প্রজেক্টর নিয়ে যে দ্বন্দ্ব তার উপযুক্ত জবাব দিলেন নুরুল ইসলাম ওলিপুরী কোরআন হাদিস থেকে_olipuri.

  Рет қаралды 585,976

Qawmi Ulama Voice

Qawmi Ulama Voice

4 жыл бұрын

প্রজেক্টর নিয়ে যে দ্বন্দ্ব তার উপযুক্ত জবাব দিলেন নুরুল ইসলাম ওলিপুরী কোরআন হাদিস থেকে_Nurul Islam olipuri
এই ওয়াজের সম্পুর্ণ বয়ানের লিংক
• New was👍Nurul Islam ol...

Пікірлер: 1 500
@arshadkarim5744
@arshadkarim5744 2 жыл бұрын
বাংলার শ্রেষ্ঠ মুফাচ্ছিরে কোরআন খতিবে আজম, মুনাযিরে জামান আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী দা :। হে আল্লাহ হুজুর কে হায়াতে তয়্যিবা দান করুন। সমাজের সমস্ত ফেতনাবাজ নামধারী আলেমদের সামাজিকভাবে বয়কট করুন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কে আমাদের ফেতনা থেকে রক্ষার জন্য ওলিপুরী দাঃবাঃ এর ওয়াজ গুলো কে চিরকাল ডকুমেন্টস হিসেবে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে হবে।
@riyanahmed1320
@riyanahmed1320 4 жыл бұрын
মাশা-আল্লাহ । খুব সময়পযোগী ব্যখ্যা । মহান আল্লাহ তাআলা হুজুরের নেক হায়াত বাড়িয়ে দেন । আমিন
@SaifulIslam-ee7ie
@SaifulIslam-ee7ie 3 жыл бұрын
মাশাল্লা খুব সুন্দর একটি বয়ান হুযুরের কথা গুলি বালো লাকছে।♥️♥️♥️
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
মহান আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কোরআনে নারী-পুরুষের যে পোষাকের বিধান দিয়েছেন, তা সাধারন সামাজিক সভ্যতা এবং সুরক্ষা হিসেবে দিয়েছেন। (১) মহান আল্লাহ বলেনঃ হে বনী-আদম, আমিতো তোমাদের জন্য পোশাক প্রদান করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকবে এবং যা সৌন্দর্য্যস্বরূপ।( সুরাআরাফ-২৬)। (২) মহান আল্লাহ বলেনঃ হে বনী-আদম, তোমরা প্রত্যেক নামাজে তোমাদের সুন্দর বেশ-ভূষা গ্রহণ করো। ( সুরা আরাফ- ৩১)। (৩) মহান আল্লাহ বলেনঃ ( হে নবী) আপনি বলুন, কে হারাম করেছে আল্লাহর সৌন্দর্য উপকরণ, যা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন? ( সুরা আরাফ- ৩২)। (৪) নারীদের ব্যাপারে সুরা যুখরুফের ১৮ নং আয়াতে মহান আল্লাহ অতিরিক্ত সাজসজ্জার কথা উল্লেখ করে বলেনঃ "তারা কি আল্লাহর প্রতি আরোপ করে এমন সন্তান, যে অলঙ্কারমন্ডিত হয়ে লালিত পালিত হয়" ( যুখরুফ-১৮)। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলছেন যে, নারী-পুরুষের পোষাক হচ্ছে সৌন্দর্য ও অলঙ্কারস্বরূপ।অথচ কেউ একথা বলল না যে, নারীদের উত্তম পোষাক পড়া ও সাজসজ্জা করা ফরজ। নারী- পুরুষ পরষ্পর পরস্পরের জন্য যৌন উত্তেজক। পোষাকের উদ্যেশ্য যৌন উত্তেজনা প্রশমনের জন্য নয়। যৌন উত্তেজনা প্রসমনের জন্য নারী- পুরুষ উভয়কেই দৃষ্টি সংযত রাখতে এবং জৌনাঙ্গের হেফাজত করার নির্দশ দেয়া হয়েছে। আর নারীদের বলে দেয়া হয়েছে, তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য (যীনাত) প্রকাশ করবে না ঐটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে প্রকাশ পায়। আর তারা যেন ওড়না দিয়ে তাদের বক্ষদেশ আবৃত করে রাখে। ( সুরা নুর- ৩০, ৩১)। সুরা আহজাবের ৫৯ নং আয়াত বর্ণনার পূর্বে মহান আল্লাহ ৫৮ নং আয়াতে সতর্ক করে দেন যে, "আর যারা মুমিন নর-নারীদেরকে তাদের কৃত কোন অন্যায় ছাড়াই কষ্ট দেয়, নিশ্চয়ই তারা বহন করবে অপবাদ ও সুস্পষ্ট পাপ"। সুরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলেমঃ- হে নবী, আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা, মোমেন নারীদের বলুন তারা যেন তাদের জিলবাবের ( চাদর) একাংশ নিজেদের উপড় টেনে দেয়। যাতে তাদের চেনা যায় ( তারা স্বাধীন মহিলা) এবং বৈসম্যের শিকার হবে না। মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম-আহকাম সংক্রান্ত আয়াতগুলো খুবই স্পষ্ট। আল্লাহ নিজেই সে সম্পর্কে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেনঃ তোমাদের জন্য এটা হারাম, ওটা হালাল, তোমাদের উপড় ফরজ করা হয়েছে, অথবা তোমাদের জন্য উত্তম, এর জন্য রয়েছে পুরষ্কার, ক্ষমা, সুসংবাদ অথবা দুঃসংবাদ, তারাই জালিম বা মহাপাপী, তারাই কাফের, ফাসেক বা পাপিষ্ঠ। অর্থাৎ হালাল-হারাম, পাপ-পুন্য এবং পরিনতি স্পষ্টভাবে পবিত্র কোরআনে বর্ননা করা হয়েছে। মহিলাদের পোষাকের গাইড লাইন সুরা নুরের-৩১ এবং সুরা আহযাবের-৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ বিস্তারিত বলে দিয়েছেন। কিন্তু সেখান পাপ-পুন্য, ফরজ-ওয়াজিব বা কোন শাস্তির কথা উল্লেখ করেননি। কিন্তু আমরা পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে মহিলাদের আপাদমস্তক ঢেকে রাখাকে ইসলামের অন্যতম প্রধান অ্যাজেন্ডা বানিয়েছি। আপাদমস্তক ঢেকে রাখাকে ফরজ করতে ৭০ টি তাফসির, আর সতাধীক ফতোয়ার কিতাব উপস্থাপন করছি। এমনকি এই পর্দার ফতোয়াকে কেন্দ্র করে এক আলেম আরেক আলমকে কাফের ফতোয়া দিয়ে সরকারের কাছে তার ফাসির দাবি করা হচ্ছে। অথচ মহান আল্লাহর এটুকু বলে দেয়াই যথেষ্ট ছিল যে, "প্রয়োজন ছাড়া মহিলারা ঘর থেকে বের হবে না এবং গায়েরে মাহরামের সামনে আপাদ-মস্তক ঢেকে রাখতে হবে। অন্যথা এই এই সাস্তি"। আল্লাহ কোন কিছু বলতে সংকোচবোধ করেন না। আল্লাহ যা ফরয বা হারাম করেননি, তা ফরজ বা হারাম করার এখতিয়ার কারো নেই।
@abrarhumam2474
@abrarhumam2474 4 жыл бұрын
আল্লামা নুরুল ইসলাম।ওলি পুরী।এ।জমানার।চেষ্ট মুফাসসিরে কোরআন।।আল্লাহ নেক হায়াত দান করুন।
@joynalabden4181
@joynalabden4181 4 жыл бұрын
মাশাল্লাহ আল্লাহু আকবার এত সুন্দর চমৎকার সমাধানমূলক আলোচনা এরপরেও যারা মানতে চায় না কপাল পরা ছাড়া আর কিছুই নয়
@rjtech7374
@rjtech7374 4 жыл бұрын
আল্লাহ যেন নুরুল ইসলাম ওলিপুরীকে নেক হাওয়াত দান করেন।আমিন।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
(৯) ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
@AminulIslam-mi8vs
@AminulIslam-mi8vs 4 жыл бұрын
@@abdulwahedkhan6293 amra hanafi
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
@@AminulIslam-mi8vs #রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে? ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। (১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড) এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়। (২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)। (৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)। বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে। (৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)। মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব। এতে বুঝা যায়, তাদের চেহারা খোলা ছিল।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 2 жыл бұрын
@@AminulIslam-mi8vs ইবনে হুবায়রা (রঃ) বলেন, ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, নারীর চেহারা, হাতের কব্জি ওপা ছাড়া সবই সতর। ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ) বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সবই সতর। ইমাম আহমদ (রঃ)তার এক বর্ণনায় বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সবই সতর। ইমাম আহমদের আরেক বর্ণনায় চেহারা ছাড়া বাকি সবই সতর বলা হয়েছে । এটাই প্রসিদ্ধ মত( আল ইফসাহ আন মায়ানী আসসেহা, ১ খণ্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা) #(২) ইবনে আব্দুল বার (রঃ) তার তাহমিদ গ্রন্থে বলেন, ইমাম মালেক, আবু হানিফা, সাফেয়ী( রঃ) ও তাদের সঙ্গীগন বলেন, আওযায়ী( রঃ)ও আবু সওর (রঃ)এর একই মত। নারী চেহারাও হাতের কব্জি ছাড়া সবকিছুই ঢেকে রাখবে( আত তামহীদঃ ইবনে আব্দুল বার, 6 খন্ড, 365, পৃষ্ঠা)। #(৩) তেমনিভাবে যারা চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সমস্ত দেহই সতর হওয়ার কথা বলেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আওযায়ী ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ)। এছাড়া ইমাম আহমদও রয়েছেন( আল মুগনী, 1 খন্ড, 522 পৃষ্ঠা) মুফাসসিরদের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে খোলা রাখা হারাম নয়।
@mufazzalkarim5562
@mufazzalkarim5562 4 жыл бұрын
হে আল্লাহ ওলীপুরী হুজুর কে লম্বা হায়াত দান করুন।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
#রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে? ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। (১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড) এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়। (২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)। (৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)। বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে। (৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)। মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব।
@tanviralam6075
@tanviralam6075 4 жыл бұрын
আল্লাহু আকবর, অসাধারন সমাধান! ওগু অাল্লাহ আপনি হুজুরকে নেক হায়াত দান করুন এবং সবাইকে সঠিকভাবে বুঝার তাওফিক দান করুন আমিন
@AbdurRahim-ou3un
@AbdurRahim-ou3un 4 жыл бұрын
মাশা-আল্লাহ কত সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
(৯) ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
@salmanrizvi27
@salmanrizvi27 4 жыл бұрын
একজন হক্কানি আলেম উম্মতের জন্য রহমত আল্লাহ্ হজরত কে নেক হায়াত দান করুক (আমিন)"!!
