তীর্থভূমি তারাপীঠের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব‍্য হল শ্রীশ্রী বামাক্ষ‍্যাপার আশ্রম কুটির। অথচ এই কুটির নির্মানের ইতিহাস ও এর বর্তমান অবস্থান অধিকাংশ মানুষই জানেন না। তার উপর কোন বাংলা টিভি সিরিয়ালে এই কুটির সম্পর্কে ভুল তথ‍্য প্রচারে বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বাংলা ১২৭২ সালে তরুণ বামদেব এবং আর এক নবীন সাধক মদন গোঁসাই- দুজনে মিলে মহাশ্মশানে পড়ে থাকা মড়ার বাঁশ, মাদুর, চাটাই প্রভৃতি দিয়ে একটি ঝুপড়ি বানিয়েছিলেন। বামদেব সেই ঝুপড়ির নামকরন করেছিলেন " যোগেন্দ্র ঝোপড়া "। কিন্তু এটি প্রকৃত অর্থে "কুটির " ছিলনা। শুধুমাত্র মাথার উপরের অস্থায়ী আচ্ছাদন বলা যেত এটিকে। বামদেব এই ঝোপড়াকে নামমাত্র ব‍্যবহার করতেন। দিন ও রাতের অধিকাংশ সময় তিনি মহাশ্মশানের শিমুল তলায় তারা মায়ের পাদপদ্মের কাছেই অতিবাহিত করতেন। তাই আমরা এর উল্লেখ ভিডিও টিতে রাখিনি। বাবার একমাএ মূল কুটিরকে নিয়েই তথ‍্যনিষ্ঠ আলোচনা করেছি।
শ্রীশ্রী তারা মায়ের প্রিয় পুত্র বামাক্ষ‍্যাপার এই কুটির দর্শন না করলে তারাপীঠ দর্শন অসম্পূর্ণ থেকে যায় এবং শ্রীশ্রী বামাক্ষ‍্যাপার দিব‍্য স্পর্শ ধন‍্য এই সাধন কুটিরের সান্নিধ্য লাভের সৌভাগ‍্য থেকে বঞ্চিত হন দর্শনার্থীরা । তাই আমরা ক্ষ‍্যাপা বাবার সেই একমাএ কুটির বা বর্তমানের আশ্রম মন্দির তৈরীর সঠিক তথ‍্যমূলক ইতিহাস তুলে ধরেছি এই ভিডিওতে । এছাড়া দর্শনার্থীরা যাতে সহজে খুঁজে নিতে পারেন তার জন‍্য এর অবস্থান চিহ্নিতকরনও করা হয়েছে এই ভিডিও টিতে।
আশা করি এই ভিডিও আপনাদের ভালো লাগবে। আপনাদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ এই চ‍্যানেল সর্বদাই কামনা করে।
সবাইকে জানাই আন্তরিক শ্রদ্ধা ও নমস্কার।
মা ত্বং হি তারা চ‍্যানেল।
___________________________
কৃতজ্ঞতা স্বীকার :
১) পূজ‍্যপাদ
শ্রী নগেন্দ্রনাথ বাগচী।
২) " শ্রীবামলীলা " গ্রন্থ
- শাস্ত্রী হরিচরণ গঙ্গোপাধ্যায়।
৩) " মহাপীঠ তারাপীঠ " গ্রন্থ
- শ্রী বিপুল কুমার গঙ্গোপাধ্যায়।
৪) শ্রী অভিজিৎ দাস।
( ইন্দা / খড়গপুর )।