Рет қаралды 87
সাহাবীদের ইবাদত আর আমাদের ইবাদতের পার্থক্য। সাহাবীদের নিয়ে আজব ঘটনা। মাঃ আফতাব আহমেদ-কুষ্টিয়া । Maulana Aftab Ahmed Kushtia। মাকতুম ইসলামিক মিডিয়া । Maktum Islamic Media
---------------------------------------------------------------------------
#সাহাবীদের_ইবাদত_আর আমাদের ইবাদতের পার্থক্য
#আল্লাহ_রাসুলের_সাহাবী নিয়ে একটি আজব ঘটনা
#মাকতুম_ইসলামিক_মিডিয়া
#Maulana_AftaAhmed_Kushtia
#মাওলানা_আফতাব_আহমেদ কুষ্টিয়া
#islamicvideo
#muslimlife
#islaminbangla
#ওয়াজ_মাহফিল
#ওয়াজমাহফিল
#ওয়াজ_বাংলা
#ওয়াজ২০২৪
ইসলামিক বিডি ওয়াজ,
ইসলামিক বিডি ওয়াজ 24,
আল হাদিস বাংলা ওয়াজ,
বাংলা ইসলামিক ওয়াজ মাহফিল,
ইসলামিক ওয়াজ বাংলা নতুন,
ইসলামিক বাংলা ওয়াজ স্ট্যাটাস,
ইসলামিক ওয়াজ বাংলা সংক্ষিপ্ত,
ইসলামিক ওয়াজ বাংলা টিভি,
ইসলামিক ওয়াজ বাংলা 2024
islamic bd waz,
islamic bd waz 24,
#islamic_waz_bd_tv,
al hadis bangla waz,
bangla islamic waz mahfil,
islamic waz bangla new,
islamic bangla waz status,
islamic waz bangla short,
islamic waz bangla tv,
islamic waz bangla 2024
সাহাবীদের ফযীলতে আল্লাহ তাআলার কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতে এবং মুসলিমদের ঐক্যমতে সাহাবীদের যেসব ফযীলত এবং মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের লোকেরা তা কবুল করে নেন। যারা বিজয় তথা হুদায়বিয়ার সন্ধির পূর্বে খরচ করেছেন এবং আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করেছেন তাদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের লোকেরা ঐসব লোকের উপর প্রাধান্য দেন, যারা উক্ত ঘটনার পরেও খরচ করেছে এবং লড়াই করেছে। তারা মর্যাদার ক্ষেত্রে মুহাজিরদেরকে আনসারদের উপর প্রাধান্য দেন। তারা আরো বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাআলা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৩১৩ জন সাহাবীর ব্যাপারে বলেছেনঃ اعْمَلُو
ا مَا شِئْتُم، فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ ‘‘তোমরা যা ইচ্ছা করতে থাকো। আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি’’।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের লোকেরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সংবাদ অনুসারে আরো বিশ্বাস করে, যারা হুদায়বিয়ার দিন বৃক্ষের নীচে বাইআত করেছে, তাদের কেউ জাহান্নামে প্রবেশ করবেনা। শুধু তাই নয়; বরং আল্লাহ তাআলা তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট হয়েছে। তাদের সংখ্যা ছিল ১৪০০ জন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন তারা তাদেরকে জান্নাতবাসী বলে। যেমন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সাহাবী, ছাবিত বিন কাইস বিন শাম্মাস এবং আরো যাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতী বলেছেন, তাদেরকেও তারা জান্নাতী বলে।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
‘‘তোমাদের মধ্যে যে মক্কা বিজয়ের পূর্বে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে, সে সমান নয়। এরূপ লোকদের মর্যাদা বড় তাদের অপেক্ষা, যারা পরে ব্যয় করেছে ও জেহাদ করেছে। তবে আল্লাহ উভয়কে কল্যাণের ওয়াদা দিয়েছেন। তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে অবগত আছেন’’। (সূরা হাদীদঃ ১০)[1] এই মুসলিমগণই হলো সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণকারী মুহাজির ও আনসার। তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
﴿وَالسَّابِقُونَ الْأَوَّلُونَ مِنْ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنصَارِ وَالَّذِينَ اتَّبَعُوهُمْ بِإِحْسَانٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ وَأَعَدَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي تَحْتَهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ﴾
‘‘যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনসারদের মাঝে অগ্রণী এবং যারা উত্তমভাবে তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারা তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তাদের জন্য প্রস্ত্তত রেখেছেন এমন জান্নাত যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নদীসমূহ। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এটাই হল মহান সফলতা’’। (সূরা তাওবাঃ ১০০)
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ---
‘‘আল্লাহ মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তারা বৃক্ষের নীচে তোমার কাছে বাইআত করছিলো৷ তিনি তাদের মনের অবস্থা জেনেছেন৷ তাই তিনি তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করেছেন, পুরস্কার স্বরূপ তাদেরকে আশু বিজয় দান করেছেন’’। (সূরা ফাতাহঃ ১৮) তাদের সংখ্যা ছিল ১৪০০ জন। বিশুদ্ধ বর্ণনার ভিত্তিতে এটিই ছিল তাদের সংখ্যা। আল্লাহ তাআলাই অধিক অবগত আছেন।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন তারা তাদেরকে জান্নাতী বলে। যেমন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সাহাবী, ছাবেত বিন কাইসবিন শাম্মাস এবং আরো অন্যান্য সাহাবীঃ অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাকে জান্নাতী বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের লোকেরাও তাকে জান্নাতী বলে সাক্ষ্য দেয়। আর তিনি যাকে জান্নাতের অধিবাসী বলে সাক্ষ্য দেন নি, তারা তার জন্য জান্নাতের সাক্ষ্য প্রদান করেনা। কেননা তাকে জান্নাতী বলে সাক্ষ্য দেয়া আল্লাহ তাআলার উপর মিথ্যা রচনা করার শামিল। তবে তারা সৎ লোকদের জন্য মঙ্গল কামনা করে এবং অসৎ লোকদের উপর আযাবের আশঙ্কা করে। এটিই আকীদাহর অন্যতম একটি মূলনীতি।
জান্নাতের সুখবর প্রাপ্ত দশজন সাহাবীর নামঃ তারা হলেন (১) আবু বকর ছিদ্দিক (২) উমার ইবনুল খাত্তাব (৩) উসমান বিন আফ্ফান (৪) আলী বিন আবু তালিব (৫) যুবাইর ইবনুল আওয়াম (৬) তালহা বিন উবাইদুল্লাহ (৭) সা’দ বিন আবু ওয়াক্কাস (৮) আব্দুর রাহমান বিন আউফ (৯) আবু উবায়দাহ বিন যাররাহ এবং (১০) সাঈদ বিন যায়েদ রাযিয়াল্লাহু আনহুম। এই সমস্ত সাহাবীদের জন্য জান্নাতের ঘোষণা একাধিক সহীহ হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। ছাবিত ইবনে কাইসকেও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতী বলেছেন। সুস্পষ্টভাষী হওয়ার কারণে তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তা বলে ডাকা হতো। তাঁর জন্য জান্নাতের সুসংবাদ সহীহ বুখারীর হাদীছ দ্বারা সুসাব্যস্ত।