@user-oe6vr8iq6r
@user-oe6vr8iq6r 4 жыл бұрын
জাজাকল্লাহ খাইরান আলহামদুলিল্লাহ। এতো সুন্দর এতো মনমুগ্ধকর কথাগুলো তারপরও কিভাবে যে একদল মানুষ বিরোধিতা করে। আল্লাহ মাফ করেন।
@saifulsaif8734
@saifulsaif8734 4 жыл бұрын
আল্লাহ তায়ালা ওলী পুরি হুজুরকে নেক হায়াত দান করুন
@husainahmad7210
@husainahmad7210 4 жыл бұрын
আল্লাহ নতুন মোল্লাদের ফতয়া থেকে হেফাজত কর, আল্লাহ, অলিপুরিকে নেক হায়াত দান কর।
@readingright8386
@readingright8386 4 жыл бұрын
আমিন
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
(১) হিজাব ফরজ ছিল উম্মুল মোমেনিনদের জন্য নির্দিষ্ট। সাধারণ মোমেন নারীর জন্য হিজাব ফরজ ছিল না। তাদের সতর ঢাকা ফরজ। ~~~~~~~~~~~`~~~~~ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট( কারন)ঃ- একজন নেতার বাড়িতে জনসমাগম খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। নবী হিসেবে রসুলের( সঃ) গৃহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।। রসুলের( সঃ) হারেমে যেসব লোক যাতায়াত করত তার মধ্যে ভালো মন্দ সব রকমের লোকই ছিল। ইসলাম প্রসারের সাথে সাথে রসুলের( সঃ) গৃহে লোকের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা ছিল। হযরত ওমর( রাঃ) বিষয়টি জানতে পেরে রসুলের( সঃ) স্ত্রীদের হিজাবের অন্তরালে রাখার পরামর্শ দেন। কিন্তু রসূল( সঃ) আল্লাহর তরফ হতে ইংগিত না পাওয়ায় বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেননি। # হাদীসঃ- হযরত ওমর( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ----------আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল(সঃ) আপনার কাছে ভালো-মন্দ সব ধরনের লোকই আসে। আপনি যদি উম্মাহাতুল মুমিনীনদের হিজাবের অন্তরালে রাখার নির্দেশ দিতেন (তাহলে কতই না ভালো হতো) । ফলে আল্লাহ হিজাবের আয়াত নাযিল করেন (সহি বুখারী, তাফসীর অধ্যায়, ৯ খন্ড)। তাছাড়া রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।----- (আহজাব-৩২)। নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)। নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (আহযাব- 53)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে। হযরত ওমর( রাঃ) তার শাসনামলে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেননি। কারণ মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ, তোমরা সাধারন স্ত্রীলোকদের মত নও। নিজ গৃহে অবস্থান করো( আজাব 32, 33)। মহান আল্লাহর এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওমর( রা) উম্মুল মুমিনীনদের উপর এই বিধি নিষেধ জারি করেন। কিন্তু সাধারণ মুমিন নারীর উপর হজ্বের ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পরবর্তীতে অকাট্য ও বলিষ্ঠ দলিলের ভিত্তিতে তার খেলাফতের শেষের দিকে ওমর( রাঃ) তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে তার শেষ হজ্বে উম্মুল মুমিনীনদের হজ্ব করার অনুমতি দেন। হাদিসঃ- ইব্রাহিম ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত। ওমর( রাঃ) তার শেষ হজ্জ্বে নবী পত্নীদের হজ করার অনুমতি দেন। এজন্য তাদের সাথে পাঠান উসমান ইবনে আফফান ও আব্দুর রহমানকে (সহি বুখারী, হজ্জ্ব অধ্যায়)। বাইহাকীর বর্ণনায় আরও বিস্তারিত আছে। সহি বুখারী আরেক বর্ণনায় আছে হজ্বের সময় উম্মুল মু'মিনীনগন পুরুষদের সাথে মিশতেন না।( সহি বুখারী, হজ্ব অধ্যায়ের ইবনে জুরাইজ বর্ণিত হাদিসটি দেখুন)। উম্মুল মোমেনিন হওয়ার জন্য হিজাব শর্ত। নোমান ইবনে আবিল জওন আল ফিন্দির প্রস্তাব অনুযায়ী রসূল( সঃ) এক মহিলাকে বিয়ে করেন। তাকে বলা হলঃ আপনার ও আপনার সাথে পুরুষের মধ্য থেকে যে কথা বলবে তার মাঝখানে হিজাব থাকতে হবে। কাজেই তিনি ঠিক তেমনটি করলেন (সহি মুসলিম, ৮ খন্ড)। হিজাব ফরজ হওয়ার জন্য উম্মুল মমিনীন হওয়ার শর্ত। ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলের( সঃ) পরে মুজাহিদ ইবনে আবু উমায়ের ইবনুল মুগীরা আসমা বিনতে নোমানকে বিবাহ করেন। ওমর( রাঃ) তাদের দুজনকে শাস্তি দিতে চান। এই কথা জানতে পেরে আসমা বলেন, আল্লাহর কসম, আমার জন্য হিজাব ফরজ করা হয়নি এবং আমাকে উম্মুল মুমিনীন বলে আখ্যায়িত করা হয়নি। ওমর( রাঃ) তাদের শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকেন (সহীহ মুসলিম, ৮ খন্ড)। অনুরূপভাবে হযরত আবু বকর( রাঃ) ফিন্দি গোত্রের কোতিলা নামের এক মহিলাকে শাস্তি দিতে চান। হযরত ওমর( রাঃ) বলেন আল্লাহর কসম, সেতো মূলত রসুলের( সঃ) স্ত্রী ছিল না। তিনি তাকে এখতিয়ার ও দেননি এবং হিজাবের মধ্যেও রাখেননি (সহিঃ মুসলিম, ৮ খন্ড)।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
১(ক) এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। #(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২) # (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। # অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে। # এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। # অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ। # আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড) # ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) । # ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড) # ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)। # ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)। # মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)। # ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)। # কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। # তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)। # মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
@monjurulislamsiddiki7487
@monjurulislamsiddiki7487 3 жыл бұрын
ওইবেডা হুজুর আপনার বাপের বয়সি হুজুর কে নাম ধরে ডাকলেন কেনো আশা করি আল্লার কাছে তওবা করে খমা চাইবেন
@ssshaporankhan4750
@ssshaporankhan4750 4 жыл бұрын
হুজুর কে অনেক ভালবাসি,কারন হুজুর, মনের ভিতর থেকে কতা বলে বুঝিয়ে দেই
@nasiruddinchowdhury697
@nasiruddinchowdhury697 4 жыл бұрын
আল্লাহ হুজুরকে নেক হায়াত দান করুক আমিন, সুন্দর ভাবে বুঝানো জন্য
@alamakhialam4555
@alamakhialam4555 4 жыл бұрын
Amin
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
# ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সততের অংশ নয়। কেননা রসুল( সঃ) এহরাম পরিহিতা নারীকে নিকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ হত, তাহলে রসূল( সঃ) এ দুটি ঢেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখা প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হতে হয় । আর এ কারণে এসব সতর বলে গন্য হয় না ( আল মাজমু শরহে মুহাযাযাব, 3 খন্ড, 183 পৃষ্ঠা)
@MDRAKIB-pl7yl
@MDRAKIB-pl7yl 4 жыл бұрын
Amin
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
@@MDRAKIB-pl7yl রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।----- (আহজাব-৩২)। নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)। নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (আহযাব- 53)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে। এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। #(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২) # (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। # অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে। # এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। # অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ। # আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড) # ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) । # ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড) # ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)। # ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)। # মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)। # ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)। # কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। # তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)। # মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
@AminulIslam-mi8vs
@AminulIslam-mi8vs 4 жыл бұрын
@@abdulwahedkhan6293 tui jamat koros.
@ariyanfaruk5488
@ariyanfaruk5488 4 жыл бұрын
মাশাল্লাহ,, অনেক ভাল এবং সু স্পষ্ট ব্যখ্যা দিলেন,, আল্লাহ হুজুরকে কবুল করুন
@jewelhk8226
@jewelhk8226 4 жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর ভাবে বুজিয়েছেন।
@khandakarmuzakkir3373
@khandakarmuzakkir3373 4 жыл бұрын
আল্লাহু আকবার! উনার গভীর জ্ঞান দেখে আমি অবাক হই। আল্লাহ উনাকে দীর্ঘ হায়াত দান করুন। এবং উনার মত একজন ব্যক্তি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত যেন উনার মৃত্যু না হয়।
@selinabegum4869
@selinabegum4869 4 жыл бұрын
কুয়ার বেঙ। মূর্খ বেকুবের দল।
@mdismail6032
@mdismail6032 4 жыл бұрын
আমিন
@gggkkk3070
@gggkkk3070 4 жыл бұрын
ata kemon sotik gian jeta hinsar kote boleara sadaron manusher iman nea sinibini kelse ara domaj ke kulusitho korbe ara akjin arek jon mullar pise lagia u take ata tader hinsa.ara kokono sotto bolbena ader k bissas na kore allake bissas koro namaj poro hala ruji koro halal kaw karu hok nosto koro na ma bun bow ke porda kore rako nije jemon paro alla jannat diba.oe mullara sudu hinsar kota bolbe oy kota guka somaje sudu hinsa sisti korve ....
@khandakarmuzakkir3373
@khandakarmuzakkir3373 4 жыл бұрын
@@gggkkk3070 যেটা ভুল সেটাকে ভুল মানতে হবে। ব্যাক্তিকে সবাই ভালোবাসে, তাই বলে প্রিয় ব্যক্তির ভুল কি ভুল হিসেবে ধরবো না?
@arianrubel2137
@arianrubel2137 4 жыл бұрын
uni kno miye k dake kina jane niben rasta diya jkon hate
@mdyamin3979
@mdyamin3979 4 жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ বিভ্রান্ত থেকে মুক্তি পেলাম😍😍😍😍
@robinahmad4544
@robinahmad4544 4 жыл бұрын
মাশাআল্লাহ কত সুন্দর বয়ান ""আপনি যদি হিংসা না করে সঠিক টা বলেন তাহলে মানতে হবে আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী সাহেবের বয়ানের নিচে থাকবে সমস্ত বক্তা???
@user-jz2qb6ox1e
@user-jz2qb6ox1e 3 жыл бұрын
ধন্যবাদ
@mdshadat2430
@mdshadat2430 4 жыл бұрын
বাংলাদেশের শেষ্ঠ মুফাসসির,, আল্লামা ওলীফুরী,, খুব সুন্দর বখ্যা দিলেন।কিন্তু যারা ভুল ফতুয়া দিয়েছেন তারা হয়ত যুগ অনুযায়ী ভূল। কিন্তু ফতুয়ার দিক থেকে সঠিক।কিন্তু সে ফেতনার দিক থেকে হয়তো বিচার করেনি।তাকে দূরে ঠেলে না দিয়ে বুঝিয়ে আপন করে নেওয়া উত্তম।
@mohdyasin6814
@mohdyasin6814 3 жыл бұрын
ওলীপুরী সাহেব যত দিন ধরে ইসলামিক মহফিন করে,নতু নতু বক্তা তাহাদের বয়স ও হই নাই।
@user-rx5vm6yt7l
@user-rx5vm6yt7l 7 ай бұрын
এক্কেবারে ঠিক বলেছেন ভাই ❤❤❤❤
@zaberhossain7017
@zaberhossain7017 4 жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ। এর পরে আর কোন জগড়া হওয়ার কথা নয়।
@AnamulAnamul-zj2uy
@AnamulAnamul-zj2uy 4 жыл бұрын
রাইট
@kamrulhasan-ft9xe
@kamrulhasan-ft9xe 4 жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ,, হুজুর অনেক সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন অনেক ভালো লাগছে জেনে
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
