Рет қаралды 3,427
চাকরি থেকে বাদ দিলে বা বরখাস্ত করলে করনীয় কি
এড. আলমগীর হোসাইন- ০১৭১৩-৭১২৪১৭
চাকরি থেকে কাউকে বাদ দিলে, বরখাস্ত করলে বা অন্য কোনভাবে চাকরির অবসান করলে করনীয় কি তা জানার আগে আমাদের জানতে একজন শ্রমিক কর্মচারী বা কর্মকর্তার কি কি উপায়ে চাকরি অবসান হয়।
২০০৬ সালের শ্রম আইনে চাকরি অবসান ৬ ভাবে হয়ে থাকে-
১. ছাটাই- শ্রম আইনের ধারা-২০
২. ডিসচার্জ -২২
৩. বরখাস্ত-২৩
৪. টার্মিনেশন -২৬
৫. ইস্তফা -২৭
৬. অবসর
প্রতিষ্টান বা কোম্পানি ১ থেকে ৪
অর্থাৎ ছাটাই,ডিসচার্জ, বরখাস্ত বা টার্মিনেশন এর মাধ্যমে চাকরির অবসান করতে পারে।
এবং শ্রমিক দুইভাবে অঅর্থাৎ ইস্তফা বা অবসরের মাধ্যমে নিজের চাকরি অবসান করতে পারে।
এই ছয় প্রকার ছাড়া আর কোন ভাবে চাকরি শেষ হবার সুযোগ নেই।
তবে বেশি ক্ষেত্রে প্রতিষ্টান বা কোম্পানি মৌখিক ভাবে চাকরি না করে দেয় অথবা জোড় করে সাধা কাগজে অথবা রিজাইন লেড়ারে স্বাক্ষর নিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে শ্রম আদালতে ২১৩ ধারা আই আর মোকাদ্দমা অর্থাৎ চাকরি ফেরতের মোকাদ্দমা দায়ের করার যায়। আদালত বিচার শেষে বকেয়াসহ চাকরি ফেরতের আদেশ দিতে পারেন |
প্রথম চারটি ক্ষেত্রে শ্রমিক কর্মচারী কর্মকর্তা যদি মনে করেন উপরোক্ত চারটি কারনে তার চাকরির অবসান তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে বা যে কারণ দেখিয়ে চাকরি অবসান করা হয়েছে তা আদ্যই সত্য নহে বা যে প্রচেডিং করে চাকরি অবসান করা হয়েছে তা আইনি যথা প্রক্রিয়ায় হয়নি
তাহলে তিনি প্রতিষ্টান বা কোম্পানির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পদক্ষেপ নিতে পারবেন শ্রম আইনের ৩৩ ধারায় শ্রম আদালতে মামলা করে।
তবে প্রথমে প্রতিষ্টান অথবা কোম্পানিকে ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশ করে। ৩০ দিন মানে ৩০ দিন
আমি আবার বলছি ৩০ দিনের মধ্যে বিষটি যে আপনি মানেন না তা জানাতে হবে।
প্রতিষ্টান বা কোম্পানি পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে জবাব দিবেন এবং জবাব দেয়া থেকে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রম আদালতে মামলা করতে হবে।
চ্যালেঞ্জ করে যদি কোর্ট তার পক্ষে রায় দেয় তাহলে তিনি বকেয়া বেতনসহ স্বপদে যোগদান করতে পারবে।
আর যদি কেউ ৩৩ ধারায় চ্যালেঞ্জ না করেনা তাহলে তিনি শ্রম আইনানুযায়ী পাওনাদি পাবেন।
এড. আলমগীর হোসাইন
সহ সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় ফেডারেশন
ও আইনজীবী, শ্রম আদালত, ঢাকা
০১৭১৩-৭১২৪১৭