Рет қаралды 132,396
এপারে বাংলাদেশ আর ওপারে ভারত সীমান্ত | ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর জিরো পয়েন্ট, লালাখাল, জাফলং | Border Area
আমাদের পূর্বের ভিডিও সমূহ
*লেঙ্গুরা বর্ডার • ভিসা ছাড়া মানুষ কিভাবে...
*বিছানাকান্দি বর্ডার • Video
*ভোমরা বর্ডার • ইন্ডিয়ান শাড়ি, কসমেটিক...
*বেনাপোল বর্ডার • Video
*যশোর বর্ডার • Video
*সোনামসজিদ বর্ডার • প্রচুর পরিমাণে ইন্ডিয়া...
*বিজয়পুর বির্ডার • Entered INDIA without ...
*কসবা বর্ডার • অল্প পুজিতে ইন্ডিয়ান প...
*তামাবিল বর্ডার • দেখুন ইন্ডিয়া থেকে কিভ...
*সিলেট বর্ডার • অল্প পুজিতে ইন্ডিয়ান চ...
__________________________________________________
For Invitation & sponsorship contact
📧 sponsorshahriarofficial@gmail.com
Get connected with me 🙂
Facebook
/ shahriar.sajon.9
Instagram
/ sajonshahriar
FB page
/ shahriartraveler
Travel Group
/ 190986061246044
Music Provider tunetank.com
__________________________________________________________
#ভোলাগঞ্জসাদাপাথর #সাদাপাথরজিরোপয়েন্ট #লালাখাল #জাফলংজিরোপয়েন্ট #ভারতবাংলাদেশসীমান্ত
#সীমানাপিলার #বর্ডারভিডিও #volaganjsadapathor #lalakhal #jaflong #bordervideo #shahriarofficial
#travelvideo #bdvlogs #bangladeshivlog #bangladeshtouristspot #touristplace
ভারতের পাহাড় থেকে নেমে এসেছে ধলাই নদ। এ নদের জিরোপয়েন্ট এলাকা। ওপারে ভারতের পাহাড়। এপারে নদের বুকজুড়ে বিছানা বিছিয়েছে সফেদ পাথর। ছোট আর বড় বড় পাথর; যত দূর চোখ যায়, দেখা মেলে সফেদ পাথর। এ সফেদ পাথরের আকর্ষণে সেখানে ছুটছেন পর্যটকরা।
বলছি সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জের ধলাই নদের জিরোপয়েন্ট এলাকার কথা। ঘাট এলাকা থেকে ধলাই নদের স্বচ্ছ নীলজল পাড়ি দিয়ে যেতে হয় সেখানে। এ জন্য রয়েছে ইঞ্জিন নৌকার ব্যবস্থাও। শহর থেকে বেশি দূরত্বের নয়; আবার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো, যে কারণে সব ঋতুতে এখানে পর্যটকের ভিড় লেগে থাকে।
সফেদ পাথরের কারণে এই এলাকা পরিচিতি পেয়েছে ‘সাদাপাথর’ নামে। ওপারের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি থেকে নেমে আসা ধলাই নদের স্বচ্ছ জলে সফেদ পাথর ঝলমল করে। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব ৩৩ কিলোমিটার। নদের পাশেই রয়েছে ভারত সীমান্তের কাঁটাতার। কাঁটাতারের ওপারের সড়ক দিয়ে বাংলাদেশে পাথর নিয়ে আসা ট্রাকের সারিও দেখা মেলে সেখান থেকে।
সাদাপাথরে না এলে সিলেটে আসার অপূর্ণতা থেকে যেত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাদাপাথর এলাকায় কথা হয় কুমিল্লা থেকে আসা পর্যটক সামিউলের সঙ্গে। তিনি জানান, পানি-পাথরের এমন খেলা উপভোগ করতে তিনি ওই এলাকায় এসেছেন। এর আগে তিনি জাফলং, বিছানাকান্দি গিয়েছিলেন। বিছানাকান্দিতে পানি নেই; এজন্য ভালো লাগেনি। পরে সিলেটে থাকা এক বন্ধুর কাছ থেকে শুনে তিনি সাদাপাথর দেখতে এসেছেন। খুব ভালো লাগছে।