@@kamrulhasan-ft9xe রাসুলের( সঃ) মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের পুনরায় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। তাদের জন্য হিজাব ফরজ করা হয়েছে। কারণ পরস্পর দেখা-সাক্ষাৎ বিয়ের আগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে। এই আগ্রহ হতে পারে পুরুষের তরফ থেকে অথবা নারীর পক্ষ থেকে। যেহেতু নবী স্ত্রীদের পুনঃবিবাহ হারাম করা হয়েছে, তাদের জন্য হিজাব ফরজতো করা হবেই। এটাই স্বাভাবিক ও যুক্তিসংগত। মহান আল্লাহ বলেনঃ হে নবী স্ত্রীগণ তোমরা সাধারণ ( অন্যান্ন) স্ত্রীলোকদের মত নও।----- (আহজাব-৩২)। নিজ গৃহে অবস্থান করো।------- (আহযাব-৩৩)। নবীর স্ত্রীদের নিকট কিছু চাইলে পর্দার অন্তরাল থেকে চাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (আহযাব- 53)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ সাধারণ স্ত্রীলোক (অন্যান্য) বলতে কাদেরকে বোঝানো হয়েছে? অবশ্যই সাধারণ মুমিন নারীকে বুঝানো হয়েছে। এখানে আমি পর্দার সাথে সংশ্লিষ্ট দুটি হাদিস সহ কতিপয় শরীয়তের ইমামের মতামত লিপিবদ্ধ করলাম। #(১) রসূল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো । কারণ সে তোমাদের দেখতে পাইতেছেনা। কিন্তু তোমরা তো তাকে দেখতে পাইতেছো। সুতরাং তার থেকে পর্দা করো"( সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নাম্বার-৪২১২) # (২) ফাতেমা বিনতে কায়েস বর্ণিত হাদীসঃ আমর ইবনে হাফসের পিতা তাকে তিন তালাক দেন( হযরত আলীর রাঃ সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেনে আবার পথে)। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে এসে তাঁকে এ কথা জানায়। রসূল( সঃ) তাকে উম্মে সুরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এ মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি ইবনে উম্মে মাকতুম গৃহে ইদ্দত পালন করো। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে ( সহী মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। # অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটি কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে( সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৪ খন্ড)। ঘটনাটি সংঘটিত হয় ১০ম হিঃ সনে। # এখানে লক্ষণীয় বিষয় এই যে, যেখানে রসূল( সঃ) তার স্ত্রীদেরকে অন্ধ সাহাবীর দিকে তাকাতে নিষেধ করছেন, সেখানে ফাতেমাকে বলছেন, তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুম এর গৃহে ঈদ পালন করো। ফাতেমা ও এই অন্ধ সাহাবীর মধ্যে মেলামেশা হবে দুই /এক ঘন্টার জন্য নয় বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। # অন্যদিকে হাদিস থেকে বুঝা যায়, উম্মে শুরাইক এর গৃহ এবং মেহমান খানার মধ্যে কোন অন্তরাল ছিল না। সেখানে নারী ও পুরুষ মেলামেশা হত অহরহ। # আসরাম হাদিস দুটি আহমদ ইবনে হাম্বল এর নিকট উপস্থাপন করে বলেন, মনে হচ্ছে প্রথম হাদীসটি উম্মুল মুমিনীনদের সাথে সংশ্লিষ্ট এবং দ্বিতীয় হাদীসটি সকল মুমিন নারীর সাথে সংশ্লিষ্ট। জবাবে আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন "হা"।( আল মুগনী, ইবনে কুতামাহ, ৭ খন্ড) # ইমাম আবু দাউদ হাদীস দুটি বর্ণনা করার পর বলেন, "এটি ছিল নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট( সুনানে আবু দাউদ, পোষাক অধ্যায়, আল্লাহর বাণী) । # ইমাম তাবারী তার তফসির গ্রন্থে একই মন্তব্য করেন (তাফসীরে তাবারী, 22 খন্ড) # ইবনে কুতাইবা বলেন, হিজাব একমাত্র নবী পত্নীদের জন্য নির্দিষ্ট( তালিবুল মুখতালিফুল হাদীস)। # ইমাম নববী বলেন, হিজাব ফরজ করা হয়েছে একমাত্র নবী স্ত্রীদের জন্য( শারণ্দু সহিঃ মুসলিম লিন নববী, 14 খন্ড)। # মাহলাব বলেনঃ হিজাব একমাত্র নবীর( সঃ) স্ত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল( ফাতহুল বারী, 11 খন্ড)। # ইবনে বাত্তাল (সহি বুখারীর একজন ব্যাখ্যাকার) বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, অন্য মুসলিম মেয়েদের জন্য তা ফরজ নয় (ফাতহুল বারি, 13 খন্ড)। # কাজী আইয়াজ বলেনঃ নবীর( সঃ) স্ত্রীদের জন্য চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখার নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং পর্দা অবস্থায় তাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা জায়েয নয় (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। # তিনি পুনরায় বলেনঃ রসুলের( সঃ) স্ত্রীগণের চেহারা ও হাতের কব্জি মতভেদ ছাড়াই তাদের জন্য হিজাব ফরজ । যে কারণে সাক্ষী দেওয়া ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মুখ খোলা রাখা বৈধ নয় (ফাতহুলল বারি, 10 খন্ড)। # মূল কথা এই যে, উম্মুল মুমিনীনদের জন্য যে হিজাব ফরজ করা হয়েছে, তা সাধারণ মোমেন নারীদের জন্য ফরজ করা হয়নি। সাধারণ মোমেন নারীর সতর ঢাকা ফরজ। সতরের সীমা নিয়ে আলেমদের মধ্যে এখতেলাফ আছে।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
@@AnamulAnamul-zj2uy হাদিসঃ হযরত আয়েশা( রাঃ) হযরত সালেম( রাঃ) এর সাথে পর্দা করতেন না। কারণ হযরত সালেহ( রা) গোলাম ছিলেন এবং গোলামের সাথে পর্দা করা উম্মুল মু'মিনীনদের জন্য ফরয ছিলনা। একদিন তিনি (সালেম) হযরত আয়েশাকে( রা) এসে জানালেন যে, আল্লাহ পাক তাকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। এ খবর শোনার সাথে সাথে হযরত আয়েশা( রাঃ) তাকে ধন্যবাদ জানালেন এবং পর্দা করলেন। হযরত সালেম( রাঃ) বলেন ঐদিনের পর থেকে আমি আর কোনদিন হযরত আয়েশাকে( রাঃ) দেখিনি ( মেশকাত শরীফ)। (খ) হাদিসঃ হযরত আয়েশা( রাঃ) থেকে বর্ণিত। আবু হুজাইফার আযাদকৃত দাস সালেম( রাঃ) আবু হুজাইফা ও তার পরিবার পরিজনের সাথে তাদের বাড়িতে থাকতেন। সোহায়েলের কন্যা( আবু হুজাইফার স্ত্রী) নবীর( সঃ) এর কাছে এসে বলল, সালেম প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। সে আমাদের মাঝে যাতায়াত করে। আমার মনে হয়, আবু হুজাইফা এ ব্যাপারটাকে ভালো চোখে দেখে না। রাসূল( সঃ) বললেন তাকে দুধ পান করিয়ে দাও। তাহলে তুমি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে এবং আবু হুজাইফার মনে যে সংশয় রয়েছে তার দূরীভূত হয়ে যাবে। সোহায়েলের কন্যা পরে এসে রাসুলকে ( সঃ) বলল, আমি তাকে দুধ পান করিয়েছি এবং আবু হুজাইফার মনের সংশয় দূরীভূত হয়েছে (সহিঃ মুসলিম, দুধ পান করানো অধ্যায়, অনুচ্ছেদঃ বয়স্কদের দুধ পান করানো, ৪ খন্ড)। দুটি ঘটনায়ই হিজাবের পরের ঘটনা। সালেম( রাঃ) স্বাধীন হওয়ার পর মা আয়েশা( রাঃ) যেখানে তার থেকে তৎক্ষণাৎ পর্দা করেন এবং জীবনে আর কখনো সালেম( রাঃ) আয়েশাকে( রাঃ) দেখেননি সেখানে সোহায়েলের কন্যার গৃহে সালেমের( রাঃ) অবাধ যাতায়াত ছিল । দুধ পানকরানোর উদ্দেশ্য আবু হুজায়ফার সন্দেহ দূর করা। এর অতিরিক্ত কিছু নয়। হযরত সালেহ( রাঃ) এর মর্যাদা সম্পর্কে এতটুকু বলাই যথেষ্ট হবে যে, রসূল( সঃ) যে চারজন সাহাবী থেকে কোরআন শিক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন, তন্মধ্যে হযরত সালেম( রা) এর নাম দুই নম্বরে আছে (বোখারী)। হাদীস দুটো থেকে উম্মুল মুমিনীনদের পর্দা এবং সাধারণ মোমেন নারীর পর্দার পার্থক্য স্পষ্ট।
@mosarfhoshain5041
@mosarfhoshain5041 4 жыл бұрын
আল্লামা নুরুল ইসলাম।ওলি পুরী।এ।জমানা।চেষ্ট মোপাস্সের কোরআন।তিকে।আল্লাহ নেকআায়াদ তান।করক
@mdnovinovi7513
@mdnovinovi7513 4 жыл бұрын
হযরত কে ভালোবাসা দরকার আজীবন
@gohuibla8289
@gohuibla8289 4 жыл бұрын
আগে বাংলা লেখা শিখুন তার পর কমেন্ট করুন
@selinabegum4869
@selinabegum4869 4 жыл бұрын
@@gohuibla8289 // ওরা Murkho কউমি। বাংলা,ইংরেজী,অংক, ইতিহাস ,ভূগোলের Gan ওদের নেই।
@user-pq2lt1yx2r
@user-pq2lt1yx2r 4 жыл бұрын
@@selinabegum4869 tore pidamo
@msfaisal1970
@msfaisal1970 4 жыл бұрын
আপনার বাংলা বানান এর মতই শ্রেষ্ঠ
@monjilvlogs3163
@monjilvlogs3163 4 жыл бұрын
মাশাহআল্লাহ অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন হুজুর । আমরা যারা এতো দিন হতাশার মধ্যে ছিলাম, এখন জানতে পারলাম, আল্লাহ্ ফিতনাবাজ মুলোবিদের হেদায়ত করো।আমিন ।
@user-mahmudul315
@user-mahmudul315 4 жыл бұрын
আহঃ দুশ্চিন্তা থেকে বাহির হলাম, নতুন যুগের, নতুন বক্তার,নতুন ফর ফর ফতোয়া থেকে।
@rhnayon3377
@rhnayon3377 4 жыл бұрын
তোমাদের কি চোখ নেই। তোমরা কি বই পড় না?? সত্য মিথ্য নিজের বিবেক দিয়েবিচার করো।
@hmrabe328
@hmrabe328 4 жыл бұрын
@@rhnayon3377 kno vai kiser Mittha
@rhnayon3377
@rhnayon3377 4 жыл бұрын
@@hmrabe328 বোঝার ক্ষমতা থাকা লাগবে।
@hmrabe328
@hmrabe328 4 жыл бұрын
@@rhnayon3377 vai amra boi porina Quran pori bujte hobe 😊
@best_techolve6746
@best_techolve6746 4 жыл бұрын
কেন ওলিপুরি যা বলে সব ঠিক নাকি
@muhayminulislam3194
@muhayminulislam3194 4 жыл бұрын
যে কোনো তরিকার লোক যদি আল্লামা ওলিপুরী হুজুরের আলোচনা দিল থেকে শ্রবণ করে তাহলে সঠিক ব্যাখ্যা পেয়ে যাবে
@mdmasudrana7413
@mdmasudrana7413 4 жыл бұрын
রাইট
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
(৯) ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
@AminulIslam-mi8vs
@AminulIslam-mi8vs 4 жыл бұрын
@@abdulwahedkhan6293tui alem?
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
@@AminulIslam-mi8vs #রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে? ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। (১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড) এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়। (২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)। (৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)। বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে। (৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)। মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব। এতে বুঝা যায়, তাদের চেহারা খোলা ছিল।
@user-jz2qb6ox1e
@user-jz2qb6ox1e 3 жыл бұрын
Right
@user-od3wc3oj1o
@user-od3wc3oj1o 4 жыл бұрын
মাশাআল্লাহ্ অনেক আলোচনা করেছেন
@zaberhossain7017
@zaberhossain7017 4 жыл бұрын
আহরে আফসোস এই জাতির জন্য। এই আলোচনা শুনার পরে ও কিছু মানুষ আছে এখনো বলবে তাদের গুরু যা বলছে তা-ই সঠিক। এই ধরনের মানুষের কপালে হেদায়েত নেই। কারণ এদের বিবেক থাকা শর্তে ও তারা হক্ক কে না হক্ক বলে। আল্লাহ আপনি এই সমস্ত মানুষদের কে হেদায়েত দান করেন। আমিন।
@abubokkor8147
@abubokkor8147 4 жыл бұрын
থাক ভাই দো’য়া করেন
@aflhbbkh2495
@aflhbbkh2495 4 жыл бұрын
রাইট
@ShamimAhmed-rm8wr
@ShamimAhmed-rm8wr 4 жыл бұрын
গুরু বলতে কাকে বুজাইলেন
@user-ug8pr6hf8n
@user-ug8pr6hf8n 4 жыл бұрын
অই বেয়াদব গুরু কি???তোর পির বাবা কি তোরে ভাসা সিখায়নাই,,,
@zaberhossain7017
@zaberhossain7017 4 жыл бұрын
@@user-ug8pr6hf8n গুরু হলো তোদের যতো পথভষ্ট বক্তা আছে সব গুলো।
@mdsaheenalom1435
@mdsaheenalom1435 4 жыл бұрын
আমিন ছুম্মা আমিন হে আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন আপনি ওলীপুরি হুজুরের নেক হায়াত দান করুন আমিন ছুম্মা আমিন
@user-yi9un7cl9x
@user-yi9un7cl9x 4 жыл бұрын
মাশা আল্লাহ হুজুরের সুন্দর আলোচনা
@user-dk6vj6vu8h
@user-dk6vj6vu8h 4 жыл бұрын
হে প্রভু আপনি হুজুরকে নেক হায়াত দান করুন আমিন
@mdsahadat5256
@mdsahadat5256 4 жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ অসাধারন যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ হুজুরকে আল্লাহ আমাদেরকে আমলকরার তৌফিক দানকরুন
@anasayub5444
@anasayub5444 4 жыл бұрын
একজন অপরকে বোঝার চেষ্টা করে না। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। হুজুর খুব সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আজহারীর ব্যাখ্যা এর কাছাকাছি। আক্রমণাত্মক না হয়ে নসীহতপূর্ন হলে বেশি উপকারী হয়। ধন্যবাদ
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
(৯) ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
@mdsharifuddinsikdar3658
@mdsharifuddinsikdar3658 4 жыл бұрын
দেখ ভাই আলেম কারে বলে। মুফতি কাকে বলে।। সুধু সুন্দর কথা আর সুন্দর চেহেরার কথা শুনে ভুল ফতুয়া মিনে নিবো তা হয়না পরিবর্তন হওয়া জায়না। আমার চাই সটিক পত যে পতে আমরা আল্লাহ কে ও তার রাসুল কে ভালবাসতে পারি
@mdsagorbepari53
@mdsagorbepari53 4 жыл бұрын
আল্লাহ পাক হযরত নুরুল ইসলাম অলিপুরী সাহেব হুজুর কে নেক হায়াত দান করুন আমীন।
@user-dk6vj6vu8h
@user-dk6vj6vu8h 4 жыл бұрын
আল্লাহ আকবার অসাধারণ আলোচনা
@user-pq2lt1yx2r
@user-pq2lt1yx2r 4 жыл бұрын
বাংলার জমিনে ওলিপুরির মত দশজন আলেম থাকলে শিরিক বেদাত থাকতো না তার মধ্যেই আমরা একজনকে পেয়েছি
@dancebangla2658
@dancebangla2658 4 жыл бұрын
রাইট
@selinabegum4869
@selinabegum4869 4 жыл бұрын
মূর্খ কউমি গোষ্ঠী। বেকুবের দল ।কুয়ার বেঙ।
@StrangeAndroidTips
@StrangeAndroidTips 4 жыл бұрын
Chi apnar basar tulona hoyna,,, abong apnar kotha dara boja gelo apni kamon...apnar Khov sondur porichoy dilen...
@siyamfull172
@siyamfull172 4 жыл бұрын
@@AbujorborhaniTv11 কি রে..! মা-বাবা কি গালিগালাজ করতে করতে তোকে পয়দা করেছে..!!/???
@shajahanmd1075
@shajahanmd1075 4 жыл бұрын
সহমত
@mdosman502
@mdosman502 4 жыл бұрын
আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী আমাদের গর্ব আমাদের অহংকার
@mdrakibulislam1298
@mdrakibulislam1298 4 жыл бұрын
আল্লাহ তুমি হুজুরের হায়াত বাড়িয়ে দাও। নয়তো তারাতারি দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে।
@syedanowar4732
@syedanowar4732 4 жыл бұрын
ভাই এটা কি বললেন????!!!!! দুনিয়া কি ওনার জন্যই টিকে আছে???!!!
@rubelislam8578
@rubelislam8578 4 жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ হুজুর খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা জানিয়েছেন আল্লাহ আপনি হুজুর কে নেক হায়াত দান করুন আমিন আমিন
@dreamforever8009
@dreamforever8009 4 жыл бұрын
Great person.May Allah long live him!
