Ki asadharan jiboner abhigata

Well-chosen& excellent presentation💝💖

A few lines from this particular story: [Set-2] 4...চুয়ান্ন বছরের প্রবীণ শরীর একটি বাতুল ইচ্ছার নড়িকে আশ্রয় করে সোজা হয়ে দাঁড়াতে চেয়েছে। 5....প্রথম দেখাটাকে আমরা এ-কালে আর তেমন মূল্য দিই না, হঠাৎ কোন কিছুকেই না। সব সম্পর্কই পরম্পরা বেয়ে বেয়ে লতার মত জড়িয়ে ওঠে। 6....গাম্ভীর্যের মুখোশ এঁটে বসে ছিলুম বটে, কিন্তু কনক, সেই মুখোশের ছিদ্র দিয়ে আমি তোমাকে অপলক দেখছিলুম ঠিক তোমাকে কি? না, তোমার চাপল্যকে। যে চাপল্য আমি ইহ-জন্মের মতো খুইয়েছি আর পাব না তাকেই তুমি তোমার শাড়ি ব্লাউজের মতো তোমার চোখের ক্ষীণ সুর্মারেখার মতো অসামান্য রুচির সঙ্গে পরে আছো।

A few lines from this particular story: [Set-4] 10....চোখের পাতা কখনও ঠোঁটের কাজ করে। 11....একটি পাথরের নুড়ি কয়েকটি জল-বলয় তুলে ডুবে গিয়েছে, পুকুর শান্ত, স্থির। কিন্তু একটি হৃদয় এখনও শান্ত হয়নি। 12...বেঁচে থাকার অভিরুচি তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছ। জেনেছি, এখনও তবে আমি ভালবাসতে পারি। আমার যৌবন যায়নি।....দেহগত তুচ্ছ একটা পটুতা নয়, ভালবাসা পাওয়া ও না, শুধুমাত্র ভালবাসতে পারাই যে যৌবন.....

A few lines from this particular story: [Set-1] 1...কমবয়সী মেয়েরা কি প্রৌঢ় পাগলামিকে করুণাও করে? 2...সময়কে যদি বলা যায় বহতা পানি, এক একটা বয়স তবে তার পাড়ের এক-একটা বাঁধান ঘাট; উজান থেকে মানুষ কতটা এল, সে হিসাব যার সিঁড়িতে খোদাই করা আছে। ভাঁটির ঘাটে দাঁড়িয়ে পিছনে চাইলে উজানের ঘাট বড় জোর ঝাপসা ভাবে চোখে পড়বে কিন্তু মানুষ সেখানে কখনও ফেরে না, ফিরতে পারে না। কেউ যা পারেনি, ভেবেছিলুম আমি তা পারব। জানতুম না, প্রকৃতির নিয়মের উপর জারিজুরি চলে না। 3...অনেক দিন কল্পনা করতে চেষ্টা করছি, কোন মানুষ যদি হাসতে হাসতে হঠাৎ মরে যায়, তবে তার মুখে কেমন হাসি ফুটে থাকে। চোখের কোল হয়ত একটু কুঁচকে যায়, সামান্য ফাঁক হয় ঠোঁট দুটি। আর তার কোন নড়চড় কিছুতে হয় না।...

