Рет қаралды 3,893
পেঁপের জাত পরিচিতি জেনে পেপে চাষ করতে হবে। পেপের ভুল জাত চাষ করলে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। নিম্নে পেপার জাত এবং পেঁপের চাষ পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো।
জাতের নাম: টপ লেডি পেপে, প্রতিটি গাছেই পেঁপে ধরে, পুরুষ গাছ হয় না
বপনের সময়:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: রোগব্যাধি সহনশীল হয়
ফসল সংগ্রহ সময়: চারা লাগানোর ৪ মাস থেকে
কাঁচা পেঁপে এবং ৬ মাস পর থেকে পাঁকা পেঁপে সংগ্রহ করা যায়
আকার ও রং: পেপে পাকার পর পেপের রং লালচে হলুদ হয়
ধারণক্ষমতা: ফলের ওজন ১.৫/২ কেজি, লম্বাটে হয়
ফলন: দীর্ঘদিন (দুবছর+) ফলন পাওয়া যায়।
পরিবহন:
পেঁপের জাতের নাম: রেড লেডি পেপে, উচ্চ ফলনশীল বামন পেঁপে।
আকার ও রং: ফলের ওজন ১.৫ থেকে ২ কেজি, ফলের রং লাল-সবুজ। মাংস পুরু, গাঢ় লাল রঙের, স্বাদে মিষ্টি ও সুগন্ধিযুক্ত।
বপনের সময়:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে এই পেপে ভালো হয় অন্যান্য অঞ্চলে ভাইরাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফল ধরার সময়: গাছ ছোট থাকতেই ফল ধরা শুরু করে ফসল সংগ্রহ সময়: ৩ মাস ফল আসে এবং ৫ মাসে ফল সংগ্রহ করা যায়।
ধারণক্ষমতা: ২ বছর+ ফল দিয়ে থাকে।
ফলন: প্রতিটি গাছে ৮০ থেকে ১৫০ টি ফল ধরে, ৮০-১০০ কেজির বেশি পেঁপে হয়।
পরিবহন:
জাতের নাম: হাইব্রিড পেঁপে "বাবু"
বপনের সময়: চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস।
আকার ও রং: ১.৫-২ কেজি। ফল পাকলে হলুদ রঙের হয়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:
ফল ধরার সময়:
ফসল সংগ্রহ সময়: এই পেপে ১৮০-২০০ দিনে ফল পরিপক্ক হয়।
ধারণক্ষমতা:
ফলন: একর প্রতি ফলন ৩০-৪০ টন।
পরিবহন:
পেঁপে চাষ পদ্ধতি:
1)পেঁপে আবাদের জন্য দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি উপযুক্ত।
2)জাত সমূহ :রেড লেডি/ টপ লেডি/সুইট লেডি / কিউট লেডি/ বাবু/ গ্রীণ লেডি ইত্যাদি।
3)পেঁপের জন্য জমি উচু জলাবদ্ধতামুক্ত নির্বাচন করতে হবে। এবং সেচ সুবিধা থাকতে হবে
4)জমি ৪-৫ টি চাষ দিতে হবে । দ্রুত পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে বেড করতে হবে
5)পলিথিন ব্যাগে চারা তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায় । সদ্য সংগৃহীত বীজ হলে ১ টি এবং পুরাতন বীজ হলে ২-৩ টি বীজ প্রতিটি পলিথিনে বপণ করতে হবে।
6)চারা রোপনের দুরত্বঃ চারা থেকে চারা ৬.৫ ফুট সারি থেকে সারি ৬.৫ ফুট
7)চৈত্র - বৈশাখ মাসে পেঁপের চারা রোপনের উত্তম সময়।
8)বিঘা প্রতি ৩৩০ টি চারার প্রয়োজন/বিঘা প্রতি ১৪০-১৫০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন
9)চারার বয়স ৪০-৫০ দিন হলে রোপনের উপযোগী হয়। ৫-৬ পাতা অবস্থায় রোপন উপযোগী হয়।
* হাইব্রিড জাতের সুস্থ সবল একটি চারা রোপণ করতে হবে।
* দেশি জাত হলে একসাথে ২ টি চারা রোপণ করতে হবে।
চারা লাগানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে চারার গোড়া যেন বীজতলা বা পলিব্যাগে মাটির যতটা গভীরে ছিল তার চেয়ে গভীরে না যায়।
বিকেলে চারা রোপণ করতে হবে ।
পেঁপেতে সময়মত সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটিতে রস না থাকলে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে
পেঁপের জমি সবসময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে। বর্ষা মৌসুমে আগাছা দমন করতে গিয়ে মাটি যেন বেশি আলগা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
চারা রোপণের ৩-৪ মাস পর গাছে ফুল আসলে প্রতি গর্তে সুস্থ সবল একটি স্ত্রী গাছ রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। তবে পরাগায়নের জন্য শতকরা ৫ টি পুরুষ গাছ রাখতে হবে।
ফল বেশি ধরলে ভাল ফলগুলো রেখে বাকিগুলো ছিঁড়ে পাতলা করে দিতে হবে।
চারা রোপণের ৩ মাসের মধ্যেই ফুল আসতে শুরু করে এবং ফল ধরার ২-৩ মাসের মধ্য পেপে সংগ্রহ করা যায়।
#পেপে #agriculture