্তিগড়, বর্ধমান, আসানসোল …। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি বরাকর ব্রিজ পার হয়ে গেল। নিস্তব্ধ রাস্তায় যেন তুফান মেল ছুটছে। ধীরে ধীরে পূব আকাশে সূর্য উঁকি দিচ্ছে। রাতের অন্ধকার মুছে গিয়ে ভোরের হালকা মিষ্টি আলো দেখা দিচ্ছে। গাড়ির স্পিড আরও বাড়িয়ে দিলেন শিশির। সকাল হওয়ার আগেই তাকে যেকোনো উপায়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হবে। ব্রিটিশদের চররা চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে। কখন কার চোখে পড়ে যায়!
#viralvideo
#biography
#netajisubhashchandrabose
#thegreatescape
#1941
#freedomfighters
#information
#history
#bangla