A few lines from this particular story: [Set-3] 7...যূথিকা....ইনিয়ে-বিনিয়ে, কথায় বিষ-ফোঁড়ন দিয়ে বলত, 'মেয়েটাকে সিনেমার কাজ এখনও জুটিয়ে দিতে পারলে না বুঝি? তা বাপু আমি বলি কী, ওসব সিনেমা-টিনেমা বাড়ীর বাইরে হলেই ত ভাল। বাড়ীতে কি ওসব কেউ করে?' বলতে বলতে হাসত যূথিকা, 'দেখ, একটা মজার কথা মনে পড়ল। আমার এক দাদামশাইয়েরও এসব রোগ ছিল। থিয়েটারের কার কাছে তিনি রোজ যেতেন। কিন্তু মনে রেখো, যেতেন, তাকে বাড়ীতে এনে তোলেন নি। সেকালের লোকেরাও তোমাদের মত খারাপ ছিল, কিন্তু ভদ্র ছিল। বাড়ী আর বাগান-বাড়ীর তফাত বুঝত। তোমরা দু'টোকে এক করে দিতে চাও।' 8....বালিশ সরাতে গিয়ে বিষাক্ত বিছের কামড় খেলাম। যন্ত্রণায় গলা অবধি নীল হয়ে এল। কোনমতে বললুম, 'এসব কী। কে এনেছে, কে রেখেছে এ সব এখানে?' অত্যন্ত ভাল মানুষের ভঙ্গিতে যুথিকা বলেছিল, 'কোনসব?' 'এই যে কলপ, আর সালসার শিশি?' নিষ্ঠুর নির্বিকার গলায় যুথিকাকে উত্তর দিতে শুনেছি, 'আমি। আমিই বাজার থেকে আনিয়েছি।' 'কেন?' মাথার যন্ত্রণার কথা ভুলে গিয়ে প্রচণ্ড গর্জনে যেন ফেটে পড়লুম। বললুম, 'কেন, কেন, কেন?' ঠোঁটের উপর তর্জনী রেখে যুথিকা ফিস ফিস করে বলল, 'শ-শ-শ। আস্তে। তোমার সুবিধার জন্যই। আজকাল আর আসে না, দেখি ত সে জন্যে ঘরময় পায়চারি কর, মাথার চুল ছেঁড়। আসল কথা কী জান? তোমার বয়সকে তুমি ভুলেছ, কিন্তু বয়স তোমাকে ভোলেনি।' চমকে চাইলুম। একটু দূরেই থরে থরে শিশি বোতল সাজিয়ে ছোটখাটটার সঙ্গে যুথিকার বিশ্রী একদা নারী শরীর মিশে আছে, অস্পষ্ট আলোয় সেদিকে চেয়ে মনে হল, যেন যুথিকা নয়, যেন আমার ভয়ের বয়সটা ছদ্মবেশ নিয়ে আমাকে উপহাস করছে। কলপ আর সালসার শিশিটা ছুঁড়ে শব্দ করে চুরমার করবার লোভ অতিকষ্টে সংবরণ করেছি, কারণ আমি ভীরু, প্রৌঢ়, সামাজিক মানুষ। এক সঙ্গে তিন ধাপ করে সিঁড়িটপকানোর মত সব রকম আতিশয্যই এ-বয়সে বারণ। কনক, তুমি আমার চোখে কামনার হিস-হিস চেরা-জিভকে নড়ে উঠতে দেখেছ, কিন্তু তার আড়ালে পরম-কাপুরুষ সামাজিক মানুষটিকে দেখতে পাওনি, পেলে অন্তত পালাতে না। 9....হঠাৎ তোমার কবজিটা চেপে বললুম, "এস ই না। বেশীক্ষণের জন্যেও না। আমার কথাগুলো খুব জরুরী।" অনায়াসে হাতটা ছাড়িয়ে নিলে, দ্রুত পাশ কাটিয়ে চৌকাঠে পা রেখে ফিরে বললে, "আজ নয়। কাল সকালে আসবেন। আর, আর, দেখুন-"তোমার গলা এখানে একটু কেঁপেছে, "দেখুন, আমাকে যত খারাপ ভাবছেন, আমি ঠিক ততটাই খারাপ নই।" বেত-খাওয়া জন্তুর মত মাথা হেঁট করে ফিরে এসেছি। কনক, আজ তোমার কথাটা তোমাকেই ফিরিয়ে দিই। যতটা ভেবেছিলে আমিও ঠিক ততটাই খারাপ নই। মিছিমিছি সেদিন ভয় পেলে কেন। পেলে যদি, এত কেন, যে ভয় হিতাহিত জ্ঞানহীন করে? অন্যথা পাড়ার রকের মুরুব্বী অপদার্থ ছোকরাটার সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে পালানোর মত ভুল তুমি করতে না। এ-কথা আমি পরে বারবার ভেবে সুখ এবং দুঃখ পেয়েছি যে, ভালবেসে নয়, আমার হাত এড়াতেই তুমি চুড়ান্ত দামে একটা লোকশান কিনেছ।...আমার তরফ থেকে একটা কথা তোমাকে খোলাখুলি জানাতে চাই। সেদিন সন্ধ্যাবেলা যত চাঞ্চল্যই দেখিয়ে থাকি না কেন, আমরা শিক্ষিত ভদ্রলোক, সব রকমের বাড়াবাড়িকে ভয় করে থাকি। বেশী দূর এগোতাম না। এক, ইচ্ছা ছিল না। দুই, সাধ্যও না।...