Рет қаралды 165,777
#রঘুনাথ দাস গোস্বামী এর সংক্ষিপ্ত জীবনী: মহাপ্রভুর প্রতি আসক্তি, পানিহাটিতে শ্রী নিত্যানন্দ প্রভুর দর্শন ও দণ্ড কৃপা লাভ, চিড়া দধি মহোৎসব, নীলাচলে মহাপ্রভুর পার্ষদত্ব লাভ, প্রসাদ সেবনের দ্বারা অসামান্য বৈরাগ্য প্রদর্শন, শেষ বয়সে রাধাকুন্ডে আশ্চর্যজনক লীলাসমূহ
``পানিহাটি চিড়া-দধি মহোৎসব আসছে ০৪ জুন রোজ - বৃহস্পতিবার পানিহাটি চিড়া-দধি তথা রঘুনাথ দন্ড-মহোৎসব_______________________
→কলিযুগের যুগবতার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও শ্রীমন্ নিত্যানন্দ মহাপ্রভু এই ধরাধামে অনেক দিব্যলীলার দ্বারা বদ্ধ জীবদের ভগবৎ প্রেম ও ভক্তি দান করে তাদের উদ্ধার করে গেছেন।
সেরকমই একটি লীলা হলো 'পানিহাটি, রঘুনাথ দণ্ড বা চিড়া-দধি মহোৎসব '।।
→রঘুনাথ দাস গোস্বামী ছিলেন জমিদার পরিবারের একমাত্র ছেলে। তাদের অনেক বিষয় সম্পত্তি ছিল। তার স্ত্রী ছিলেন পরম সুন্দরী। কিন্তু তাঁর এই জাগতিক ভোগ বিলাসে মন ছিল না।
তিনি এসব ছেড়ে মহাপ্রভুর চরণে ভক্তি প্রেমলাভ করতে চাইলেন। তার পিতা অনেক চেষ্টা করেও ছেলেকে সংসারে রাখতে পারলেন না।
তখন রঘুনাথ গোস্বামী মহাপ্রভুর সাথে সাক্ষাতের চেষ্টা করে ব্যার্থ হলেন। একদিন তিনি জানালেন পানিহাটিতে রাঘব পন্ডিতের বাড়িতে শ্রীমন্ নিত্যানন্দ প্রভু উপস্থিত হয়ে অনেক ভক্তদের নিয়ে কীর্তন করছেন। তাই তিনিও গঙ্গার তীরে পানিহাটি গ্রামে এসে হাজির হলেন। সেদিন শ্রীমন নিত্যানন্দ প্রভু গঙ্গার তীরে একটি বট গাছের নিচে অনেক ভক্তদের সাথে কীর্তন করছিলেন। রঘুনাথ দাস গোস্বামী দূরে দাড়িয়ে ছিলেন। তখন শ্রীমন নিত্যানন্দ প্রভু ওনাকে ডাকলেন। রঘুনাথ মাটিতে শুয়ে প্রনাম করে প্রভুর চরণে স্থান প্রার্থনা করলেন। নিত্যানন্দ প্রভু তার পা রঘুনাথের মাথায় রেখে তাকে উদ্ধার করেন। নিত্যানন্দ প্রভু কৌতুক করে বলেন ,যেহেতু রঘুনাথ পালিয়ে পালিয়ে সরাসরি মহাপ্রভুর চরণ আশ্রয় চাইছিলেন তাই তিনি নিত্যানন্দ প্রুভর চরণে অপরাধ করেছেন এবং তার জন্য তাকে দণ্ড পেতে হবে। তিনি বলেন এখুনি এখানে যত ভক্ত আছে সবার জন্য চিড়া দই মিষ্টি ফল ইত্যাদি এনে একটা উৎসব করতে হবে। সেইমতো সমস্ত জিনিস এনে সব ভক্তদের প্রসাদ বিলি করা হয়। শ্রীমন নিত্যানন্দ প্রভু ধ্যানের দ্বারা মহাপ্রভুকে সেইস্থানে আনেন ও চিড়া দধি নিবেদন করেন।.......