@mdtahfimramjan4306
@mdtahfimramjan4306 4 жыл бұрын
বাংলা বাঘ যেমন এলেম তেমন আমল তার।
@nehalmolla1862
@nehalmolla1862 4 жыл бұрын
Joto parsen ase toto parsen sotto
@msjubleetannerybangladesh230
@msjubleetannerybangladesh230 4 жыл бұрын
Alem thakle o ahongkari o poro ninda Kari
@AbdusSalam-ze4cs
@AbdusSalam-ze4cs 3 жыл бұрын
বৃহত্তর আন্তর্জাতিক ফরায়েজী ইসলাম বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক খেলাফত মজলিস বাংলাদেশ আমার পক্ষ থেকে হযরত মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী সাহেব সহ সবাই কে আন্তরিক ভাবে শুকরান জাজাকাল্লাহ খাইরান।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, " লা ইউবদিনা যীনাতাহুন্না ইল্লা মা যহরা মিনহা "। অর্থঃ তারা( মহিলারা) তাদের " যীনাত " প্রকাশ করবেনা ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিক ভাবে বের হয়ে থাকে( নূর-৩১)। " যীনাত " অর্থঃ পোষাক, সাজসজ্জা, সাজসজ্জার স্থান, সৃষ্টিগত সৌন্দর্য। সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতের শেষের দিকে মহান আল্লাহ বলেন, তারা " যীনাত " প্রকাশ করবে না, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়াঃ স্বামী, বাপ, শশুর -------- ইত্যাদি সকল মাহরামগণ। " যীনাত " অর্থ যদি পোশাক/ সাজসজ্জা ধরা হয়, তবে মাহরামগণ তাদের মা-বোনদের পোশাক/ সাজসজ্জা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেনা। সুতরাং" যীনাত " অর্থ সৃষ্টিগত সৌন্দর্য, এই অর্থটি গ্রহণ করাই অধীক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুফাসসিরগন এই অর্থটিই গ্রহণ করেছেন। অতএব আয়াতের প্রথম অংশের অর্থ দাঁড়ায়ঃ তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না, ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে থাকে( অর্থাৎ চেহারাও হাতের কব্জি)। এ ব্যাপারে হিজাবের পরে রসুলের( সঃ) নির্দেশ সম্বলিত তিনটি হাদিস পাওয়া যায়। দুটি হাদীস দুর্বল। একটি শক্তিশালী। "অলাইয়াদরিবনা বিখুমুরিহিন্না আলা যুয়ুবিহিন্না "। আর তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দিয়ে আবৃত করে। উরওয়া থেকে বর্ণিত। মা আয়েশা( রাঃ) বলেন, আল্লাহ প্রথম হিজরত কারিনী মহিলাদের প্রতি দয়া করেছেন। যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়, তখন তারা তাদের সেলাইবিহীন কাপড় দু ভাগ করে তার সাহায্যে মাথা ডেকে নেয়। অন্য বর্ণনায় আছে, তারা তাদের চাদর নিয়ে লম্বার দিক থেকে দু ভাগ করে একভাগ দিয়ে মাথা ঢেকে নেয় (সহি বুখারী, কিতাবুত তাফসীর, সূরা নূর)। হাফেজ ইবনে হাজার রঃ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, প্রথম হিজরত কাহিনী মহিলারা কোরানের এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর ঘুমটা দিয়েছিলেন অর্থাৎ চেহারা ঢেকেছিলেন। কিন্তু কাজী আবু বকর ইবনুল আরাবির আহকামুল কুরআনে বলা হয়েছেঃ- "জাইব" হচ্ছে গলা ও বুক এবং "খিমার" হচ্ছে যা দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা যায়( আহকামুল কোরআন, 3 খন্ড)। প্রখ্যাত এরাবিয়ান গবেষক আব্দুল হালিম আবু শুক্কাহ তার "রাসুলের( সঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা " কিতাবে বলেনঃ- হাফেজ ইবনে হাজার এর উচ্চ মূল্যায়ন সত্ত্বেও আমাদের দৃষ্টিতে তার এ কথা সঠিক নয়। কেননা "খিমার" অর্থ আরবি ভাষার তাফসীর ও ফিকহের কিতাবে যা প্রসিদ্ধ, তা হল মাথা ঢেকে রাখা। তা থেকে এর অর্থ দাঁড়ায় মাথা ঢেকে রাখা এবং হাদিসের বর্ণনা সমূহ এই নিশ্চয়তা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ তিনি তাঁর কিতাবে কতগুলো হাদিস লিপিবদ্ধ করেন। উক্ত হাদিস থেকে আমি মাত্র একটি হাদিস নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। (১) বেলাল( রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূল( সঃ) মোজা ও মাথার উপর পড়া রুমালের (খিমার) উপর মাসেহ করলেন ( সহিঃ মুসলিম)। (Ref:-. রাসুলের( সঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা। byঃ- আব্দুল হালিম আবু সুককাহ। ৪ খন্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা)
@sakibvlog6027
@sakibvlog6027 4 жыл бұрын
আমার জিবনে আল্লামা ওলিপুরির মত এত জবরদস্ত আলিম দেখি নাই.. । আল্লাহ হযরতকে নেক হায়াত দান কর. আমিন...।।
@selinabegum4869
@selinabegum4869 4 жыл бұрын
তুই দেখবি কি করে? তুইতো কুয়ার বেঙ। শালারপুত মূর্খ কউমি।
@jubailhossain1459
@jubailhossain1459 4 жыл бұрын
selina notir biti tui ki bal janosh
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
বুখারী ও মুসলিম শরীফের সহী হাদীস বাদ দিয়ে দুর্বল হাদীস দিয়ে দলিল গ্রহণযোগ্য নয়। আজহারী সাহেব বুখারী ও মুসলিম শরীফ থেকে হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের কয়েকটি দলিল উপস্থাপন করেছেন । নিচে আমি হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের আলোচ্য দুটি হাদীস সহ তিনটি হাদিস বর্ণনা করবো। (১) রাসুল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে( হযরত মায়মুনা রাঃ এবং উম্মে সালমা রাঃ) বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো। কারণ তোমরাতো আর অন্ধ নও। তোমরা কি তাকে দেখতে পাইতেছো না"।হাদীসটি দুর্বল। # ইমাম কুরতুবী বলেন, উম্মে সালমার( রাঃ) আযাদকৃত গোলাম নিবহান থেকে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন মুহাদিসের দৃষ্টিতে এই হাদীসটি সহি নয়। কারণ উম্মে সালমার( রাঃ) কাছ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তার আযাদকৃত গোলাম নিবহান । তার বর্নিত হাদিস দলিল হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। উম্মুল মুমিনীনদের মর্যাদার ব্যাপারে তার অশিষ্ট আচরণ হিজাবের ব্যাপারে তার বর্ণনাকে নিরাপদ করে না। আবু দাউদ এবং অন্যান্য ইমামগণ এদিকে ইশারা করেছেন (তাফসীরে কুরতুবী, সূরা নূর- 31 নং আয়াত এর তাফসীর দেখুন)। নিম্নে ২ নং ক্রমিকে বর্ণিত মুসলিম শরীফের সহীহ হাদিসটির বিপরীতে এই দুর্বল হাদীসটি দলিল হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। (২) হাদীসঃ ফাতেমা বিনতে কায়েস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আমর ইবনে আফসের পিতা তাকে (হযরত আলীর সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেন যাবার পথে) তিন তালাক দেন। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে আসে এবং তাঁকে এ কথা জানায়। তিনি বলেন, তার কাছে তোমার খোরপোষ পাওনা নেই। ফাতেমাকে তিনি উম্মে সূরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এই মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুমের গৃহে ইদ্দত পালন কর। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে (সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৮ খন্ড) অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটা কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে, যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে (সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, 4 খন্ড) ঘটনাটি সংঘটিত হয় মক্কা বিজয়ের পর( হিজাবের পর)। এই অন্ধ সাহাবীর সাথে ফাতেমার মেলামেশা হবে দুই এক ঘন্টার জন্য নয়। বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। মা আয়েশা( রাঃ) সপ্তম হিজরী সনে হাবসিদের খেলা দেখেছিলেন, যখন তার বয়স ছিল 15 বছর। হিজাবের আয়াত নাযিল হয় পঞ্চম হিজরী সনে। (৩) হাদীসঃ মা আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ ঈদের দিন সুদানীরা ( হাবসিরা) বর্ষা ও ঢাল নিয়ে খেলা করত। একবার হয় আমি নিজে রসূলকে (সঃ) আরজ করেছিলাম অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেন, তুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাও? আমি বললাম হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে তার পিছনে এমন ভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, আমার গাল ছিল তার গালের ওপর(পাশে)। তিনি তাদেরকে বলছিলেন, হে বনি আরফিদা চালিয়ে যাও। পরিশেষে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। তিনি আমাকে বললেন, তোমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে? আমি বললাম হ্যাঁ । তিনি বললেন, তাহলে যাও (সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায়, 3 খন্ড এবং বিবাহ অধ্যায়, 11 খন্ড। সহিঃ মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ অধ্যায়, 3 খন্ড)। অন্য বর্ণনায় আছেঃ রসূল( সঃ) মা আয়েশাকে( রাঃ) চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন । হাফেজ ইবনে হাজার হাদীসটির ব্যাখ্যায় বলেন, ঘটনাটি ছিল হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পর। # ইবনে হিব্বান বলেনঃ হাফসার প্রতিনিধি দল আগমনের পরে ঘটনাটি ঘটেছিল। হাফসার প্রতিনিধিদলের আগমন হয়েছিল সপ্তম হিজরী সনে। (অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার 2 বছর পর) তখন আয়েশার (রাঃ) বয়স ছিল 15 বৎসর( ফাতহুল বারি, 3 খন্ড) সুতরাং বুঝা গেল মহিলারা পুরুষের খেলা দেখতে পারে এবং ওয়াজ মাহফিলে বক্তাকে না দেখার কোন প্রশ্নই উঠে না। মোবাইল এবং প্রজেক্টর এর ব্যাপারে প্রশ্ন করার কোন সুযোগই থাকেনা। ইসলামে কঠোরতা নিষিদ্ধ। মুসলিম উম্মার অর্ধেক মানুষকে (অর্থাৎ মহিলাদেরকে) মূর্খদের কাতার ভুক্ত করার জন্য ইসলাম আসেনি। মুসলমানদের অর্ধেক মানুষকে মূর্খের কাতার ভুক্ত করতে পারলে শত্রুদের অস্ত্রে শান দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
@@jubailhossain1459 চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। (৩) কোন কিশোরীর যখন ঋতুস্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দুই হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট হওয়া বিধেয়ো নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, ৩১০ পৃষ্ঠা) ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ)।কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে জাহেলী যুগের সাজসজ্জার অনুকরণে নেকাব পড়া একটি হাদিস পাবেন, যা এহরামের সময় হারাম ঘোষণা করা হয়।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে? ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। (১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড) এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়। (২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)। (৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)। বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে। (৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)। মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব।
@SaddamHossen-ou5qq
@SaddamHossen-ou5qq 4 жыл бұрын
মিজানুর রহমান আজহারী আমাদের আইকন আল্লাহ মিজানুর রহমান আজহারী কে নেক হায়াত বাড়িয়ে দিন আমিন চুম্মা আমিন
@tafseer10na17
@tafseer10na17 Жыл бұрын
🤣😂😅
@SaddamHossen-ou5qq
@SaddamHossen-ou5qq 4 жыл бұрын
মিজানুর রহমান আজহারী আমাদের জন্য গর্ভ
@sujonsujon8474
@sujonsujon8474 4 жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ হুজুরকে আমাদের মাঝে অনেকদিন বাচিয়ে রাখুক। আমিন
@welcomeall4667
@welcomeall4667 4 жыл бұрын
খুব সুন্দর আলোচনা করছেন
@jalaluddin7826
@jalaluddin7826 4 жыл бұрын
উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ মুফাসসির আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী দাঃবাঃ
@mohammadmusharaf1322
@mohammadmusharaf1322 4 жыл бұрын
ভাই ভুল বললেন শ্রেষ্ঠ মুফাসসির আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাইদী
@selinabegum4869
@selinabegum4869 4 жыл бұрын
Jakal uddin / উপ-মহাদেশ বুঝিস? ভারত,পাকিসতান,বাংলাদেশ নিয়ে উপ-মহাদেশ। মূরখো অলিপুরিকে বানাইলি সেরা আলেম। অলিপুরী হলো ফেতনা,ফেসাদ,ঝগড়া,বিবাদ, গিবতকারী। গালিবাজ।এই মূরখো অলিপুরিকে বাংলাদেশের অনেকেই চিনে না জানে না। বেটা তুই কউমি মূরখো।বলদ,আহামমক,গাধা,বেকুব,বোকাচুদা কোথাকার।
@user-wm3ze5mr7s
@user-wm3ze5mr7s 4 жыл бұрын
@@selinabegum4869 তুই যে হুজুর কে মুরুক্ষ বলস হুজুরের জুতা টানার মতো ক্ষমতা নাই তোর বুঝত কি বলছি পাগল জানে হয়ছত বাড়ি জানিনি
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, " লা ইউবদিনা যীনাতাহুন্না ইল্লা মা যহরা মিনহা "। অর্থঃ তারা( মহিলারা) তাদের " যীনাত " প্রকাশ করবেনা ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিক ভাবে বের হয়ে থাকে( নূর-৩১)। " যীনাত " অর্থঃ পোষাক, সাজসজ্জা, সাজসজ্জার স্থান, সৃষ্টিগত সৌন্দর্য। সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতের শেষের দিকে মহান আল্লাহ বলেন, তারা " যীনাত " প্রকাশ করবে না, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়াঃ স্বামী, বাপ, শশুর -------- ইত্যাদি সকল মাহরামগণ। " যীনাত " অর্থ যদি পোশাক/ সাজসজ্জা ধরা হয়, তবে মাহরামগণ তাদের মা-বোনদের পোশাক/ সাজসজ্জা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেনা। সুতরাং" যীনাত " অর্থ সৃষ্টিগত সৌন্দর্য, এই অর্থটি গ্রহণ করাই অধীক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুফাসসিরগন এই অর্থটিই গ্রহণ করেছেন। অতএব আয়াতের প্রথম অংশের অর্থ দাঁড়ায়ঃ তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না, ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে থাকে( অর্থাৎ চেহারাও হাতের কব্জি)। এ ব্যাপারে হিজাবের পরে রসুলের( সঃ) নির্দেশ সম্বলিত তিনটি হাদিস পাওয়া যায়। দুটি হাদীস দুর্বল। একটি শক্তিশালী। "অলাইয়াদরিবনা বিখুমুরিহিন্না আলা যুয়ুবিহিন্না "। আর তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দিয়ে আবৃত করে। উরওয়া থেকে বর্ণিত। মা আয়েশা( রাঃ) বলেন, আল্লাহ প্রথম হিজরত কারিনী মহিলাদের প্রতি দয়া করেছেন। যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়, তখন তারা তাদের সেলাইবিহীন কাপড় দু ভাগ করে তার সাহায্যে মাথা ডেকে নেয়। অন্য বর্ণনায় আছে, তারা তাদের চাদর নিয়ে লম্বার দিক থেকে দু ভাগ করে একভাগ দিয়ে মাথা ঢেকে নেয় (সহি বুখারী, কিতাবুত তাফসীর, সূরা নূর)। হাফেজ ইবনে হাজার রঃ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, প্রথম হিজরত কাহিনী মহিলারা কোরানের এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর ঘুমটা দিয়েছিলেন অর্থাৎ চেহারা ঢেকেছিলেন। কিন্তু কাজী আবু বকর ইবনুল আরাবির আহকামুল কুরআনে বলা হয়েছেঃ- "জাইব" হচ্ছে গলা ও বুক এবং "খিমার" হচ্ছে যা দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা যায়( আহকামুল কোরআন, 3 খন্ড)। প্রখ্যাত এরাবিয়ান গবেষক আব্দুল হালিম আবু শুক্কাহ তার "রাসুলের( সঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা " কিতাবে বলেনঃ- হাফেজ ইবনে হাজার এর উচ্চ মূল্যায়ন সত্ত্বেও আমাদের দৃষ্টিতে তার এ কথা সঠিক নয়। কেননা "খিমার" অর্থ আরবি ভাষার তাফসীর ও ফিকহের কিতাবে যা প্রসিদ্ধ, তা হল মাথা ঢেকে রাখা। তা থেকে এর অর্থ দাঁড়ায় মাথা ঢেকে রাখা এবং হাদিসের বর্ণনা সমূহ এই নিশ্চয়তা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ তিনি তাঁর কিতাবে কতগুলো হাদিস লিপিবদ্ধ করেন। উক্ত হাদিস থেকে আমি মাত্র একটি হাদিস নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। (১) বেলাল( রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূল( সঃ) মোজা ও মাথার উপর পড়া রুমালের (খিমার) উপর মাসেহ করলেন ( সহিঃ মুসলিম)। (Ref:-. রাসুলের( সঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা। byঃ- আব্দুল হালিম আবু সুককাহ। ৪ খন্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা)
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে? ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। (১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড) এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়। (২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)। (৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)। বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে। (৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)। মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব।
@mdrezaulkarim4075
@mdrezaulkarim4075 4 жыл бұрын
আল্লাহ হযরতকে নেক হায়াত দান করুন। দ্বীনের খেদমত করার তৌফিক দান করুন।
@emamudin2500
@emamudin2500 4 жыл бұрын
আল্লাহ হুজুরকে নেক হায়াত দান কর....আমিন
@atikfilms1928
@atikfilms1928 4 жыл бұрын
মাসাল্লাহ
@Channel25
@Channel25 4 жыл бұрын
অনেক সুন্দর জবাব
@jktv2038
@jktv2038 4 жыл бұрын
ছোট মানুষী টাইপের বক্তব্য... আল্লাহ তাঁর মন-মানসিকতা যেন বড় করে দেন..দোয়া রইলো।
@ajobdunia8042
@ajobdunia8042 4 жыл бұрын
quraner khuta apnar valo lage na ?
