আমীন ছুমমা আমীন।

❤

Amin

আমীন ছুমমা আমীন।

২৬. এক হাজার সওয়াব লেখা অথবা এক হাজার পাপ মুছে ফেলা নবী (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি ১০০ বার বলবে - سُبْحَانَ اللَّهِ অনুবাদঃ আল্লাহ্‌ পবিত্র-মহান। তার জন্য এক হাজার সওয়াব লেখা হবে অথবা তার এক হাজার পাপ মুছে ফেলা হবে। রেফারেন্স মুসলিমঃ ২৬৯৮ ২৭. জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ। হাদিসটি সহী নয়। এমনিতে সুরাতুল ইখলাছ তিলওয়াতের বহু ফজিলত আছে কিন্তু এই মর্মে হাদিসটি সহী নয়। আল্লাহ ভাল জানেন। সূরা ইখলাস ১০ বার - بِسْمِ اللَّـهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ قُلْ هُوَ اللَّـهُ أَحَدٌ ﴿١﴾ اللَّـهُ الصَّمَدُ ﴿٢﴾ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ ﴿٣﴾ وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ ﴿٤﴾ অনুবাদঃ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহ্‌র নামে। (১) বল, তিনিই আল্লাহ্‌, এক-অদ্বিতীয়। (২) আল্লাহ্‌ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। (৩) তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। (৪) আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই। (সূরা ইখলাসঃ ১-৪) সহীহ হাদীসে মু'আয ইবনু আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেন: “যে ব্যক্তি ১০ বার সূরা ইখলাস পাঠ করবে, আল্লাহ্‌ তাঁর জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে রাখবেন।” রেফারেন্স সহীহ। সহীহ আল-জামিঃ ৬৪৭২। হাদিসটি সহী নয়। এমনিতে সুরাতুল ইখলাছ তিলওয়াতের বহু ফজিলত আছে কিন্তু এই মর্মে হাদিসটি সহী নয়। আল্লাহ ভাল জানেন। ২৮. জান্নাতের একটি খেজুর গাছ রোপন যে ব্যক্তি বলবে - سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ অনুবাদঃ মহান আল্লাহ্‌র প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হবে। রেফারেন্স সহীহ। তিরমিযীঃ ৩৪৬৪ ২৯. জান্নাতের এক রত্নভাণ্ডার لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ অনুবাদঃ আল্লাহ্‌র সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বলেন, “ওহে আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস! আমি কি জান্নাতের এক রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব না?” আমি বললাম, “নিশ্চয়ই হে আল্লাহ্‌র রাসূল।” তিনি বললেন, তুমি বলো - (উপরে উল্লেখিত দোয়া) রেফারেন্স বুখারীঃ ৬৩৮৪

৩০. রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ বর্ণনা لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا، سُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَزِيزِ الْحَكِيمِ অনুবাদঃ একমাত্র আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ্‌ সবচেয়ে বড়, অতীব বড়। আল্লাহ্‌র অনেক-অজস্র প্রশংসা। সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ্‌ কতই না পবিত্র-মহান। প্রবল পরাক্রমশীল ও প্রজ্ঞাময় আল্লাহ্‌র সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, “আমাকে একটি কালেমা শিক্ষা দিন যা আমি বলব।” তখন রাসূল রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বললেন, বল - (উপরে উল্লেখিত দোয়া) তখন বেদুঈন বলল, “এগুলো তো আমার রবের জন্য; আমার জন্য কী? তিনি বললেন: বলো - اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي অনুবাদঃ হে আল্লাহ্‌! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমাকে দয়া করুন, আমাকে আপনি হেদায়াত দিন, আমাকে নিরাপদ রাখুন এবং আমাকে রিযিক দান করুন। এরপর যখন বেদুঈন ফিরে গেল, তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বললেন, “লোকটি তার হাত কল্যাণে পূর্ণ করে নিল”। রেফারেন্স মুসলিমঃ ২৬৯৬ ৩১. ইসলাম গ্রহণ করার পর পঠিত দোয়া কোনো ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করলে রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) তাকে প্রথমে সালাত শিক্ষা দিতেন। অতঃপর এসব কথা দিয়ে দোয়া করার আদেশ দিতেন - اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي، وَارْحَمْنِي، وَاهْدِنِي، وَعَافِنِي وَارْزُقْنِي অনুবাদঃ হে আল্লাহ্‌! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমাকে দয়া করুন, আমাকে আপনি হেদায়াত দিন, আমাকে নিরাপদ রাখুন এবং আমাকে রিযিক দান করুন। মুসলিমের অপর বর্ণনায় এসেছে, “এগুলো তোমার জন্য দুনিয়া ও আখেরাত সবকিছুর সমন্বয় ঘটাবে।” রেফারেন্স মুসলিমঃ ২৬৯৭ ৩২. সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া এবং সর্বোত্তম যিক্‌র সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া اَلْحَمْدُ لِلَّهِ অনুবাদঃ সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র জন্য। সর্বোত্তম যিক্‌র لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ অনুবাদঃ আল্লাহ্‌ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই। রেফারেন্স হাসান। তিরমিযীঃ ৩৩৮৩ ৩৩. চিরস্থায়ী নেক আমল চিরস্থায়ী নেক আমল হচ্ছে - سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ অনুবাদঃ আল্লাহ্‌ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্‌র। আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ্‌ সবচেয়ে বড়। আর আল্লাহ্‌র সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। রেফারেন্স মুসনাদে আহমাদ নং ৫১৩; আহমাদ শাকের এর তারতীব অনুসারে, আর তার সনদ বিশুদ্ধ। দেখুন, মাজমাউয যাওয়ায়িদ, ১/২৯৭; ইবন হাজার বুলুগুল মারাম গ্রন্থে এটাকে আবু সা‘ঈদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু এর বর্ণনায় ইমাম নাসাঈ (আস-সুনানুল কুবরা, নং ১০৬১৭) নিয়ে এসেছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন এবং বলেছেন যে, হাদীসটিকে ইবন হিব্বান (নং ৮৪০) ও হাকেম (১/৫৪১) সহীহ বলেছেন। ৩৪. কীভাবে নবী (ﷺ) তাসবীহ পাঠ করতেন? আব্দুল্লাহ ইবন (রাঃ) বলেন, “আমি নবী (ﷺ)-কে দেখেছি আঙুল ভাঁজ করে তাসবীহ গুনতেন”। অপর বর্ণনায় অতিরিক্ত এসেছে, “তাঁর ডান হাতে।" রেফারেন্স সহীহ। আবু দাউদঃ ১৫০২