ওরা শ'য়তান | যে কাজ করবেন | মুফতি কাজী ইব্রাহীম | mufti kazi Ibrahim waz
Пікірлер: 7
@mahannan9904Ай бұрын
অনেক সুন্দর আলোচনা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
@identityofallahАй бұрын
আল্লাহ্ তায়ালা আছেন আসমানে মহান আরশের উরধে সমুন্নত, সবকিছু তাঁরই ক্ষমতা, জ্ঞান, দৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণে কোথাও কিছু নেই আল্লাহ্র মতো। আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা। আল্লাহ ছাড়া কোনো 'সত্য মাবুদ ' / 'সত্য ইলাহ' নেই। আল্লাহ তায়ালা আসমানে 'আরশের ঊর্ধ্বে সমুন্নত। কোরআন আল্লাহর বাণী। আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় একমাত্র উপাস্য। আল্লাহ ব্যতীত ইবাদত পাবার যোগ্য কেউ নেই । মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । .♥♥♥ অ- অস্বীকার করি সকল তাগুত, আ - আল্লাহ একমাত্র সত্য মাবুদ ই- ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই জন্য ঈ- ঈমান বিশুদ্ধ করে হবো ধন্য উ - উপকারী জ্ঞান চর্চা করে সত্যিকারের জ্ঞানী উ - ঊর্ধ্বলোকে আল্লাহ তায়ালা আছেন-তা জানি। ঋ - ঋজুতা রাখব আকীদায়-ঈমানে, ঋষিত্বের স্থান নেই ইসলামে। এ - এবাদত করি শুধু এক আল্লাহর, ঐ - ঐক্য গড়ে তুলি এসো মুসলিম উম্মাহর । ও - ওজন হবে পাপ-পুণ্যের শেষ বিচারের দিন, ঔ - ঔদ্ধত্য ধুলায় মেশাবেন আল্লাহ রব্বুল আলামীন। কোরআন আল্লাহর বাণী। মুমিনদের উপর কুরআনের অধিকার • বিশ্বাস করার মতো বিশ্বাস করা • যেভাবে পড়ার দাবি কোরআন রাখে, সেভাবে পড়া • যেভাবে বোঝা উচিত, সেভাবে বোঝা • এর উপর আমল করা • অপরকে শেখানো, এবং এর প্রচার ও প্রসার করা...।।///////////////////////
@MDRAKIB-rl4zbАй бұрын
আল্লাহ এক অদ্বিতীয় তার কোন শরীক নেই
@mdsaiful615Ай бұрын
ধন্যবাদ হুজুর
@MamunulHasaan-qn4bpАй бұрын
পবিত্র কুরআন পাঠ করার পরেও যারা কাফির ও জাহান্নামিঃ ------------------------------------------------------------ আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, سَيَكُونُ بَعْدِي مِنْ أُمَّتِي قَوْمٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ لَا يُجَاوِزُ حُلُوقَهُمْ يَمْرُقُونَ مِنْ الدِّينِ كَمَا يَمْرُقُ السَّهْمُ مِنْ الرَّمِيَّةِ. অচিরেই আমার পর আমার উম্মাত থেকে এমন কাওম আবির্ভুত হবে, যারা কুরআন পাঠ করবে কিন্তু তা তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। তারা দ্বীন (ইসলাম) থেকে বেরিয়ে যাবে যেমন নিক্ষিপ্ত তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। (সহীহ মুসলিম হাঃ ১০৬৭, ইবনে মাজাহ হাঃ ১৭০, মুসনাদে আহমদ হাঃ ২১০২১, সুনান দারেমী হাঃ ২৪৩৪; আরো দেখুন সহীহ বুখারী হাঃ ৩৩৪৪, ৩৬১০, ৪৩৫১, ৫০৫৮, ৬৯৩০, ৬৯৩১, ৭৫৬২, সহীহ মুসলিম হাঃ ১০৬৩, ১০৬৪; তিরমিযী হাঃ ২১৮৮, নাসায়ী হাঃ ২৫৭৮, ৪১০১, আবু দাউদ হাঃ ৪৭৬৪, ইবনে মাজাহ হাঃ ১৭১, ১৭২, মুসনাদে আহমদ হাঃ ১০৮৯, ১০৬২৫, ১১০৯৬, ১১১৮৫, ১১২৫৪, ১১২৯৮, ১৪৩৯০, ১৫৫৪৭, সহীহাহ হাঃ ২১০১) কুরআন পাঠ করবে কিন্তু কুরআনের সঠিক বুঝ (জ্ঞান) তাদের ভিতর প্রবেশ করবে না। যার ফলে কুরআন পাঠ করেও (কুরআনের বিধান বাস্তবায়ন করা তো দূরের কথা) কুরআনের সাথে কুফুরী করার কারণে দ্বীন ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাবে। আমাদের দেশের প্রায় ৯৯.