@mdshorafmdshoraf5115
@mdshorafmdshoraf5115 3 жыл бұрын
আললাহ হুজুর কে আর সম্মান বাড়িয়ে দেন
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
(১৬) "নারী সতর স্বরূপ" অর্থাৎ ঢেকে রাখার জিনিষ। কিন্তু চেহারা ও হাতের কব্জি খোলা রাখা মানুষের স্বভাবএবং প্রয়োজনও বটে। তাই এদুটোকে বাদ রাখা হয়েছে। গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল। (৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসেন( সহী বুখারীর)। ঘটনাটি ঘটে তার মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটি সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা বিনতে আবুবকর নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরামও ছিলেন না। ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) এক হাদীসে আছে, "যে সতর দেখে এবং যে সতর দেখায়, উভয়ের উপড় আল্লাহর লানত"। অর্থাৎ নারী-পুরুষ উভয়ই সতর থেকে চক্ষুকে সংযত করবে। তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)। কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
@olimurmd7053
@olimurmd7053 4 жыл бұрын
মাশাআল্লাহ হুজুর অনেক সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন। আল্লাহ হুজুর কে নেক হায়াত দান করেন।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল। (৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)। কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
@user-po9de3nf2p
@user-po9de3nf2p 19 күн бұрын
হযরত গুরুত্বপূর্ণ বয়ান মাশাআল্লাহ
@YahyaZohir
@YahyaZohir 4 жыл бұрын
সুন্দর সমাধান। আল্লাহ কবুল করুক।
@YahyaZohir
@YahyaZohir 4 жыл бұрын
মসলকের দিক থে ওলিপুরী সাহেব আমার প্রিয় না। কিন্তু এই আলোচনাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং সুন্দর সমাধান দিয়েছেন।
@mdyasinarefi1754
@mdyasinarefi1754 4 жыл бұрын
হযরত অনেক দেরি করে ফেলেছেন,, আপনার এই আলোচনার অপেক্ষায় ছিলাম, যদি এব্যপারে আরো আগে আলোচনা হতো তাহলে অনেকে গোমরাহ হতোনা, এরা আপনার একটা ভিডিও নিয়াও এর দলিল হিসেবে ব্যবহার করেছে,,,,
@anisurrahman3121
@anisurrahman3121 4 жыл бұрын
ডঃ এর উচিত মুলার কাচে মুরিদ হওয়া
@dancebangla2658
@dancebangla2658 4 жыл бұрын
রাইট
@bayejidmia1272
@bayejidmia1272 4 жыл бұрын
right
@DinIslam12356
@DinIslam12356 4 жыл бұрын
প্রিয় বন্ধু আমার ইসলামি চ্যানেলটি আপনারা সাবস্ক্রাইব করবেন খুব গুরুত্বপূর্ণ দোয়া আমল সম্পর্কে জানতে পারবেন
@hptv0
@hptv0 4 жыл бұрын
@@anisurrahman3121 মুলার বলতে কি বুঝিয়েছেন
@mdawladkhan2101
@mdawladkhan2101 4 жыл бұрын
খুব সুন্দর করে বুজালেন,,, হাফিজুর রহমানকে ঠিক বলেসেন
@One-fh2uq
@One-fh2uq 4 жыл бұрын
ঠিক ভাই আমরা জামাতি ফতুয়া মানিনা
@abuyousuf5308
@abuyousuf5308 4 жыл бұрын
@@One-fh2uq 5
@atstv3336
@atstv3336 4 жыл бұрын
এই কথাই আজহারি হুজুর বলেছেন,, যারা বুঝেনাই তারাই ফেতনা করেছে,,,,যে চেহারা প্রয়জনে খোনা যাবে,,,ঢেকে রাখা সবচেয়ে উত্তম
@alamin9060
@alamin9060 4 жыл бұрын
আজহারি হুজুরের কথার সাথে ওলিপুরি হুজুরের কথার মিল আছে,,আজহারি ঠিক এটাই বলেছে প্রয়োজনে মেয়েরা চেহারা খোলা রাখতে পারবে,,আর কাট মোল্লা রা আজহারির পেছনে লেগে গেছে
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
@@alamin9060 চেহারা ঢাকা যদি উত্তম হত, তবে রসূল( সঃ) আসমা বিনতে আবু বকরকে চেহারা ঢাকার নির্দেশ দিতেন এবং এটা তার জন্য অধীক উপযুক্ত ও কল্যাণকর হত। গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল। (৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) বিনতে আবুবকর নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)। কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। এক হাদীসে আছে, "যে সতর দেখে এবং যে সতর দেখায়, উভয়ের উপড় আল্লাহর লানত"। অর্থাৎ নারী-পুরুষ উভয়ই সতর থেকে চক্ষুকে সংযত করবে। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
@hafezmaulanamuftirobiulala3457
@hafezmaulanamuftirobiulala3457 4 жыл бұрын
মাশাআল্লাহ খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে
@nurulislam-iu1lj
@nurulislam-iu1lj 4 жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর বক্তার বয়ান
@saidahmed3666
@saidahmed3666 4 жыл бұрын
মাশা আল্লাহ,,, সুন্দর উত্তর দিয়েছেন হুজুর
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
@kabirulislamabir9734
@kabirulislamabir9734 4 жыл бұрын
নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিবেন, তাহলে সঠিক ইসলামি জ্ঞান মানুষ পাবে।
@mdarifhossin5977
@mdarifhossin5977 4 жыл бұрын
খুব সুন্দর গুরুত্বপুর্ন যুক্তি যোগ্য কথা বলেছেন
@mdrezoan3845
@mdrezoan3845 4 ай бұрын
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর সমাধান দিলেন ওলিপুরী হুজুর
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। (৩) কোন কিশোরীর যখন ঋতুস্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দুই হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট হওয়া বিধেয়ো নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, ৩১০ পৃষ্ঠা) মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ)।কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে জাহেলী যুগের সাজসজ্জার অনুকরণে নেকাব পড়া একটি হাদিস পাবেন, যা এহরামের সময় হারাম ঘোষণা করা হয়।
@fahadahmed2198
@fahadahmed2198 4 жыл бұрын
যারা সাহাবায়ে কেরামকেই সত্যের মাপকাঠি মানেনা তারা আর কি গুরুত্ব দিবে সেই সাহাবায়ে কেরামের কথার আল্লাহ আমি সহ সবাইকে হেদায়েত দান করেন
@mortuzali580
@mortuzali580 3 жыл бұрын
হে আললাহ আপনি আললামা অলি পুরি হুজুর কে নেক হায়াত দান করোন
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
(১৬) "নারী সতর স্বরূপ" অর্থাৎ ঢেকে রাখার জিনিষ। কিন্তু চেহারা ও হাতের কব্জি খোলা রাখা মানুষের স্বভাবএবং প্রয়োজনও বটে। তাই এদুটোকে বাদ রাখা হয়েছে। গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল। (৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসেন( সহী বুখারীর)। ঘটনাটি ঘটে তার মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটি সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা বিনতে আবুবকর নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরামও ছিলেন না। ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) এক হাদীসে আছে, "যে সতর দেখে এবং যে সতর দেখায়, উভয়ের উপড় আল্লাহর লানত"। অর্থাৎ নারী-পুরুষ উভয়ই সতর থেকে চক্ষুকে সংযত করবে। তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)। কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন এবং নিকাব পড়া একজন মহিলা ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
@mdjohir2768
@mdjohir2768 5 ай бұрын
মহিলাদের মুখ খুলা রেখে এর পর্দা বলেনা। ওলিপুরী সাহেব ঠিক কথা বলার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ❤❤❤
@husainahmad7210
@husainahmad7210 4 жыл бұрын
হুজুর সুন্দর সমাধান দিয়েছে,
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
বুখারী ও মুসলিম শরীফের সহী হাদীস বাদ দিয়ে দুর্বল হাদীস দিয়ে দলিল গ্রহণযোগ্য নয়। আজহারী সাহেব বুখারী ও মুসলিম শরীফ থেকে হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের কয়েকটি দলিল উপস্থাপন করেছেন । নিচে আমি হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের আলোচ্য দুটি হাদীস সহ তিনটি হাদিস বর্ণনা করবো। (১) রাসুল( সঃ) তার দুই স্ত্রীকে( হযরত মায়মুনা রাঃ এবং উম্মে সালমা রাঃ) বলেছিলেন, "তোমরা এই অন্ধ সাহাবী থেকে পর্দা করো। কারণ তোমরাতো আর অন্ধ নও। তোমরা কি তাকে দেখতে পাইতেছো না"।হাদীসটি দুর্বল। # ইমাম কুরতুবী বলেন, উম্মে সালমার( রাঃ) আযাদকৃত গোলাম নিবহান থেকে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন মুহাদিসের দৃষ্টিতে এই হাদীসটি সহি নয়। কারণ উম্মে সালমার( রাঃ) কাছ থেকে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন তার আযাদকৃত গোলাম নিবহান । তার বর্নিত হাদিস দলিল হিসেবে ব্যবহার করা হয় না। উম্মুল মুমিনীনদের মর্যাদার ব্যাপারে তার অশিষ্ট আচরণ হিজাবের ব্যাপারে তার বর্ণনাকে নিরাপদ করে না। আবু দাউদ এবং অন্যান্য ইমামগণ এদিকে ইশারা করেছেন (তাফসীরে কুরতুবী, সূরা নূর- 31 নং আয়াত এর তাফসীর দেখুন)। নিম্নে ২ নং ক্রমিকে বর্ণিত মুসলিম শরীফের সহীহ হাদিসটির বিপরীতে এই দুর্বল হাদীসটি দলিল হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। (২) হাদীসঃ ফাতেমা বিনতে কায়েস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আমর ইবনে আফসের পিতা তাকে (হযরত আলীর সাথে ১০ম হিঃ সনে ইয়েমেন যাবার পথে) তিন তালাক দেন। ফাতেমা রসূলের( সঃ) কাছে আসে এবং তাঁকে এ কথা জানায়। তিনি বলেন, তার কাছে তোমার খোরপোষ পাওনা নেই। ফাতেমাকে তিনি উম্মে সূরাইকের গৃহে ইদ্দত পালন করার হুকুম দেন। তারপর বলেন, এই মেয়েটির কাছে আমার সাহাবীদের সার্বক্ষণিক যাতায়াত আছে। বরং তুমি তোমার চাচাতো ভাই ইবনে উম্মে মাখতুমের গৃহে ইদ্দত পালন কর। কারণ সে অন্ধ। তার সামনে তোমার কাপড় চোপড় রেখে চলাফেরা করতে পারবে (সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, ৮ খন্ড) অন্য একটি হাদিসে বলা হয়েছেঃ কারণ আমি অপছন্দ করি তোমার ওড়নাটা কখনো গা থেকে পড়ে যাবে অথবা পায়ের গোছার উপর থেকে কখনো কাপড় সরে যাবে এবং তার ফলে লোকেরা তোমার শরীরের এমন কিছু জায়গা দেখে ফেলবে, যা তোমার কাছে খারাপ লাগবে (সহিঃ মুসলিম, তালাক অধ্যায়, 4 খন্ড) ঘটনাটি সংঘটিত হয় মক্কা বিজয়ের পর( হিজাবের পর)। এই অন্ধ সাহাবীর সাথে ফাতেমার মেলামেশা হবে দুই এক ঘন্টার জন্য নয়। বরং সুদীর্ঘ ইদ্দতকাল তাদের মধ্যে মেলামেশা হবে একই ছাদের নিচে। কিন্তু এতে কোন অসুবিধা হয়নি। মা আয়েশা( রাঃ) সপ্তম হিজরী সনে হাবসিদের খেলা দেখেছিলেন, যখন তার বয়স ছিল 15 বছর। হিজাবের আয়াত নাযিল হয় পঞ্চম হিজরী সনে। (৩) হাদীসঃ মা আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ ঈদের দিন সুদানীরা ( হাবসিরা) বর্ষা ও ঢাল নিয়ে খেলা করত। একবার হয় আমি নিজে রসূলকে (সঃ) আরজ করেছিলাম অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেন, তুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাও? আমি বললাম হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে তার পিছনে এমন ভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, আমার গাল ছিল তার গালের ওপর(পাশে)। তিনি তাদেরকে বলছিলেন, হে বনি আরফিদা চালিয়ে যাও। পরিশেষে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। তিনি আমাকে বললেন, তোমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে? আমি বললাম হ্যাঁ । তিনি বললেন, তাহলে যাও (সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায়, 3 খন্ড এবং বিবাহ অধ্যায়, 11 খন্ড। সহিঃ মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ অধ্যায়, 3 খন্ড)। অন্য বর্ণনায় আছেঃ রসূল( সঃ) মা আয়েশাকে( রাঃ) চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন । হাফেজ ইবনে হাজার হাদীসটির ব্যাখ্যায় বলেন, ঘটনাটি ছিল হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পর। # ইবনে হিব্বান বলেনঃ হাফসার প্রতিনিধি দল আগমনের পরে ঘটনাটি ঘটেছিল। হাফসার প্রতিনিধিদলের আগমন হয়েছিল সপ্তম হিজরী সনে। (অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার 2 বছর পর) তখন আয়েশার (রাঃ) বয়স ছিল 15 বৎসর( ফাতহুল বারি, 3 খন্ড) সুতরাং বুঝা গেল মহিলারা পুরুষের খেলা দেখতে পারে এবং ওয়াজ মাহফিলে বক্তাকে না দেখার কোন প্রশ্নই উঠে না। মোবাইল এবং প্রজেক্টর এর ব্যাপারে প্রশ্ন করার কোন সুযোগই থাকেনা। ইসলামে কঠোরতা নিষিদ্ধ। মুসলিম উম্মার অর্ধেক মানুষকে (অর্থাৎ মহিলাদেরকে) মূর্খদের কাতার ভুক্ত করার জন্য ইসলাম আসেনি। মুসলমানদের অর্ধেক মানুষকে মূর্খের কাতার ভুক্ত করতে পারলে শত্রুদের অস্ত্রে শান দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
@tanviralam6075
@tanviralam6075 4 жыл бұрын
এই মাওলানা এতদিন কোথায় ছিলো! হুজুর, জাতি আপনাকেই খুজেছিলো!!
