Рет қаралды 252,554
মধ্যযুগীয় বাংলার সেন রাজবংশের চতুর্থরাজা রাজা লক্ষণ সেনের আমলে আনুমানিক ১১৭৮ থেকে ১২০৬ খ্রিষ্টাব্দে বাণিজ্য নগরী হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করে রহনপুর। এ কারণে রহনপুরেই তিনি গড়ে তোলেন সুরম্য অট্টালিকা।
কথিত রয়েছে, ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি এই পথেই বাংলায় আগমন করেন। ইতিহাসে পরিচিত নদীয়া অঞ্চলটিও এ স্থাপনাগুলোর কাছাকাছিই অবস্থিত, নদীয়া থেকেই ওই জায়গাটির নাম নওদা হয়ে যায়। আর নওদা থেকেই নওদা বুরুজ। খতিয়ার খিলজির আগমনের সংবাদে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে রাজা লক্ষণ সেন এ স্থান থেকে নদীপথে পালিয়ে যান বলেও কথিত রয়েছে।
লক্ষণ সেন পালিয়ে যাওয়ার পর প্রাসাদটি দখলে নেন ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি। সম্ভবত সেই সময়েই এই অট্টালিকার নাম দেয়া হয় শাহ বুরুজ। শাহ শব্দের অর্থ বাদশা আর বুরুজ শব্দের অর্থ অট্টালিকা। কিন্তু পরবর্তীতে বিকৃত হতে হতে এখন এটি ষাঢ় বুরুজ নামেও পরিচিত।
ক্ষয়ে যেতে যেতে এখন নওদা বুরুজের উচ্চতা মাত্র ১৫ মিটার। এরপরও পাদদেশ থেকে দেখতে এটি অনেকটা পাহাড়ের মতোই। কথিত রয়েছে, এই ধ্বংসস্তুপের ভেতরে অনেক ধনসম্পদ রয়েছে। রাতের অন্ধকারে বেশ কয়েকবার এটি খনন করে কথিত গুপ্তধন চুরির চেষ্টাও হয়েছে।
Contact email address for sponsorship, affiliate or other business purpose: sumonmcj@yahoo.com
#নওদা_বুরুজ #রাজা_লক্ষণ_সেনের_প্রাসাদ #রহনপুর