৯৯% কুরআন পাঠকারী কুরআন বুঝে পড়ে না এবং তারা জানেও না কুরআন নাযিলের প্রধান লক্ষ্য উদ্দেশ্য কী? পবিত্র কুরআন নাযিলের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, إِنَّا أَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الْكِتَابَ بِالْحَقِّ لِتَحْكُمَ بَيْنَ النَّاسِ بِمَا أَرَاكَ اللَّهُ. নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি যথাযথভাবে কিতাব নাযিল করেছি, যাতে তুমি মানুষের মাঝে শাসনকার্য পরিচালনা করো সে অনুযায়ী যা আল্লাহ তোমাকে দেখিয়েছেন। (সূরা নিসা ৪/১০৫) আল্লাহ তা'য়ালা আরো বলেন, وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ أَنْ يَفْتِنُوكَ عَنْ بَعْضِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْكَ ۖ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُصِيبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ ۗ وَإِنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ لَفَاسِقُونَ. أَفَحُكْمَ الْجَاهِلِيَّةِ يَبْغُونَ ۚ وَمَنْ أَحْسَنُ مِنَ اللَّهِ حُكْمًا لِقَوْمٍ يُوقِنُونَ. আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালনা করো এবং তাদের প্রবৃত্তির (অর্থাৎ মানব রচিত মতবাদের) অনুসরণ করো না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক যে, আল্লাহ যা (বিধান স্বরূপ) অবতীর্ণ করেছেন, তার কিছু থেকে তারা তোমাকে বিচ্যুত করবে। অতঃপর যদি তারা (আল্লাহর বিধান থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রাখ যে, আল্লাহ তো কেবল তাদেরকে তাদের কতিপয় পাপের কারণেই (জাহান্নামের) আযাব দিতে চান। আর মানুষের অনেকেই ফাসিক। তারা কি জাহিলিয়্যাতের বিধান চায়, আর নিশ্চিত বিশ্বাসী (মুমিন) জাতির জন্য বিধান প্রদানে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক উত্তম? (সূরা মায়িদা ৫/৪৯-৫০) অর্থাৎ কাফির, জালিম বা ফাসিক ছাড়া প্রকৃত মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর বিধান বর্জন করে জাহেলী বিধান দ্বারা শাসনকার্য পরিচালনা করতে পারে না। আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ...الظَّالِمُونَ... الْفَاسِقُونَ. "আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে যারা শাসনকার্য পরিচালনা করে না, তারাই কাফির, জালিম, ফাসিক।" (সূরা মায়িদা ৫/৪৪, ৪৫, ৪৭) অনেকেই মনে করে, কুরআনের বিধান রাষ্ট্রীয়ভাবে বাস্তবায়ন করা শুধুমাত্র শাসকদের কাজ। তাই যে সকল শাসক কুরআনের বিধান অনুযায়ী শাসনকার্য তথা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে না তারা পাপী হবে এবং এর জন্য কেবলমাত্র সেসব জালিম শাসকরাই জাহান্নামের আযাব ভোগ করবে। সুতরাং এর দায়ভার আমাদের নেই। অথচ আল্লাহ তা'য়ালা নিজেই বলেন, وَاتَّقُوا فِتْنَةً لَا تُصِيبَنَّ الَّذِينَ ظَلَمُوا مِنْكُمْ خَاصَّةً ۖ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ. তোমরা সেই ফিতনা (আযাব) কে ভয় কর যা তোমাদের মধ্য থেকে বিশেষভাবে শুধু জালিমদের উপরই আপতিত হবে না (বরং তোমাদের উপরও আপতিত হবে)। এবং জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে খুবই কঠোর। (সূরা আনফাল ৮/২৫) আর কুরআনের বিধান দ্বারা শাসনকার্য পরিচালনা করা যে ফরয, প্রায় ৯৯.৯৯% কুরআন পাঠকারী তা বিশ্বাসই করে না। অথচ এ কুফুরী আকিদা ব্যক্তিকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রাহঃ) বলেন, لا ريب أن من لم يعتقد وجوب الحكم بما أنزل الله على رسوله فهو كافر . এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ্ তাঁর রাসুল (ﷺ) এর উপর যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা করাকে যে ব্যক্তি ওয়াজিব মনে করে না, সে কাফির। (মিনহাজুস সুন্নাহ পৃঃ ৪৯) সুতরাং কুরআনের বিধান অনুযায়ী শাসনকার্য পরিচালনা করা তথা আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করাকে যে ব্যক্তি ফরয মনে করে না, কুরআনের নেতৃত্ব মেনে নেয় না বরং কুরআনের বিধান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, সে কুরআন পাঠ করার পরেও বেঈমান এবং জাহান্নামি।