@hooojaaa5154
@hooojaaa5154 4 жыл бұрын
Tanvir Alam deshei chilo bt u chino na. Sobai chine kom beshi
@khanlafiz
@khanlafiz 4 жыл бұрын
@@mdmasudrana7413 আপনার কি মনে হয় কেউ চেনে না উনাকে
@mdmasudrana7413
@mdmasudrana7413 4 жыл бұрын
@@khanlafiz আমি বলতে চাচ্ছিলাম উনাকে চিনে না বাংলাদেশের মধ্যে এমন কোন লোক আছে নাকি
@mdelias9607
@mdelias9607 4 жыл бұрын
শালা পাগল
@SaddamHossain-ce5wb
@SaddamHossain-ce5wb 4 жыл бұрын
খালি আজহারীরে চিনে
@songnil2933
@songnil2933 4 жыл бұрын
আলহামদুলিল্লাহ,সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ পাকের, যার অপার কৃপায় ওলিপুরী হুজুরের মতন আলেম পেয়েছি।
@saiedniceilek1829
@saiedniceilek1829 4 жыл бұрын
আমিন
@kaledahmed8771
@kaledahmed8771 4 жыл бұрын
মাশাআল্লাহ
@mylife9789
@mylife9789 4 жыл бұрын
Allah hojratke sustho rakhio abong hojratke nek Hayat Dan Koren amin
@saniyabillal9001
@saniyabillal9001 4 жыл бұрын
আমি প্রায়ই দেখেছও ওলি পুরি সাহেব, কারো কথা জাচাই না করেই কারো বিরুদ্ধতা করে ফতোয়া দেন। তবে আল্লাহ তাকে ভালো জ্ঞান দিয়েছেন, মাশা আল্লাহ।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 4 жыл бұрын
মা আয়েশা( রাঃ) সপ্তম হিজরী সনে হাবসিদের খেলা দেখেছিলেন, যখন তার বয়স ছিল 15 বছর। হিজাবের আয়াত নাযিল হয় পঞ্চম হিজরী সনে। (৩) হাদীসঃ মা আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ ঈদের দিন সুদানীরা ( হাবসিরা) বর্ষা ও ঢাল নিয়ে খেলা করত। একবার হয় আমি নিজে রসূলকে (সঃ) আরজ করেছিলাম অথবা তিনি নিজেই বলেছিলেন, তুমি কি তাদের খেলা দেখতে চাও? আমি বললাম হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে তার পিছনে এমন ভাবে দাঁড় করিয়ে দিলেন যে, আমার গাল ছিল তার গালের ওপর(পাশে)। তিনি তাদেরকে বলছিলেন, হে বনি আরফিদা চালিয়ে যাও। পরিশেষে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়লাম। তিনি আমাকে বললেন, তোমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে? আমি বললাম হ্যাঁ । তিনি বললেন, তাহলে যাও (সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায়, 3 খন্ড এবং বিবাহ অধ্যায়, 11 খন্ড। সহিঃ মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ অধ্যায়, 3 খন্ড)। অন্য বর্ণনায় আছেঃ রসূল( সঃ) মা আয়েশাকে( রাঃ) চাদর দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন । হাফেজ ইবনে হাজার হাদীসটির ব্যাখ্যায় বলেন, ঘটনাটি ছিল হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পর। # ইবনে হিব্বান বলেনঃ হাফসার প্রতিনিধি দল আগমনের পরে ঘটনাটি ঘটেছিল। হাফসার প্রতিনিধিদলের আগমন হয়েছিল সপ্তম হিজরী সনে। (অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার 2 বছর পর) তখন আয়েশার (রাঃ) বয়স ছিল 15 বৎসর( ফাতহুল বারি, 3 খন্ড) সুতরাং বুঝা গেল মহিলারা পুরুষের খেলা দেখতে পারে এবং ওয়াজ মাহফিলে বক্তাকে না দেখার কোন প্রশ্নই উঠে না। মোবাইল এবং প্রজেক্টর এর ব্যাপারে প্রশ্ন করার কোন সুযোগই থাকে না।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
মেয়েদের সতরের সীমানা নিয়ে ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে? মাজহাবের চার ইমামের মতামত তিনটি কিতাবের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। নামায ও এহরামের বাইরে জনসমক্ষে চেহারা ও হাতের কব্জি ঢেকে রাখারও কোন দলিল পাওয়া যায় না। (১) ইবনে হুবায়রা (রঃ) বলেন, ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, নারীর চেহারা, হাতের কব্জি ওপা ছাড়া সবই সতর। ইমাম মালেক ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ) বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া বাকি সবই সতর। ইমাম আহমদ (রঃ)তার এক বর্ণনায় বলেন, চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সবই সতর। ইমাম আহমদের আরেক বর্ণনায় চেহারা ছাড়া বাকি সবই সতর বলা হয়েছে । এটাই প্রসিদ্ধ মত( আল ইফসাহ আন মায়ানী আসসেহা, ১ খণ্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা) #(২) ইবনে আব্দুল বার (রঃ) তার তাহমিদ গ্রন্থে বলেন, ইমাম মালেক, আবু হানিফা, সাফেয়ী( রঃ) ও তাদের সঙ্গীগন বলেন, আওযায়ী( রঃ)ও আবু সওর (রঃ)এর একই মত। নারী চেহারাও হাতের কব্জি ছাড়া সবকিছুই ঢেকে রাখবে( আত তামহীদঃ ইবনে আব্দুল বার, 6 খন্ড, 365, পৃষ্ঠা)। #(৩) তেমনিভাবে যারা চেহারা ও হাতের কব্জি ছাড়া সমস্ত দেহই সতর হওয়ার কথা বলেন, তারা হলেন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালেক, ইমাম আওযায়ী ও ইমাম শাফেয়ী( রঃ)। এছাড়া ইমাম আহমদও রয়েছেন( আল মুগনী, 1 খন্ড, 522 পৃষ্ঠা) মুফাসসিরদের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সামনে খোলা রাখা হারাম নয়। এক হাদীসের আছে, " যে সতর দেখে এবং যে সতর দেখায় উভয়ের উপড় আল্লাহর লানত"। অর্থাৎ প্রত্যেক নারী এবং পুরুষকে সতর থেকে চক্ষুকে সংযত করতে হবে।
@ansarymedia6187
@ansarymedia6187 4 жыл бұрын
আমরা অত অন্ধ ভক্ত নই যে সাঈদীকে চাঁদে দেখার মত আজহারীর সব ফতোয়া মেনে নেব
@JahidHasan-re7jd
@JahidHasan-re7jd 4 жыл бұрын
ধন্যবাদ ভাইয়া 😍💓
@new_waz_center
@new_waz_center 4 жыл бұрын
রাইট
@rakibulhassan3323
@rakibulhassan3323 4 жыл бұрын
Accha bhai azhari ki bolce je mokh khula rakhte hobe
@new_waz_center
@new_waz_center 4 жыл бұрын
নাই যদি বলেন তাহলে বিরুধীতা করি কন.. ত হক্কানি আলেম রা আজহারী পক্ষে নয়..
@rhnayon3377
@rhnayon3377 4 жыл бұрын
@@new_waz_center কে হক্কানি আর কে হক্কানি না সেটা আপনি কেমন করে বুঝলেন??
@jakariakazi6902
@jakariakazi6902 4 жыл бұрын
Allah olipuri saheb k Nek hayat daw
@m.d.sayedsayed7328
@m.d.sayedsayed7328 4 жыл бұрын
অাপনিতো হানাফি মাজহাবী অামরা ও হানাফী মাজহাবী৷ কিন্তু বাংলাদেশ ছেড়ে যখন অন্যদেশে ছপর করেন তখন অাপনার পতুয়ার অামল কি হবে ?কারন বিশেষ করে মধ্য এশিয়াতে শাফিয়ী মাজহাবী বলেলই চলে ,তখন কি পতুয়ার অামল কী বদলে যাবে?পতুয়ার অামল বদলে গেলেতো যে কুরঅানের অায়াত উপস্হাপন করবেন সে অায়াতের অর্থ পাল্টে যাবে ৷অাল্লাহ তায়ালা কি বিন্ন দেশের বিন্ন অামলের জন্য বিন্ন অায়াত নাজিল করেছেন? নাকি অায়াত একটা অামল বিন্ন? যেমন মাঠে ওয়াজ করলে জনগনের জন্য অার বাসায় অাসলে পতুয়ার কার্যকারিতা নেই৷ অামি একটা উদাহরন দিই যেমন ঘরের বউয়ের জন্য রক্তের সর্ম্পের ছাড়া কারো সাথে দেখা করা জায়েয নেই৷কিন্তু মৌলানারা পতুয়া মারে পরের জন্য নিজেদের বউ দেবরের সামনে খালাতো ভাই চাচাতো ভাই পুপাতো ভাইদের সামনে যেতে পারে তখন পতুয়ার অামল হয় অন্য রকম তাই ?বউ বয়স্ক হউক অার যুবতী হউক ৷ একশত অালেমদের মধ্যে অামল করে যে পাঁচজন ও নেই ৷
@nasimal.mahbub698
@nasimal.mahbub698 2 жыл бұрын
শায়খুল ইসলাম আল্লামা ওলীপুরী জিন্দাবাদ
@ashamiah3849
@ashamiah3849 4 жыл бұрын
Mashaallah Huzur Alhamdulilah
@ebrahimebrahim623
@ebrahimebrahim623 4 жыл бұрын
Jaja kallah
@md.ibrahimali5862
@md.ibrahimali5862 4 жыл бұрын
Nice solutions
@moinuddin3840
@moinuddin3840 4 жыл бұрын
আমার ধারণা বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলো থেকে শাহবাগেই মুফতির সংখ্যা বেশি। বেশি মানে অনেক বেশি। এই জাতি যখনই কোন ধর্মীয় জিজ্ঞাসা বা সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছে তখনই তড়িৎ গতিতে মাদ্রাসায় পড়ুয়া স্বিকৃত মুফতিদের থেকে তিন ধাপ আগে বেড়ে শাহবাগ আর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ফতোয়া নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। এটা বড়ই আশ্চর্যের বিষয়। একেবারে মিল্কব্যাঙ্কের মতো জটিল ও নিগূঢ় ফিক্বহি বিষয় থেকে নিয়ে চাই সেটা মূর্তি বানানোর ফতোয়া, পূজায় যাওয়ার ফতোয়া হোক কিংবা গান বাজনার ফতোয়াই হোক,এহেন কোন বিষয় নাই যেখানে তাদের সুচিন্তিত মতামত ও দলীল সমৃদ্ধ ফতোয়া পাওয়া যায়না। সবক্ষেত্রেই উনারা ফতোয়া নিয়ে হাজির। এই আত্মমুগ্ধ " মুফতি"দের নিয়া আরেক বিপদ হইলো এরা কোনরূপ ইখতেলাফ সহ্য করতে পারেনা। যারা ফিকহ ফতোয়া পড়েছেন তারা জানবেন,মাসলা মাসায়েলের ক্ষেত্রে ইখতেলাফ খুবই স্বাভাবিক একটা ঘটনা। এক ইমাম আরেক ইমামের মতবিরোধ করলে তারা সেটাকে খুব সহজ ভাবে গ্রহণ করেন। কিন্তু শাহবাগের মুফতিরা এতটুকু ছাড় দিতেও রাজি না। উনাদের বিরোধিতা করছেন মানেই আপনে একটা পশ্চাৎপদ কূপমণ্ডূক, জাহেল, কাটমোল্লা। মন মেজাজ খারাপ থাকলে জঙ্গি বা জেএমবিও বলে বসবে। ফতোয়া দিলে সাথে দলীলও দিতে হয়,এই এলেম ওনাদের আছে। ফলে ফতোয়ার সাথে দলীলও দেন। তাদের সবচে মজবুত দলীল হইলো, অমুক দেশে এটা করে,ওরাওতো মুসলিম,সুতরাং আমরা করতে সমস্যা কী? কিংবা, ধর্ম হইলো মনের ব্যাপার,ঈমান মনের ব্যাপার, এমন ঠুনকো জিনিসে যদি ঈমান চইলা যায় তাইলে এই ঈমান দিয়া কী হবে? এহেন আরও অনেক দলীল প্রমাণ আছে। আমার মাঝে মাঝে ইচ্ছা জাগে "দালায়েলে ফতোয়ায়ে শাহবাগ" নামে একটা সঙ্কলন তৈরী করি। সাম্প্রতিক সময়ে শরিয়ত সরকার নামক এক বয়াতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গান বাজনা নিয়া ধুমধাম শব্দে কামানের গোলার মতো ফতোয়া আসছে শাহবাগ থেকে। কি শক্তিশালী আর মজবুতব দলীল প্রমাণ সমৃদ্ধ এসব ফতোয়া, মন চাইতেছে মোল্লাগিরি বাদ দিয়া গানের তালিম নেয়া শুরু করি। এতো ফজিলতের জিনিস এইটা! সবকিছু দেখে শুনে বিষম খেয়ে গেছি। আর আমার পাক্কা একীন হইতেছে, বাংলাদেশে প্রকৃত ফতোয়াবাজ যদি কেউ থেকে থাকে তাইলে তারা শাহবাগের অলিগলিতেই আছেন,অন্য কোথাও নাই। হাইকোর্টের উচিৎ আইন করে আগে শাহবাগের ফতোয়া বন্ধ করা দরকার।
@mdislam4945
@mdislam4945 4 жыл бұрын
আল্লাহ হুজুরের হায়াতে বরকত দান করুন এবং সুস্থ রাখুন আল্লাহ হুম্মা আমিন,,
@MdSaiful-zr5ky
@MdSaiful-zr5ky 4 жыл бұрын
মাশাআল্লাহ হুজুর খুব সুন্দর কথা বলেছেন যদিও একটু হিংসাক্ত মনোবাব ছিল.আপনি যেটা বলেছেন আজহারীও সেটাই বলেছেন. ঠেকা বসতো মুখ ও হাত খোলা রাখা যাবে.তবে উত্তম পর্দা হলো সমস্ত শরীর ডেকে রাখা.
