Рет қаралды 1,375
দুধিয়া
ছবির মত সুন্দর ছোট্ট একটা হিল স্টেশন হল দুধিয়া। গ্রামের বুক চিরে বয়ে চলেছে বালাসোন নদী। শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে এখানে ছুটে আসেন হাজার হাজার পর্যটক। দার্জিলিং জেলার অন্তগত বালাসন নদীর তীরে এবং মিরিক পাহাড়ের কোলে অবস্থিত। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরে ছবির মতন সুন্দর এই গ্রাম। শীতের মৌসুমে একটি জনপ্রিয় পিকনিক স্পট। পাথুরে নদীতে পা ডুবিয়ে আকাশ দেখতে মন্দ লাগবে না।
কি ভাবে যাবেন?
শিলিগুড়ি থেকে মিরিক যাওয়ার পথেই পড়ে দুধিয়া। শিলিগুড়ি থেকে দুধিয়ার দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার সময় লাগে এক ঘন্টা। এখান থেকে মিরিকের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। কার্শিয়াং বা মিরিক গামী শেয়ার গাড়িগুলি দুধিয়া হয়েই যায়। কলকাতা থেকে যে কোন রাতের ট্রেনে বা বাসে শিলিগুড়ি আসতে হবে। তারপর শিলিগুড়ি থেকে শেয়ার গাড়ি, বাস বা রিজার্ভ গাড়িতে খুব সহজেই দুধিয়া পৌঁছে যাওয়া যায়। রাস্তা খুব ভাল মাখনের মত। রাস্তার দৃশ্যপট কোনো ছবির চেয়ে কম নয়। বিশেষ করে পাঙ্খাবাড়ি দিয়ে এলে সারি সারি চা বাগান আপনাদের মুগ্ধ করবে।
বালাসোন নদীর উপর এখানে দুটি ব্রিজ আছে। একটা এখানে আর একটা বাম দিক দিয়ে কিছুটা গেলে দুধিয়া পিকনিক স্পটে।এখানে চারিদিকে কাশ ফুল দেখতে পারেন। এই ব্রিজের উপর বিকালে অনেকে ঘুরতে আসেন। তখন মেলা বসে। আবার অনেকে ব্রিজের নিচে নদীর কাছে যায়।
এখান থেকে বাম দিকের রাস্তা দিয়ে সোজা চলে গেলে পাবেন আর একটা ব্রিজ। এই ব্রিজে উঠার আগেই বাম দিকে পাবেন দুধিয়া পিকনিক স্পট।
পাহাড়, নদী, ঝরনা, জঙ্গল কী নেই এখানে। দুধিয়া এমনই একটি জায়গা তার চারিদিকে সৌন্দর্য্যে ভরপুর। বালাসন নদীর পাড়ের ছোট্ট একটা উপত্যকা। পাথুনে নদী খাত দিয়ে কুলকুল করে বয়ে যায় বালাসন নদী। পা ডুবিয়ে আকাশ দেখতে মন্দ লাগবে না। আর তারই পাড়ে বসে জমজমাট পিকনিক। চারপাশে চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য। পাহাড় থেকে নেমে এসেছে বালাসন নদী। আর সেই নদীর পাড়ে সবুজ উপত্যকা।
এখানে সশস্ত্র বাহিনীর একটি শ্যুটিং রেঞ্জ রয়েছে যা বেশ নিয়মিত ব্যবহৃত হয়। গুলির আওয়াজ শুনে বাম দিকে দেখতে পায় সাদা ধোঁয়া। আর নাকে এলো তীব্র গন্ধ। তাই গুলি চলার দিক থেকে দূরে থাকবেন।
শিলিগুড়ির লোকজন সহ স্থানীয়দের কাছে এটি অন্যতম জনপ্রিয় পিকনিক স্পট। শীতের সময় দুধিয়া খুব ভিড় থাকে। বছরের বাকি সময়গুলিতে, আপনি প্রকৃতির জাঁকজমক উপভোগ করতে নদীর তীরে কয়েক ঘন্টা সময় কাটাতে পারেন। গরমের দাবাদহে যখন সমগ্র দক্ষিণ বঙ্গ হাহাকার তখন এখানে না শীত না গরম।
পার্শ্ববর্তী জায়গাগুলি দেখা এবং নদী উপভোগ করা ছাড়া এখানে অন্য তেমন কোনও এক্টিভিটি করা যায় না। বালাসন নদীতে অনেকে স্নান করেন। একেবারে কাচের মতো স্বচ্ছ এই বালাসন নদীর জল। এখানকার পরিবেশ একেবারেই শান্ত। এলে যেকেউ যে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যাবেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
একদিন এখানে কাটিয়ে বা সাইড সিন করে পাহাড়ে উঠে যেতে পারবেন অনায়াসে। বালাসোন নদীর উপরে অবস্থিত বালাসন ব্রিজই দুধিয়ার সঙ্গে মিরিকের যোগাযোগ স্থাপন করেছে। এখান থেকে মিরিক যাওয়ার পথে দুধিয়া ব্রীজ পার করে একটু এগিয়ে বাঁদিকের রাস্তা ধরে এগোলেই মুক্তিখোলা। দুধিয়াতে বেশ কয়েকটি সেরা চা বাগান আছে যেমন লংভিউ চা বাগান, গায়াবাড়ি চা বাগান, মারিয়ানবাড়ী চা বাগান, এবং পানিঘাটা চা বাগান। একদিকে পাহাড় আরেক দিকে চা বাগান। অসম্ভব সুন্দর এখানকার সৌন্দর্য।
মুক্তিখোলাও একটি পিকনিক স্পট। এখানে রয়েছে সুন্দর একটি ঝর্ণা। বর্ষার আগে ও পরে এবং ভরা বর্ষায় ঝর্ণাটির বিভিন্ন রূপ মুগ্ধ করে দেয়। বর্ষায় অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন মুক্তিখোলায়। মুক্তিখোলায় তিনটি হোমস্টেও রয়েছ।
দুধিয়াতে থাকবার জন্য বেস্ট হোমস্টে হলো ইয়েলো স্টোন রিভার সাইড হোমস্টে। এদের নিজস্ব ক্যান্টিন, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। এখানকার কটেজ ভাড়া ২০০০ টাকা। আর আছে পাহাড় এবং জঙ্গলের কোলে সুইমিং পুল।
আজ এই পর্যন্ত। পরবর্তি ভিডিওতে দেখা হবে। ভাল থাকবেন বিন্দাস থাকবেন। ধন্যবাদ।
#SiliguriBestPlacetovisit
#OnedaytripinNorthBengal
#Offbeatplacesnearsiliguri
#OffbeatplacesnearMirik
#siliguritodudhia #DudhiaSiliguri #Dudhiapicnicspot #DudhiaHomestay #mukhtikholajhorna #dudhiya #mukhtikholawaterfall #mukhtikholaPicnicSpot #DudhiaResort #DudhiaDarjeeling #DudhiaSiliguripicnicspot #দুধিয়া #DudhiaMirik #dudhiatouristplaces #dudhiachillout #dudhiatoMirik #dudhiaforest #dudhiapahar #dudhiariver #balasonriver #Mirikpahar #DudhiatoDarjeeling #mukhtikholaviewpoint #mukhtikhola #Siligurimukhtikhola #bangalirberano #weekendtoursfromKolkata #weekendtoursnearKolkata #travelwithraj1