Рет қаралды 35,232
॥ ফিশ ফ্রাই - বিয়েবাড়ির রান্নার সিরিজ় ॥
“ওরে জগা, আর কখন মশলাটা বাটবি, বাপ আমার? বরযাত্রী এসে গেলে? মাছগুলি না ভিজলে স্বাদ হবে কোথা থেকে?” হাঁক মারেন তিমিরবাবু।
তিমিরবাবুর দ্বারস্থ এ পাড়ায় সবাই হয় কোন অনুষ্ঠান হলেই। কত লোকের কোন কাজে কি রান্না হলে সবাই খাবে সবচেয়ে তৃপ্তি করে, কোন মাছ আনাজপাতি মশলা তেল কতটা লাগবে, রান্না কোনটি আগে কোনটি পরে হলে সবচেয়ে ভালো, পরিবেশন কেমন করে হবে- এসব তাঁর নখদর্পণে। তাঁর কাজই হলো প্রতি বাড়িতে কাজের দিনে রান্নার জায়গায় ভোরবেলা মোড়া নিয়ে বসে পড়া। সেই যে বসলেন, তাঁর ছুটি নেই ততক্ষণ যতক্ষণ না শেষ মানুষটির পাতে মিষ্টি পড়ে। আর বাড়ির লোকের কাজ তাঁকে শুধু ঘন্টায় ঘন্টায় চা সিগারেট সরবত জুগিয়ে যাওয়া।
“এই বাটতিছি কত্তা… মাছ তো ধোওয়াই আছে। শুধু বাটবো, মাছ দেবো, ঝপাঝপ গড়বো, তেল গরম করবো, ফেলবো, ভাজবো, তুলবো আর দেবো। কতক্ষণ লাগবে বলো দিকিনি?” খানিকটা খেঁকিয়ে ওঠে জগা। সে শুনে তার স্যাঙাৎ হরি মুচকি হাসে।
সে হাসি তিমিরবাবুর চোখ এড়ায় না। রেগে হতভম্ব হয়ে বলেন- “এমন দিনও দেখালি জগা- আমি শিখবো রান্নার সময়ের হিসেব তোর কাছে? যদি এমনটি আর একবারও শুনি জগা, তুই কিভাবে এ তল্লাটে কাজ পাস, আমিও দেখে নেব, বলে দিলুম। দেব কানচাপাটি এমন চড় যে দাঁত খুলে পড়বে।”
আগুনের পাশে ঠায় রান্না করতে করতে জগারও মাথার ঠিক থাকে না। বলে- “অমন বড় বড় কথা অন্য কোথাও বোলো। বলি, এই জগা রাঁধবে না তো এ তল্লাটে লোক কিভাবে খাওয়াবে, সে হিসেব মাথায় রেখে কথা বোলো।”
তিমিরবাবু কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়ান। বলেন- “বেরো এখুনি, বেরো বলছি! শালা উড়ে বামুনের তেজ যেন সাত গাঁয়ের জমিদার!”
চুপ করে জগা। নীরবে খুন্তি ঠেলতে ঠেলতে ভাবে, সত্যিই বোধহয় বেশি বলা হয়ে গিয়েছে।
রাত বাড়ে। ভিড় বাড়ে। অবশেষে লোক কমতে থাকে। সানাই থামে একসময়ে। আগাগোড়া আর তিমিরবাবু জলস্পর্শ করেন না। কিছুটা দাঁতে কাটে না জগাও। হরি একবার একে একবার ওকে বহু সাধাসাধি করে হার মানে। বসে নিজের কলাপাতাটি পেতে রান্নাঘরে।
উনুনের আঁচ তখনও নেভেনি। তারই পাশে দাঁড়িয়ে খুন্তি কড়াই ধুচ্ছিল জগা। হঠাৎ তিমিরবাবু দেখেন সে টাল খেয়ে পড়ছে উনুনের ওপর।
বিদ্যুৎগতিতে লাফ দেন তিনি জগাকে ধরতে। ধরে ফেলেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর বাঁ হাতটি গিয়ে পড়ে উনুনে।
ততক্ষণে ভাত ছেড়ে লাফ দিয়ে উঠেছে হরি। বালতির জল তুলে ঢেলে দেয় সে উনুনে।
সে রাতে অনেক দেরীতে পাশাপাশি বসে খেয়েছিলেন তিমিরবাবু আর জগা। সে রাতে জগার চোখের জল পড়েছিল তার নিজের পাতে। সে রাতে তিমিরবাবু জগার কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন- “ভাতের পাতে বসে কাঁদে কোন হারামজাদা? যাই বল, ফিশ ফ্রাইটা ভালোই করেছিস বেশ।” সে রাতে জগার মনে হয়েছিল, যত জ্বলছে তিমিরবাবুর বাঁ হাতখানি, তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি জ্বলছে তার বুকের ভিতরটা। সে রাতে আঁচিয়ে এসে সে দাঁড়ায় তিমিরবাবুর সামনে। তারপর তাঁকে হতবাক করে পায়ের কাছে বসে পড়ে। সে রাতে তাকে আর কিছু বলতে হয়নি। তিমিরবাবু শুধু বলেন- “আরে ওঠ, ওঠ। ও কিছু নয়। ওঠ বলছি!” সে রাতে যাঁরা ছিলেন বাড়ির লোক সেখানে, তাঁদের অনেকের চোখের কোলটি ওঠে চিকচিক করে।
___________________
Subscribe to our channel now!
Hit the bell icon to never miss any of our upcoming videos.
Love Food and always in the hunt for something new?
Join our family and never feel left out.
Our Facebook: / lostnrarerecipes
Our Instagram: / lostandrarerecipes
Lost & Rare Recipes is an archive for some of the recipes from all over, which are extremely uncommon, some perhaps lost in the annals of time.
------------------------------------------------
#LostandRareRecipes #FishRecipe #Recipe #foodlover #bengalirecipe #food #biyebarirecipe #biyebariranna #youtube #kolkata #bengalirecipe #bengali #fishfry #fishfryrecipe