@saifchowdhury4087
@saifchowdhury4087 4 жыл бұрын
Md Saiful আরে ভাই সবকানে হিংসা খুজেন কেন? আজহারি হুজুরকে ওলিপুরি হুজুরকে কেন হিংসা করবে?
@MdSaiful-zr5ky
@MdSaiful-zr5ky 4 жыл бұрын
@@saifchowdhury4087 ভাই উনার কথা বলার ভঙ্গিতে বুজা যাচ্ছে তাই বললাম.আর আজহারী যেই দুটি মত তুলেধরেছেন উনিও গুরিয়ে পেঁচিয়ে একই মত তুলে ধরেছেন..
@MdSultan-kv5vc
@MdSultan-kv5vc 4 жыл бұрын
এই ওয়াজ এর পুরো বয়ানটি থাকলে দিবেন
@qawmiulamavoice746
@qawmiulamavoice746 4 жыл бұрын
সম্পুর্ণ বয়ান kzfaq.info/get/bejne/mLuohsdkubyqYoE.html
@MdSultan-kv5vc
@MdSultan-kv5vc 4 жыл бұрын
@@qawmiulamavoice746 ভাইকে অনেক ধন্যবাদ জানাই
@mdmannan7534
@mdmannan7534 4 жыл бұрын
হে আল্লাহ আমাদেরকে এক ও নেক করে দিন ( আমিন)
@hatkaramja7044
@hatkaramja7044 4 жыл бұрын
আল্লাহ আমাদের মওদুদী আজহারীর গজব থেকে আমাদের হেফাজত করুন
@Mohammadyosuf
@Mohammadyosuf 4 жыл бұрын
Amin
@rhnayon3377
@rhnayon3377 4 жыл бұрын
তোমাদের জন্য সামনে দিন আসছে রেডি থাকো
@mbakmi4334
@mbakmi4334 4 жыл бұрын
আমিন
@selinabegum4869
@selinabegum4869 4 жыл бұрын
আললাহ, আমাদের কউমি মূরখো, বেদাতী, কিসসা কাহিনীর মোললার গোষঠি থেকে হেফাজত করুন। মূরখো অলিপুরীর এলেম বৃদধি করে দিন।
@rhnayon3377
@rhnayon3377 4 жыл бұрын
@@selinabegum4869 আমিন। ( তবে আমারা ভদ্র ভাষা ব্যবহার করব। যদিও ওনাদের কথা শোনার পর ভদ্রভাষা মুখে আসে না।)
@harunsha8398
@harunsha8398 4 жыл бұрын
الحمدلله
@Zera-l6e
@Zera-l6e Жыл бұрын
ওলীপুরী এই জমানার শেষ্ট তাফসীর করিবার জন্য মাটে নেমেছেন আমীন ।
@user-gz3bc2qi3e
@user-gz3bc2qi3e 4 жыл бұрын
মাসা আল্লাহ খুব সুন্দর বয়ান করলেন হুজুর,আপনার নেক হায়াত কামনা করি
@AbdullahAlmamun-zz8ox
@AbdullahAlmamun-zz8ox 4 жыл бұрын
masallah
@rahmanmahbubofficial7949
@rahmanmahbubofficial7949 3 жыл бұрын
মাশা আল্লাহ,,,, অনেক সুন্দর তাফসীরের মাধ্যমে বুজিয়েছেন
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
(১৫) সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, " লা ইউবদিনা যীনাতাহুন্না ইল্লা মা যহরা মিনহা "। অর্থঃ তারা( মহিলারা) তাদের " যীনাত " প্রকাশ করবেনা ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিক ভাবে বের হয়ে থাকে( নূর-৩১)। " যীনাত " অর্থঃ পোষাক, সাজসজ্জা, সাজসজ্জার স্থান, সৃষ্টিগত সৌন্দর্য। সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতের শেষের দিকে মহান আল্লাহ বলেন, তারা " যীনাত " প্রকাশ করবে না, তবে নিম্নোক্তদের সামনে ছাড়াঃ স্বামী, বাপ, শশুর -------- ইত্যাদি সকল মাহরামগণ। " যীনাত " অর্থ যদি পোশাক/ সাজসজ্জা ধরা হয়, তবে মাহরামগণ তাদের মা-বোনদের পোশাক/ সাজসজ্জা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারবেনা। সুতরাং" যীনাত " অর্থ সৃষ্টিগত সৌন্দর্য, এই অর্থটি গ্রহণ করাই অধীক যুক্তিযুক্ত। অধিকাংশ মুফাসসিরগন এই অর্থটিই গ্রহণ করেছেন। অতএব আয়াতের প্রথম অংশের অর্থ দাঁড়ায়ঃ তারা তাদের সৃষ্টিগত সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না, ওইটুকু ছাড়া যা স্বাভাবিকভাবে বের হয়ে থাকে( অর্থাৎ চেহারাও হাতের কব্জি)। এ ব্যাপারে হিজাবের পরে রসুলের( সঃ) নির্দেশ সম্বলিত তিনটি হাদিস পাওয়া যায়। দুটি হাদীস দুর্বল। একটি শক্তিশালী। "অলাইয়াদরিবনা বিখুমুরিহিন্না আলা যুয়ুবিহিন্না "। আর তাদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ যেন মাথার কাপড় দিয়ে আবৃত করে। উরওয়া থেকে বর্ণিত। মা আয়েশা( রাঃ) বলেন, আল্লাহ প্রথম হিজরত কারিনী মহিলাদের প্রতি দয়া করেছেন। যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আয়াত অবতীর্ণ হয়, তখন তারা তাদের সেলাইবিহীন কাপড় দু ভাগ করে তার সাহায্যে মাথা ডেকে নেয়। অন্য বর্ণনায় আছে, তারা তাদের চাদর নিয়ে লম্বার দিক থেকে দু ভাগ করে একভাগ দিয়ে মাথা ঢেকে নেয় (সহি বুখারী, কিতাবুত তাফসীর, সূরা নূর)। হাফেজ ইবনে হাজার রঃ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন, প্রথম হিজরত কাহিনী মহিলারা কোরানের এই আয়াত নাযিল হওয়ার পর ঘুমটা দিয়েছিলেন অর্থাৎ চেহারা ঢেকেছিলেন। কিন্তু কাজী আবু বকর ইবনুল আরাবির আহকামুল কুরআনে বলা হয়েছেঃ- "জাইব" হচ্ছে গলা ও বুক এবং "খিমার" হচ্ছে যা দিয়ে মাথা ঢেকে রাখা যায়( আহকামুল কোরআন, 3 খন্ড)। প্রখ্যাত এরাবিয়ান গবেষক আব্দুল হালিম আবু শুক্কাহ তার "রাসুলের( সঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা " কিতাবে বলেনঃ- হাফেজ ইবনে হাজার এর উচ্চ মূল্যায়ন সত্ত্বেও আমাদের দৃষ্টিতে তার এ কথা সঠিক নয়। কেননা "খিমার" অর্থ আরবি ভাষার তাফসীর ও ফিকহের কিতাবে যা প্রসিদ্ধ, তা হল মাথা ঢেকে রাখা। তা থেকে এর অর্থ দাঁড়ায় মাথা ঢেকে রাখা এবং হাদিসের বর্ণনা সমূহ এই নিশ্চয়তা প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ তিনি তাঁর কিতাবে কতগুলো হাদিস লিপিবদ্ধ করেন। উক্ত হাদিস থেকে আমি মাত্র একটি হাদিস নিচে লিপিবদ্ধ করলাম। (১) বেলাল( রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূল( সঃ) মোজা ও মাথার উপর পড়া রুমালের (খিমার) উপর মাসেহ করলেন ( সহিঃ মুসলিম)। (Ref:-. রাসুলের( সঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা। byঃ- আব্দুল হালিম আবু সুককাহ। ৪ খন্ড, ৩১২ পৃষ্ঠা) সূরা আজাবের ৫৯ নম্বর আয়াতে স্বাধীন মহিলা এবং দাসীদের সতরের পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়েছে এবং সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে চেহারা ও হাতের কব্জি খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। --------------------------------------------------------- ইবনে আব্বাস(রাঃ) বলেনঃ চেহারা ও হাতের কব্জি সতর নয়। কেননা রাসূল(সঃ) এহরাম অবস্থায় নেকাব ও বাজু পড়তে নিষেধ করেছেন। যদি হাতের কব্জি ও চেহারা সতরে অংশ হত, তাহলে রসূল(সঃ) এ দুটি ডেকে রাখা হারাম করতেন না। কেননা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য চেহারা খোলা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় এবং লেনদেনের সময় হাতের কব্জি অনাবৃত করতে বাধ্য হয়। আর এ কারণে এসব সতর বলে গণ্য হয় না( আল মাজমু সরহে মহাজাব, 3 খন্ড, পৃষ্ঠা১৮৩)। মহান আল্লাহ বলেনঃ "চোখের অপব্যবহার ও অন্তরে যা গোপন আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ অবহিত (মুমিন -19)। ইবনে আব্বাস এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেনঃ কোন ব্যক্তির পাশ দিয়ে সুন্দরী নারী অতিক্রম করার সময় এবং যে ঘরে সে বসবাস করে সেখানে প্রবেশ করার সময়ে ওই ব্যক্তি চক্ষুকে সংযত করবে (ফাতহুল বারী, 13 খন্ড)। এখানে প্রশ্ন হলোঃ চেহারা খোলা না থাকলে মহিলাটি সুন্দর না কালো তা কিভাবে বুঝা যাবে? আর মুখ ঢাকা থাকলে চক্ষু সংযত করুক বা না করুক তাকে কিভাবে ফেতনায়ে ফেলবে? ইমাম মালেক কে প্রশ্ন করা হয়, মেয়েদেরকি সালাম দেওয়া যায়? তিনি বলেনঃ বৃদ্ধাদেরকে সালাম দেওয়ার দোষের নয় । কিন্তু যুবতী মেয়েদেরকে সালাম দেওয়া আমি পছন্দ করিনা। ইমাম মালেকের( রঃ) কথায় বুঝা যায়, তার আমলে মেয়েদের চেহারা খোলা থাকতো। তা না হলে বৃদ্ধা ও যুবতী মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে কিভাবে?