লালাখাল (Lalakhal) সিলেট (Sylhet) শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে জৈন্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত। ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে অনুভব করার জন্য স্থানটি বেশ উপযোগী। পাহাড়ে ঘন সবুজ বন, নদী, চা-বাগান ও নানা জাতের বৃক্ষের সমাহার লালাখালজুড়ে। যদি ভরা পূর্ণিমায় যেতে পারেন তাহলে জ্যোৎস্না ধোয়া নদীর রূপ সারাজীবন মনে রাখার মত একটা ঘটনা হবে। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁকের দেখা মেলে। প্রতিটি বাঁকই দেখার মতো সুন্দর। পাহাড়গুলোকে দেখলে মনে হয়, কেউ যেন নিজ হাতে থরেথরে একের পর একটি করে সাজিয়ে রেখেছে। এখানে পাহাড়ের গায়ে মেঘ জমা হয়। একটু কাছ থেকে দেখা যায়, মেঘেরা দল বেঁধে পাহাড়ের গায়ে ঠেস লাগিয়ে থেমে থাকে। আবার কখনো দুই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে সবার অলক্ষ্যে হারিয়ে যায়।
কোথায় থাকবেনঃ
আপনি চাইলে পারবেন লালাখাল এর পাড়ে রাত কাটাতে। নর্দার্ন রিসোর্ট নামে রিসোর্টটির নিজেদের পরিবহন ব্যবস্থাও আছে।আরেকটি আবাসন ব্যবস্থা হলো নাজিমগড় রিসোর্ট (Nazimgarh Resorts) যা লালাখাল এর খুব কাছে খাদিমনগরে অবস্থিত। আগে থেকে যোগাযোগ করে যাওয়া ভাল। নাহলে রিসোর্টে রুম নাও মিলতে পারে। নাজিমগড় রিসোর্টে থাকার জন্য আছে তিন ধরনের ব্যবস্থা। আছে বিশাল টেরেস, ছোট ছোট বাংলো ও বড় ভিলা। একেকটির ভাড়া একেক রকম, তবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় পাঁচতারা হোটেলের সমান। আছে স্পা ও পুল, যেখানে দূর করতে পারেন শরীরের অবসাদ। সবচেয়ে বড় কথা প্রতিটি স্থাপনাই গাছপালা-জঙ্গলে ছাওয়া টিলার ধারে।
খরচঃ
সিলেট শহর থেকে শুধু লালাখালের জন্য মাইক্রোর ভাড়া দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে হবে, গাড়ি নিলে ভাড়া এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। সারা দিনের প্ল্যান হলে ভোরে সিলেট থেকে রওনা দিতে হবে। তা ছাড়া বাস কিংবা লেগুনায় ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে সারিঘাট যেতে পারবেন। সেখানে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া ৮০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা আর স্পিডবোটে যেতে চাইলে ভাড়া এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা হতে পারে। নৌযানে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে, ভাড়া একই।
কিভাবে যাবেনঃ
লালাখালে যেতে হলে সিলেটের শিশু পার্কের সামনে থেকে লেগুনা অথবা জাফলংয়ের বাসে চেপে সিলেট-তামাবিল সড়ক ধরে যেতে হবে সারিঘাট। সিলেট আর জাফলং মাঝামাঝি এ স্থানটির নাম সারিঘাট। আগেই বলা হয়েছে, যাওয়ার জন্য পথ দুটি সড়কপথ ও নৌপথ। সড়ক পথে যেতে চাইলে মাইক্রোবাস বা কার ভাড়া নিলে ভালো হয়। তা ছাড়া সিলেট শহর থেকে বাস, লেগুনায় সারিঘাট গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিতে পারেন। নৌপথে যেতে চাইলে আগে সারিঘাট পর্যন্ত একই নিয়মে বাস, লেগুনায় গিয়ে নৌযান ভাড়া নিতে হবে। ফেরার পথে এখান থেকে বাসে কিংবা লেগুনায় আসতে পারবেন। রাত ৮টা নাগাদ যানবাহন পাওয়া যাবে।