Рет қаралды 7,926
১৭১২ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম বাহাদুর শাহের মৃত্যুর পর দিল্লির সিংহাসনে বসেন আজিম-উস-শান-এর পুত্র ফারুকশিয়ার। এই সময় মুর্শিদকুলি খাঁ নতুন সম্রাটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। সম্রাট খুশি হয়ে ১৭১৩ খ্রিষ্টাব্দে মুর্শিদকুলিকে বাংলার দেওয়ান এবং নায়েব-সুবাদার পদ দান করেন। ১৭১৪ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে উড়িষ্যার সুবাদার করা হয় এবং সম্রাট তাঁকে জাফর খাঁ উপাধি প্রদান করেন।
১৭১৬ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট তাঁকে নাজিম পদে উন্নীত করেন।
১৭১৭ খ্রিষ্টাব্দে তাঁকে বাংলায় এনে সুবাদার পদ দেওয়া হয়। এই সময় তিনি বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন।
১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দশসালা আইন প্রবর্তন ভেতর বঙ্গদেশে দেশে মোগল শাসনাধীন জমিদারি প্রথার সূচনা করেন।
১৭২৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
অপুত্রক অবস্থায় মৃত্যুবরণের আগে তিনি তাঁর দৌহিত্র সরফরাজ খাঁকে সিংহাসনের উত্তরাধিকার করে যান। অবশ্য তাঁর মৃত্যুর পর, সিংহাসন নিয়ে তাঁর জামাত সুজাউদ্দিন খাঁর বিবাদ উপস্থিত হয়। পরে আত্মীয় স্বজনদের মধ্যস্থতায় নবাব হন সুজাউদ্দিন খাঁ ।
মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলার সুবাদার থাকলে, দিল্লির সম্রাটের রাজশক্তির ক্ষয়ের কারণে তিনি স্বাধীন হয়ে পড়েন। তাঁর শেষ জীবনে তিনি স্বাধীন নবাবের মতোই বাংলা শাসন করেছেন। এই কারণে তাঁকে বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইষ্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি, দিল্লির মোগল সম্রাট শাহ আলমের কাছে বাংলা বিহার উড়িষ্যার দেওয়ানি প্রাপ্তির পর এই বাংলার নবাব-শাসনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
#biography
#viralvideo
#bangla
#jiboni
#history
#nababmurshidkulikhan
#information
#podcast
#abpananda