@yeasinmiah7362
@yeasinmiah7362 4 жыл бұрын
দুজন হোজুর আমার প্রিয় হোজুর, কিন্তু আজহারী হোজুর কিছু কিছু কথা বলেন যা আমাদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়ে দাড়াই। সেইজন্য কোন ফতোয়া জানতে হলে আমরা মূফতি সাহেবদের কাছ থেকে জেনে নেব। তাহলে আর আমাদের আজহারী হোজুরের কোন সমস্যা হবে ।কারণ আজহারী হোজুর কোন মূফতি নন,,, দয়া করে আমার কথায় কষ্ট নিবেন না, ,,,
@adibaabida4590
@adibaabida4590 4 жыл бұрын
অনেক ধন্যবাদ
@SaidulIslam-fs9wk
@SaidulIslam-fs9wk 4 жыл бұрын
আজহারি হুজুর বলছে যে দুই টা আছে। মুখ ঢাকা রাখা যাবে না। আবার সব ই ঢাকা রাখতে হবে। এবং তিনি এ অ বলেছেন মুখ ই হলো শরিরের রাজধানী, যদি এটা ডাকা না থাকে তাহলে অনেকে অন্য অংগ গুলি কল্পনা করেন। তাই ওনি বলেছেন মুখ ডেকে রাখাই উত্তম। কিন্তু এটাকে আমরা ডাল চাউল মিলিয়ে খিচুরি বানিয়ে ফেলেছি।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
@@SaidulIslam-fs9wk (১৫) মেয়েদের চেহারা ঢাকা যদি ওয়াজিব হত, তবে রসুলের( সঃ) জন্য অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া ওয়াজিব ছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ কই? বরং তার বিপরীত মুখী নির্দেশ পাওয়া যায়। বলাবাহুল্য হাদীস কোরআনের ব্যাখ্যা। (১) আয়শা( রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসঃ- রাসুল ( সঃ) বলেছেন, মেয়েরা যখন সাবালিকা হয়, তখন তাদের এই এই জায়গা ছাড়া অন্য কোন কিছু প্রকাশ করা উচিত নয়। এ কথা বলে তিনি চেহারা এবং হাতের কব্জির প্রতি ইঙ্গিত করেন। ( সহি সুনানে আবু দাউদ, লিবাস অধ্যায়, ৩৬৫৮ নং হাদিস)। হাদীসটি মুরসাল। (২) কোন কিশোরী যখন ঋতুশ্রাব হয়, তখন তার চেহারা ও কব্জি পর্যন্ত দু'হাত ছাড়া অন্য কিছু পরিদৃষ্ট বিধেয় নয়( মুরাসিলে আবু দাউদ, 310 পৃষ্ঠা)। হাদীসটি দুর্বল। (৩) আসমা বিনতে উমাইস ( রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ- রসূল (সঃ) আয়সার( রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, সেখানে রয়েছে আয়েশার বোন আসমা বিনতে আবু বকর।রসুল( সঃ) তার দিকে তাকালেন। অতঃপর দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আয়েশা( রাঃ) বললেন তুমি এ পোশাক পাল্টে ফেলো। তোমার এই পোষাক রসুল( সঃ) অপছন্দ করেছেন । আসমা তার পোষাক পাল্টে নিলেন। অতঃপর রাসূল( সঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন। আয়েশা( রাঃ) তখন প্রশ্ন করলেন, আপনি উঠে গেলেন কেন? তিনি বললেন তুমি কি তার আকৃতি দেখনি? মুসলিম নারীর এসব অঙ্গ ছাড়া অন্য কিছু প্রকাশ করা উচিত নয় । একথা বলে তিনি তার হাতের কব্জি ধরলেন, যাতে আংগুল ছাড়া আর কিছু প্রকাশ না পায়। তারপর হাতের কব্জি চোখ ও কানের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত উঠালেন। তখন মুখ ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায়নি। (দেওয়ান হাতিয়া, ১১ পৃষ্ঠা এবং সেফারুন নাবেগা, ৪০ পৃষ্ঠা)। হাদীসটি শক্তিশালী। আয়েশা( রাঃ) বর্ণিত হাদিস এবং এই হাদিস একই ঘটনার হাদিস । ঘটনাটি ঘটে আসমা বিনতে উমাইস সপ্তম হিজরী সনে মদিনায় হিজরত করে আসার পর। ঘটনাটির সময় তার উপস্থিতির প্রমাণ বহন করে। বলাবাহুল্য আসমা( রাঃ) নামাজরত অবস্থায় ছিলেন না এবং তিনি রাসুলের( সঃ) মাহরাম ছিলেন না। ইমাম মালেক বলেন, দুনিয়ার সমস্ত মানুষের কথা গ্রহণ বা বর্জন করা যায়, শুধু এই কবর বাসী ছাড়া(অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা ছাড়া)। মাযহাবের চার ইমামের মতে মহিলাদের চেহারা ও হাতের কব্জি সতরের অংশ নয়। (আল মুগনী, ১ খন্ড, ৫৫২ পৃষ্ঠা। এবং ইবনে হুবায়রা ( রঃ) তার আল ইফসাহ আন মায়ানী আসছেহা গ্রন্থ, ১ খন্ডে, ৮৬ পৃষ্ঠা) তাফসীরের ইমামগণের মতে যা সতর নয়, তা গায়রে মাহরাম পুরুষের সম্মুখে খোলা রাখা হারাম নয়। যেসকল মুফাচ্ছিরগন চেহারা খুলে রাখার পক্ষে মত প্রকাশ করেন তারা হলেনঃ-- (১) আত তাবারি( মৃত্যু ৩১০ হিঃ সন) (২) আল জাসসাস( মৃঃ ৩৭০ হিঃ)(৩) আল ওয়াহেদী( মৃঃ ৪৬৮ হিঃ) (৪) আল বাগাবী( মৃঃ ৫১৬ হিঃ) (৫) আয যামাখশারী ( মৃঃ ৫২৮ হিঃ) (৬) ইবনুল আরাবী( মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) (৭) আর রাযী( মৃঃ ৬০৬ হিঃ) (৮) আল কুরতুবী( মৃঃ ৬৭১ হিঃ) (৯)আল খাযেন( মৃঃ ৭২৫ হিঃ) (১০) আন নিসাপুরী( মৃঃ ৭২৮ হিঃ) (১১) আবুল হাইয়ান( মৃঃ ৭৫৪ হিঃ) (১২) আবুস সাউদ( মৃঃ ৯৫১ হিঃ) (১৩) ইবনে বাদিস( মৃঃ ১৩৫৯ হিঃ)। (সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতের তফসির দেখুন) যে সকল মুফাসসিরগণ চেহারা ঢাকার কথা বলেন তারা হলেন, (১) ইবনুল জাওযী( মৃঃ-৫৯৬ হিঃ)(২) বায়যাবি( মৃঃ-৬৫৮ হিঃ)(৩) সাওকানী( মৃঃ-১২৫০ হিঃ)(৪) সিদ্দিক হাসান খান( মৃঃ-১৩০৭ হিঃ)(৫) ইবনে কাসির( মৃঃ-৭৪৭ হিঃ) (সূরা নূর-৩১ এর তাফসির দেখুন)। কিন্তু সেখানে রসুলের ( সঃ) মুখ নিঃসৃত কোন নির্দেশ পাওয়া যায় না। এগুলো তাদের ইস্তেহাদ, যা তারা উত্তম বিবেচনা করেছেন। এই উত্তম বিবেচনা কোন কিছুকে ওয়াজিব বা হারাম করে দেয় না। ইবনে কাসীর বলেনঃ অধিকাংশ আলেমের মতে যে জিনিস প্রকাশ করা যাবে, তা হল চেহারা ও হাতের কব্জি (সূরা নূরের ৩১ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দেখুন)। বুখারী ও মুসলিম শরীফে নারী পুরুষ পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ এবং একত্রে কাজ করার প্রায় তিন শতাধিক হাদিস লিপিবদ্ধ আছে। উম্মুল মু'মিনীন ছাড়া কোন মহিলা সাহাবীর চেহারা ঢাকার ইঙ্গিত দেয়, এমন একটি হাদিস খুজে পান কিনা আগ্রহী ব্যাক্তিগন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে জাহেলী যুগের সাজসজ্জার অনুকরণে নেকাব পড়া একটি হাদিস পাবেন, যা এহরামের সময় হারাম ঘোষণা করা হয়।
@mrmanna123
@mrmanna123 4 жыл бұрын
Oh Allah guide us to the right path amin
@AnamulAnamul-zj2uy
@AnamulAnamul-zj2uy 4 жыл бұрын
মাশা আল্লাহ খুব সুন্দর আলোচনা।
@sikder
@sikder 4 жыл бұрын
মাশা-আল্লাহ আল্লাহ উনাকে এমন এলেম দিছে যে যখন তখন যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম,কিতাব দেখতে হয় না।
@bdshaimgamar8624
@bdshaimgamar8624 4 жыл бұрын
আপনিকি অন্দ বিশ্বাস করবেন কোরআন হাদিস না পড়ে না দেখে কেও জদি ফতোয়া দেয়, সে গোমরাহির পথে অবলম্বন করতেছে, ভাই কোরআন পড়ুন
@Shawon_Mridha
@Shawon_Mridha 4 жыл бұрын
প্রশ্ন ছিলো কি,আর উত্তর দিলেন কি,,,,,,,প্রজেক্টের এর মাধ্যমে বা ইউটিউবে দেখা যাবে কিনা।সেটা জেন্তে চাই।ঘরে বসে ইউটিউব বা প্রজেক্টের মাধ্যমে ওয়াজ দেখলে তো আর বাইরের কেউ আসতেছেনা।
@user-ky3ju6pt5y
@user-ky3ju6pt5y 4 жыл бұрын
যারা মানুষ নূতনের আগমনে খুশী হয় আর যারা অমানুষ ভনড চরমোনাইর মত হিংসায় জলে পুরে ছাই হয়ে আললাহর গজবে ধংস হয়ে যায়।
@abdulwahedkhan6293
@abdulwahedkhan6293 3 жыл бұрын
রাসুল( সঃ) মদিনায় পদার্পণের পর থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত মেয়েদের সামনাসামনি এবং জনসম্মুখে নসিহত করতেন এবং বায়াত গ্রহণ করতেন । এটা তার জন্য নির্দিষ্ট হওয়ার কোন দলিল নেই। বলবেন রাসুল( সঃ) ছিলেন নিষ্পাপ। কিন্তু যাদের বায়াত গ্রহণ করতেন তারা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল না। তাদের অবস্থা কি হবে? ইবনে আব্বাস মক্কা বিজয়ের বছর মদিনায় হিজরত করে আসেন। বোখারী বর্ণনায় ইবনে আব্বাস বলেনঃ আমি ও আমার মা অসহায় মুসলমানদের মধ্যে ছিলাম। আমি বালকদের মধ্যে আর আমার মা ছিলেন মহিলাদের মধ্যে অসহায়( সহি বুখারী, জানাজা অধ্যায়, 3 খন্ড)। তাই দেখা যায় তার বর্ণিত হাদিস গুলো মক্কা বিজয়ের পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ হিজাবের আয়াত নাযিল হওয়ার পরের ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট। (১) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন আমি নবী( সঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েছি। ইবনে আব্বাস বলেন,নবী( সঃ) মিম্বর থেকে অবতরণ করলেন। তিনি লোকদের মধ্যে দিয়ে মেয়েদের কাছে এগিয়ে এসে কোরআনের আয়াতটি পড়লেন(------) এবং পড়া শেষে বললেন, তোমরা কি এই প্রতিশ্রুতির উপর অবিচল আছো? মেয়েদের মধ্যে থেকে একজন জবাব দিলো, হ্যাঁ, আমরা অবিচল আছি । সে ছাড়া আর কেউ জবাব দেয়নি।( সহি বুখারি, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড) এই হাদীসটি আরো কয়েকটি সূত্র থেকে পাওয়া যায়। (২) ইবনে জুরাইজ মাধ্যমে জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণনা করেছেনঃ তিনি বলেছেন, রসূল( সঃ) মেয়েদের কাছে গিয়ে তাদের নসিয়ত করলেন। ---- বেলাল তার কাপড় বিছিয়ে রেখেছিলেন। মেয়েরা এ কাপড়ের উপর সাদকার অর্থ ও জিনিসপত্র নিক্ষেপ করেছিল।-------- আমি বললাম আপনি কি মনে করেন, ইমামের মেয়েদেরকে নসিয়ত করার আছে? তিনি বললেন, এটা অবশ্যই ইমামের কর্তব্য এবং এটা করবেই বা না কেন?( সহি বুখারী, দুই ঈদ অধ্যায় ৩ খন্ড। সহী মুসলিম, দুই ঈদের নামাজ, ৩ খন্ড)। (৩) জাবের ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত।------ এ কথা বলার সাথে সাথে মাঝখান থেকে কালো চেহারার একটি মেয়ে দাড়িয়ে বলল, কেন হে রাসুল? জবাবে রাসূল( সঃ) বললেন, কেননা তোমরা বেশি বেশি স্বামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। বর্ণনাকারী বলেন, তখন তারা তাদের অলংকার থেকে সদগাহরূপে কানের দুল ও আংটি বেলালের কাপড়ের উপর নিক্ষেপ করেছিল। (সহী মুসলিম, সালাতুল ঈদাইন, ৩ খন্ড)। বলা বাহুল্য চেহারা খোলা না থাকলে, প্রশ্নকারী মহিলার চেহারা কালো না সুন্দর তা বুঝা যেত না। এছাড়া কানের দুল, হাতের আংটি ইত্যাদি খুলতে হলে অবশ্যই চেহারা ও হাতের কব্জি খুলতে হবে। (৪) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব( রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি একদিন মসজিদে নববীতে বসেছিলাম। তখন নবীকে(সঃ) দেখলাম তিনি নারীদের লক্ষ্য করে বলছেন, তোমরা তোমাদের অলঙ্কারগুলো হলেও দান করো। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ( রাঃ) তার স্ত্রী জয়নাবকে রাসূলের( সঃ) নিকট পাঠালেন এই কারণে যে, জয়নাব যে এতিমদের ভরণ পোষণ করছেন, দান হিসেবে তা যথেষ্ট হবে কিনা? জয়নাব রাসূলের( সঃ) নিকট গেলেন। একই প্রশ্ন নিয়ে এক আনসার মহিলা সেখানে গেলেন। জয়নাব সেখানে বেলালকে( রাঃ) পেলেন। তাকে বললেন, আপনি রাসুলকে( সঃ) জিজ্ঞেস করুন, আমার স্বামী ও যেসব ইয়াতিম আমার পোষ্য রয়েছে তাদের জন্য আমি যা ব্যয় করছি তা কি দান হিসেবে যথেষ্ট হবে? বেলাল রাসূলের(সঃ) নিকট গিয়ে তাদের কথা বললেন।রসূল( সঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ওই মহিলা দুজন কে কে? বেলাল(রাঃ) বললেন, একজন জয়নাব। রসূল( সঃ) পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, কোন জয়নাব? বেলাল বললেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী জয়নাব । রসুল( সঃ) বললেন, হাঁ,এর জন্য তার দ্বিগুণ সওয়াব হবে। আত্মীয়তার হক আদায় করার সওয়াব ও দানের সওয়াব।( সহি বুখারী, সহিঃ মুসলিম)। মহিলারা যদি চেহারা খোলা না রাখত, তবে রসূল( সঃ) জানতে চাইতেন না যে, মহিলা দুজন কে কে। আর বেলাল( রাঃ) বলতেন না যে, জয়নাব। এবং এও বলতেন না, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের স্ত্রী জয়নাব।
Alex hid in the closet #shorts
00:14
Mihdens
Рет қаралды 15 МЛН
Пранк пошел не по плану…🥲
00:59
Саша Квашеная
Рет қаралды 6 МЛН
The cat chose the right one 🥰🥳😸
0:32
Ben Meryem
Рет қаралды 47 МЛН
Мировой Рекорд по Засыпанию (@DazByron )
0:30
Голову Сломал
Рет қаралды 8 МЛН
БИМ БАМ БУМ💥
0:14
⚡️КАН АНДРЕЙ⚡️
Рет қаралды 3,6 МЛН
这是王子儿子吗
0:27
落魄的王子
Рет қаралды 4,9 МЛН