Рет қаралды 1,194,951
👉বিয়ে নিয়ে কুরআন হাদিসের বক্তব্য👈
বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন।
যার মাঝে প্রভুত কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
ইসলাম একে সহজ থেকে সহজতর করেছে।
ইসলাম বলে, তারা (তোমাদের স্ত্রীরা)
তোমাদের এবং তোমরা তাদের পোশাক স্বরূপ।
পোশাক যেমন তার পরিধানকারীকে আপন করে ঢেকে রাখে তেমনি নারী তার স্বামীকে আর স্বামী তার স্ত্রীকে ঢেকে রাখবে। এই বিয়ের মাধ্যমেই বংশধারা অব্যাহত থাকে। বিয়ের মাধ্যমে পুরুষ তার স্ত্রীর কাছ থেকে আত্মপ্রশান্তি লাভ করে। এছাড়াও বিয়ের বহুবিধ কল্যাণ রয়েছে।
বিয়ে করতে কি কি লাগে জানেন?
🚫 নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হিসেবে গড়ে তোলা?
🚫 ব্যাংক-ব্যালেন্স, গাড়ি-বাড়ি?
🚫 মোটা অংকের পারিশ্রমিক?
🚫 উচ্চ বংশ পরিচয়?
🚫 মোটা অংকের যৌতুক?
🚫 পাঁচ/সাত শ মানুষের ভোজের আয়োজন?
🚫 বরযাত্রা, বৌভাত সহ বহুবিধ রীতিনীতি পালন?
উপরের কোনটাই না। উপরের কোনটাই বিয়ের জন্য শর্ত না। বরং বিয়ের জন্য যা যা প্রয়োজন।
তা হল:
✅ পাত্র-পাত্রীর প্রস্তাব এবং অপর পক্ষের প্রস্তাব গ্রহণ। যাকে ইজাব-কবূল বলে।
✅ মোহর ধার্য করণ। সর্বনীম্ন দশ দিরহাম। বর্তমান বাজারমূল্য- পনের বিশ হাজার। অথবা যার যার সামর্থ অনুযায়ী আওন স্ত্রীর মর্যাদা রক্ষায় ঊর্ধ্বে যত ধার্য করা যায়।
✅ দুজন সাক্ষীর উপস্থিতি।
ব্যস বিয়ের আয়োজন শেষ। বিয়ে হয়ে গেল।
কিন্তু খুবই আফসোসের বিষয়। আজকে আমাদের নোংরা সামাজিকতা আর সমাজ দীনের এই গুরুত্বপূর্ণ বিধানটাকে এতটাই কঠিন আর কোনঠাসা করে ছেড়ে যে, এই সমাজে আজ বিয়ে অসম্ভব বললেই চলে। অথচ বিয়ে বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্ক করা কতই না সহজ এই গান্দা সমাজে।
ধর্ষণের হার কেন দিনদিন বেড়েই চলছে?
আইন করে ধর্ষণ বন্ধ করবেন? অসম্ভব!
পেরেছেন কি বন্ধ করতে?
হচ্ছে ধর্ষকদের শাস্তি?
জৈবিক চাহিদা এমন ক্ষুধা যা মানুষকে পশুতে পরিণত করে। পানাহার ছাড়া মানুষ এক সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে৷ কিন্তু যৌনক্ষুধা পেয়ে বসলে মানুষ বেঁচে থেকেও মৃত্যুর চেয়ে অধিক যন্ত্রণা ভোগ করে৷ পরিশেষে বেছে নেয় বহু অবৈধ পথ। উন্মোচন হয় জীবনের অন্ধকার অধ্যায়। আর ধীরে ধীরে মানুষ ধ্বংসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়।
যুবকদের বলছি!
বিশ্বাস করুন, বিয়ে করে ফেলুন ভয় নেই। তবে অবশ্যই দীনদার পাত্রী দেখে করুন। দুনিয়াটা আপনার জান্নাত হয়ে যাবে। নিজের চরিত্র শুধরানো ও রক্ষার জন্য বিয়ে করুন। আপনি এবং আপনার স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব আল্লাহ নিয়ে নিয়েছেন।
{মুসলিম বিয়েতে আবশ্য পরিত্যায্য বিষয়}
📢 প্রচলিত বিদআতী বরযাত্রা পরিত্যাগ করতে হবে। যা হিন্দুদের থেকে এসছে।
📢 গায়ে হলুদ যা হিন্দুয়ানী প্রথা।
📢 আন্দর করা। যেখানে পাত্রীর নানী-দাদী
সহ মহিলাগণ থাকেন।
📢 বিয়ের দিন পাত্রীর বাড়িতে হাজার মানুষ নিয়ে যাওয়া। যা স্পষ্ট জুলম এবং হারাম।
📢 পাত্রকে গেট ধরে আটকে দেওয়া।
📢 বাসর রাতে পাত্রী পাত্রের পায়ে ধরে সালাম করা।
📢 হিন্দুদের প্রথা অনুযায়ী বধুবরণ অনুষ্ঠান করা।
📢 এমন কোন শর্ত মেয়ে পক্ষ ছেলে পক্ষকে চাপিয়ে দেয়া অথবা ছেলে পক্ষ মেয়ে পক্ষকে চাপিয়ে দেয়া যা পূরণ করা অসম্ভবপ্রায়
বিয়ে করুন যুবকরা!
বিয়েকে সহজ করে তুলুন!
যীনাকে না বলুন!
বিয়েকে হ্যাঁ বলুন!
যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ। [সুরা নিসা : আয়াত ২২]
তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে তোমাদের মাতা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভ্রাতৃকন্যা; ভগিনীকন্যা তোমাদের সে মাতা, যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মাতা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সে স্ত্রীদের কন্যা যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোনো গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, দয়ালু।
[সুরা নিসা : আয়াত ২৩]
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য- ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোনো গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ।
[সুরা নিসা : আয়াত ২৪]
যারা নিজেদের স্ত্রীদের নিকট গমন করবে না বলে কসম খেয়ে বসে তাদের জন্য চার মাসের অবকাশ রয়েছে। অতঃপর যদি পারস্পরিক মিলমিশ করে নেয়, তবে আল্লাহ ক্ষমাকারী দয়ালু।
[সুরা বাকারা : আয়াত ২২৬]
আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয (মিন্স) পর্যন্ত। আর যদি সে আল্লাহর প্রতি এবং আখেরাত দিবসের উপর ঈমানদার হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ যা তার জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন তা লুকিয়ে রাখা জায়েজ নয়। আর যদি সদ্ভাব রেখে চলতে চায়, তাহলে তাদেরকে ফিরিয়ে নেবার অধিকার তাদের স্বামীরা সংরক্ষণ করে। আর পুরুষদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে, তেমনিভাবে স্ত্রীদেরও অধিকার রয়েছে পুরুষদের উপর নিয়ম অনুযায়ী। আর নারীদের ওপর পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। আর আল্লাহ হচ্ছে পরাক্রমশালী, বিজ্ঞ।
[সুরা বাকারা : আয়াত ২২৮]
আর তোমরা মুশরিক নারীদেরকে বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরিক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোনো মুশরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভালো, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
[সুরা বাকারা : আয়াত ২২১